শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বৃহস্পতিবারের যেসব আমল বদলে দিতে পারে জীবন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আদিয়াত হাসান: হযরত আকরামা ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যদি কোনো ব্যক্তি বৃহস্পতিবার জোহর ও আসরের মধ্যবর্তী সময়ে দুই রাকআত নামায এভাবে আদায় করে যে, প্রথম রাকআতে সূরা ফাতিহার পর আয়াতুল কুরসি ১০০ বার এবং দ্বিতীয় রাকআতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাস ১০০ বার পাঠ করে, নামায শেষ করার পর ১০০ বার দরূদ শরিফ পাঠ করে, তবে সে রজব, শাবান ও রমজান মাসে রোজা রাখার সমতুল্য সওয়াব লাভ করবে এবং হাজিদের মতো পুণ্যবান হবে এবং আল্লাহর উপর ভরসাকারীদের মতো পুণ্য লাভে সমর্থ হবে।

হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি বৃহস্পতিবার রাতে মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে দুই রাকআত নামায এভাবে আদায় করে যে, সূরা ফাতিহার পর আয়াতুল কুরসি পাঁচবার, সুরা ইখলাস পাঁচবার, সূরা ফালাক পাঁচবার এবং সূরা নাস পাঁচবার পাঠ করে এবং নামায আদায়ের পর ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ পনেরো বার পাঠ করে ইহার সওয়াব মাতাপিতার রূহের উপর বখশিয়ে দেয়, তাহলে সে পূর্ণভাবে মাতাপিতার হক আদায় করল এবং আল্লাহর পিয়ারা বান্দা সিদ্দীক ও শহীদগণের সমতুল্য মর্যাদা লাভ করতে সমর্থ হল।

পবিত্র রমজান মাসের ফরজ রোজা ছাড়াও প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন উপলক্ষ্যে বিশেষ বিশেষ দিনে রোজা রেখেছেন এবং তাঁর উম্মতকে রোজা রাখতে বলেছেন।

প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সোমবার ও বৃহস্পতিবার দিন দুটি এমন, যে দিন দুটিতে বান্দার আমলসমূহ মহান আল্লাহর সামনে হাজির করা হয়। আর আমি রোজা থাকা অবস্থায় আমার আমল আল্লাহর সামনে পেশ করা হোক- এটাই আমি পছন্দ করি।’ (মুসলিম)

ফজিলত: হাদিসে কুদসিতে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা বলেছেন, রোজা আমার এবং আমিই এর প্রতিদান দেব।

হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) সোমবার এবং বৃহস্পতিবারের রোজার অপেক্ষা করতেন। (ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, নাসাঈ)

রাসূল (সা.) এরশাদ করেছেন, যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একদিন রোজা রাখবে, আল্লাহ তায়ালা জাহান্নামকে তার থেকে ১০০ বছরের দূরত্বে সরিয়ে রাখবেন। (আস সিলসিলাতুস সহিহাহ: খণ্ড-৬, হাদিস নম্বর: ২৫৬৫)

রাসূল (সা.) বলেছেন, যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একদিন রোজা রাখবে, আল্লাহ তায়ালা তার এবং জাহান্নামের মাঝে আসমান ও জমিনের দূরত্ব সমপরিমাণ খন্দক তৈরি করে দেবেন। (আস সিলসিলাতুস সহিহাহ: খণ্ড-২, হাদিস নম্বর: ৫৬৩)

রাসূল (সা.) বলেছেন, রোজা এবং কোরআন কেয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা আল্লাহ তায়ালাকে বলবে, হে আমার রব! আমি তাকে আহার এবং স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত রেখেছিলাম সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল কর। কোরআন বলবে, আমি তাকে রাতে ঘুম থেকে জাগিয়ে রেখেছিলাম, এজন্য তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল কর।

রাসূল (সা.) বলেন, তখন উভয়ের সুপারিশ কবুল করা হবে। (আহমদ: খণ্ড-২, হাদিস নম্বর: ১৭৪)

রাসূল (সা.) বলেন, নিশ্চয় জান্নাতের রাইয়ান নামের একটি দরজা আছে, কেয়ামতের দিন সেখান দিয়ে রোজাদারা প্রবেশ করবে। (বুখারি: হাদিস নম্বর: ১৮৯৬, মুসলিম: হাদদি নম্বর: ১১৫২)

রাসূল (সা.) এরশাদ করেছেন, যে রোজা অবস্থায় ইন্তেকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (সহিহ আল জামে: হাদিস নম্বর: ৬২২৪)

রোজা যেহেতু আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। তাই ফরজ রোজা ছাড়াও প্রিয়নবী (সা.) ঘোষিত বিশেষ বিশেষ দিনে রোজা পালন করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে এগিয়ে আসা জরুরি।

আর সোম ও বৃহস্পতিবার যেহেতু বান্দার আমল আল্লাহর কাছে পৌছানো হয়; তাই সপ্তাহে এ দুইদিন প্রিয় নবীর (সা.) অনুসরণে রোজা পালনেও আল্লাহর কাছে সুন্দর বিনিময় পাওয়া সম্ভব।

রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ও সোমবার রোজা রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ