শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার 'উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব'   নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

কওমি মাদরাসায় ইরানি স্কলার, যা বলছেন ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| কাউসার লাবীব ||

ইরানী চিন্তাবিদ ড. সাইয়েদ আলী রেযা মাহদী মুসাভী গতকাল বৃহস্পতিবার সফর করেন দেশের প্রাচীন বেশকিছু মাদরাসা। এর মধ্যে রয়েছে হাটহাজারী, মেখল, বাবুনগর, পটিয়া মাদরাসা। সবশেষে তিনি সফর করেন জিরি মাদরাসা। এ সময় তার সফরসঙ্গী ছিলেন ইরান দূতাবাসের পাবলিক রিলেশন্স ডিপার্টমেন্টের উপ পরিচালক জনাব মুহাম্মদ সাঈদুল ইসলাম, লেখক-প্রাবন্ধিক মাওলানা শায়খ ওসমান গণি ও জনাব আমজাদ হোসেন।

ইরানী চিন্তাবীদের কওমি মাদরাসা প্রদর্শনের বিভিন্ন মাধ্যমে স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় নানা তর্ক। দেশের প্রথিতযশা গবেষক আলেম ড. আ ফ ম খালিদকে জড়িয়ে চলতে থাকে নানা কথা। এমন পরিস্থিতিতে তিনি আধা ঘণ্টার ব্যবধানে শিয়া বিষয়ে নিচের আকিদা উল্লেখ করে ফেসবুকে পর পর ৪টি পোস্ট দেন। পোস্টগুলোতে উঠে আসে তার মনে পাওয়া চাপা কষ্টের নানা দিক।

পোস্টগুলো দেয়ার পরপরই আওয়ার ইসলাম থেকে যোগাযোগ করা হয় তার সঙ্গে। গবেষক এ আলেম বলেন, ইরানী স্কলারের জিরি মাদরাসা সফর ছিল সাধারণ একটি বিষয়। তিনি জানতে পারেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের মাদরাসাগুলোতে ফার্সি পড়ানো হয় এবং এসব মাদরাসা ছাত্র-শিক্ষক ফার্সি ভাল দক্ষ। তাই তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী, মেখল, বাবুনগর, পটিয়া ও সবশেষে জিরি মাদরাসা সফর করেন।

‘তিনি কোনো মজলিসে কথাও বলেননি বা তার আকিদা বিষয়ে কোনো কিছু উল্লেখও করেননি। একজন মেহমানকে যেভাবে সম্মান করতে হয় আমরা তাকে সেভাবে সম্মান করেছি। বিষয়টি নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ হওয়া কাম্য। শিয়াদের ব্যাপারে দারুল উলুম দেওবন্দের আদর্শ, মুফতি তকি ওসমানী ও মুফতি রফি ওসমানীর ফতোয়ার সাথে আমি পূর্ণ একমত।’ বলেন, ড. আ ফ ম খালিদ

তার মতে, বিশ্বের যেকোনো মাদরাসা যেকোনো মতাদর্শ বা ধর্মের মানুষ পরিদর্শনে আসতে পারেন। আমরা আমাদের আকাবিরদের আচরণ থেকে সেটাই লক্ষ করেছি। মাদারে ইলম দারুল উলুম দেওবন্দে প্রত্যেকদিন নানা ধর্মের গবেষক পরিদর্শনে আসেন। দারুল উলুমের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে সভ্য আচরণই করা হয়। তাদেরকে দেয়া হয় মর্যাদাশীল মেহমানের মর্যাদা। একজন ইরানী স্কলারের মাদরাসা সফর নিয়ে কেন বিতর্ক তৈরি হলো আমার বোধগম্য নয়।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ৬৫ বছর পর এসে এখন কি আমাকে পরীক্ষা দিতে হবে আমি শিয়া নাকি সুন্নি? ইরানের একজন স্কলার আমাদের মাদরাসায় সফরে এলেই এখানের সবাই শিয়া হয়ে যাবে এমন ধারণা কীভাবে হয়! দেশের প্রাচীনতম এ মাদরাসাগুলোর দায়িত্বশীলদের ইমান কি এতোই নড়বড়ে হয়ে গেছে?

সবশেষে তিনি বলেন, শ্যোসাল মিডিয়ায় একেক সময় একেকজন আলেমকে নিয়ে খুব বাজেভাবে চর্চা হয়। এটি নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে ভালোকিছু বয়ে আনবে না। নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে আক্ষেপ করা ছাড়া কিছুই থাকবে না।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ