শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
রাষ্ট্র সংস্কারে ইসলামবিরোধী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না: জাতীয় পরামর্শ সভা যাত্রাবাড়ীতে জাতীয় পরামর্শ সভায় গৃহীত হলো ৭ প্রস্তাব বারিধারায় হেফাজতে ইসলামের পরামর্শ সভা শুরু ফ্যাসিবাদী সরকারের মূল দায়িত্বের কর্মকর্তারা এখনও অটল রয়ে গেছে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছি: ডিসি ওয়ারী খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি পরিদর্শনে যাচ্ছেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল আল্লামা মাহমুদুল হাসানের আহ্বানে সর্বস্তরের আলেমদের নিয়ে পরামর্শ সভা শুরু মসজিদে শোরগোল নিয়ে রাসূল সা. যেভাবে সতর্ক করেছিলেন ভারতের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ জয়পুরহাটে ১৫৫ মণ সরকারি চাল সহ আটক দুই

পুরো কোরআন হাতে লিখে কা*শ্মীরি তরুণের বিশ্বরেকর্ড

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের গুরেজ ভ্যালির বান্দিপোরার বাসিন্দা ক্যালিগ্রাফার মুস্তফা বিন জামিল। মাত্র সাত মাসে পবিত্র কোরআন হাতে লিখে বিশ্ব রেকর্ড করেছেন এই তরুণ। ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্যের কোরআনের অনুলিপি তৈরি করেন ২৬ বছর বয়সী মুস্তফা।

সম্প্রতি, বিশাল কোরআনের ভিডিও সামাচিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে শেয়ার করেন কাশ্মীরের ফটো সাংবাদিক বাসিত জাগার। অল্প সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সেই ভিডিও ও ছবি। টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘মাত্র সাত মাসে ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্যের পবিত্র কোরআন হাতে লিখে বিশ্বরেকর্ড করেছেন ২৭ বছর বয়সী কাশ্মীরের তরুণ। তার নাম মুস্তফা বিন জামিল। ’ সর্বশেষ এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেই ভিডিও ১৭.৭ হাজার ভিউ হয়েছে।

চেন্নাইভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান লিংকন বুক অব রেকর্ডসের তথ্য অনুসারে, মুস্তফার হাতে লেখা কোরআন অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। দৈর্ঘ্যে তা ৫০০ মিটার এবং প্রস্থে ১৪.৫ ইঞ্চি। হাতের লেখার সুন্দর করতে ক্যালিগ্রাফি চর্চা শুরু করেন তিনি। প্রথমে নিজের স্বাক্ষর ও কোরআনের নির্বাচিত আয়াত দিয়ে এ চর্চা শুরু করেন। এরপর ধীরে ধীরে পুরো কোরআনের অনুলিপি তৈরির ভাবনা মাথায় আসে। এখন সারা বিশ্বে পরিচিত ক্যালিগ্রাফার ২৬ বছর বয়সী মুস্তফা।

আলজাজিরা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মুস্তফা প্রতিদিন ১৮ ঘণ্টা ধরে এই অনুলিপি তৈরির কাজ করতেন। এ কাজে বিশেষ ধরনের আর্ট পেপার সংগ্রহে দুই মাস সময় লাগে তার। এরপর বিশেষ ধরনের কালি সংগ্রহ করেন তিনি। চলতি বছরের জুনে নসখ ফন্টে লেখা অনুলিপির কাজ শেষ হয়।

তবে লেখা শেষ হলেও পুনর্নিরীক্ষণ ও বর্ডার ক্যালিগ্রাফির জন্য লাগে আরও তিন মাস। এ প্রকল্পে মুস্তফার মোট ব্যয় হয়েছে আড়াই লাখ ভারতীয় রুপি।

মুস্তফা বলেন, ‘প্রথম দিকে ক্যালিগ্রাফির কাশ্মীরের কোথাও উপাদান পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে দিল্লি থেকে তা সংগ্রহ করি। পবিত্র কোরআন অনুলিপির কাজ কিছু অংশ করে নিজের মধ্যে আনন্দ অনুভব করি। আমার মনে হচ্ছিল, সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত উপহার দিয়ে আমি ভিন্ন ধরনের কিছু করতে পারছি। এ জন্য মহান আল্লাহর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। ’

-এসআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ