সৈয়দ হেলাল আহমদ বাদশা
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি>
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় জাতিসংঘ প্রতিনিধি দল ও ইউনিসেফ, ষ্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশ ও ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম দাতা সংস্থার প্রতিনিধি দল নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন।
রোববার (৩ জুলাই) সকাল ৮ টায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসের তত্ত্বাবধানে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দল ও ইউনিসেফ, ষ্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশ ও ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম দাতা সংস্থার প্রতিনিধি দল নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের বন্যাকবলিত কচুয়ারপার গ্রাম এবং ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের ত্রান বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করে।
সকাল ১১ টায় ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের আয়োজনে দশগাঁও নওয়াগাঁও হাইস্কুল এন্ড কলেজ আশ্রয় কেন্দ্রে নন্দিরগাঁও ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
সভায় বাস্তবতার নিরিখে বন্যা দুর্গত মানুষের অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের স্মৃতিচারণ করে, খাবার, সুপেয় পানি, পানি বাহিত রোগ বালাই, বসতঘর পুনরবাসন, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা উপকরণ ও নারী শিশু ঝুকি সংকটে বর্তমান করণীয় এবং এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নানা মুখি পদক্ষেপ গ্রহণের কথা তুলে ধরেন নন্দিরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস কামরুল হাসান আমিরুল।
বক্তব্য রাখেন, স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি ফারুক আহমদ, প্রেসক্লাব সভাপতি এম এ মতিন ও ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার আমিনুর রশিদ শামীম।
দাতা সংস্থার প্রতিনিধি দলের নেতৃবৃন্দ বন্যা কবলিত মানুষের অসনীয় দুঃখ কষ্টে মর্মাহত ও সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বুদ্ধিমত্তা ও ধৈর্যের সহিত কোনরকম প্রাণহানি ছাড়া বন্যা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উপস্থিত ছিলেন- নন্দির গাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজ উদ্দিন সিরাজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাছির উদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক মিসবাহ আহমদ, জেলা তাঁতি লীগের দপ্তর সম্পাদক আলাজুর রহমান ও ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
পরিশেষে নন্দিরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস কামরুল হাসান আমিরুল তিন দাতা সংস্থার প্রতিনিধি দলকে ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
উল্লেখ্য, স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় উপজেলায় ৯৫ ভাগ মানুষ কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। হাজার হাজার বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবারের ভয়াবহ বন্যায় আগের সব ক্ষয়ক্ষতির রেকর্ড অতিক্রম করেছে। বন্যার পানি কিছুটা কমলেও বাড়িঘর সবচেয়ে বেশি বিধ্বস্ত হওয়ায় এখনও বিপুল সংখ্যক মানুষ নিজের ভিটায় ফিরতে পারছেন না। কষ্টের গড়া নিজ ঘরে অবস্থান করতে না পারা শ্রমজীবী, দরিদ্র মানুষেরা চরম বিপাকে পড়েছেন। এছাড়াও সড়ক, মাছ ও গৃহপালিত পশু-পাখির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
-এএ