শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বউ ও বিলাই: রাকিবুল হাসানের অনুবাদ গল্প

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রাকিবুল হাসান।।

আবু কাতাদা রাজি.-এর জন্য অজুর পানি নিয়ে এসেছে তার ছেলের বউ। খাবার খেয়ে তিনি মাত্রই উঠেছেন। এশারের আজান পড়েছে। কিছুটা বিশ্রাম নিবেন কিনা ভাবছেন। পুত্রবধূ এসে বললো, আব্বা, অজু করবেন না?

আবু কাতাদা মুচকি হেসে বললেন, একটু বিশ্রাম নেই।

পুত্রবধূ বললো, শীতকাল। পানিটা গরম করে এনেছিলাম। যখন অজু করবেন, বইলেন। আবার গরম করে দিব।

বিছানা থেকে উঠতে উঠতে আবু কাতাদা বললেন, দাও দাও। শীতের দিনে গরম পানিতে অজু করার আয়োজন। অজুটা করেই ফেলি। পরে আবার কষ্ট করবা কেন?

পুত্রবধূ বললো, এই নেন আব্বা। পিড়িটা পেতে দিলাম। এখানে বসে অজু করেন। আজকে দাঁড়িয়ে আমি আপনার অজু দেখমু। আপনি আমারে আইজ অজু শিখাইবেন।

আবু কাতাদা বললেন, অজু কি পারো না নাকি তুমি। যেভাবে বলতেসো। পুত্রবধূ খানিক লজ্জায় কুণ্ঠিত হয়ে বললো, পারি। তয় আপনার অজু দেখতে ভাল লাগে। কেমন ধীরে মন দিয়ে অজু করেন।

আবু কাতাদা পিড়িতে বসেছেন। পানির পাত্রটা পাশেই রাখা। হাত দিয়ে পাত্রটা নিতে যাবেন, এমন সময় দেখলেন, পানির পাত্রে একটা বিলাই মুখ দিয়ে পানি খাচ্ছে। দেখে মায়া হলো। আস্ফুট স্বরে বললেন, আহারে, কতদিন মনে পানি খায় না। তারপর পানির পাত্রটা আরেকটু ‍ঝুঁকিয়ে দিলেন। বিলাইটা যেন পানিটা আরাম করে খাইতে পারে। বিলাইদের পানি খাবার দৃশ্য খুব সুন্দর। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বিলাইয়ের ঝুটা খাওয়ার দৃশ্য দেখে। খুব কম মানুষ পানি খাওয়ার দৃশ্য দেখে।

পাশে দাঁড়িয়ে পুত্রবধু অবাক হয়ে দেখছিল। গরম পানি বিলাইয়ের পেটে চলে যাবার দৃশ্য দেখে সে বললো, ‘আব্বা. এইটা কী করতেসেন?
আবু কাতাদা বললেন, ক্যান। কী হইসে মা?

পুত্রবধু বললো, আপনি দেখি বিলাইরে পানি খাওয়াইতাসেন। আবু কাতাদা বললেন, শুনো মা। নবিজি বলেছেন, বিলাই নাপাক নয়। তারা ঘরেরই প্রাণী। তাদের খাওয়াইলে কিছু হয় না।

পুত্রবধূ কথা বললো না। দাঁড়িয়ে দেখল দৃশ্যটা। বিলাইয়ের পানি খাওয়া শেষ হলে বললো, চুলা এখনো গরম আব্বা। রাখেন, আরেকটু পানি করে আনি।

আবু কাতাদা বাধা দিতে পারলেন না। তার আগেই পুত্রবধূ ঘর ত্যাগ করে উনুনঘরে পা বাড়ালো। তিনি বিড়বিড় করে বললেন, মেয়েটারে কইলাম পানি আর গরম করা লাগবো না। তবুও কষ্ট করতে গেলো!

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ