শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

প্রতিরক্ষা বাঁধ ধসে চলাচল বন্ধ, পাউবোর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রফিকুল ইসলাম জসিম: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আদমপুরের ঘোড়ামারা এলাকায় গত বুধবার সন্ধ্যায় আকস্মিকভাবে প্রতিরক্ষা বাঁধের প্রায় ৫০ ফুট অংশ জুড়ে এ ধস দেখা দেয়। নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ধস দেখা দেওয়ায় এলাকাবাসী উদ্বিগ্ন।

ধস দেখা দেওয়ায় ঘোড়ামারা গ্রামসহ নদীর দুপাড়ের কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে ধলাই নদীর পানি আরও বাড়লেই আশপাশের ৭টি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাঁধ ধসে পড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গাফিলতিকে দায়ী করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁধের পাশে ধলাই নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হয় প্রতিনিয়ত। কিছুদিন পূর্বে বাঁধের অন্যস্থানে মেরামত কাজ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের তালিকাভূক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শাহজালাল এন্টারপ্রাইজ বালু উত্তোলন করে। তখন স্থানীয় ইউপি সদস্য ও এলাকাবাসী বাঁধা দিলেও তাদের দেয়া বাঁধা উপেক্ষা করে বালু উত্তোলন করা হয়।

সরেজমিনে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার ঘোড়ামারা গ্রামের ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। এ সময় এলাকাবাসী বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। কিন্তু পরদিন বুধবার হঠাৎ করে এ ফাটল এলাকার প্রায় ৫০ ফুট পরিমাণ প্রতিরক্ষা বাঁধ ধসে পড়ে। এতে বাঁধের ওপর দিয়ে বন্ধ হয়ে যায় আশপাশের গ্রামগুলোর মানুষজনের যাতায়াত।

বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলের পানিতে নদীতে পানি বেড়ে গেলে পানি প্রবেশ করে ঘোড়ামারা, উত্তর ও দক্ষিণ ভানুবিল, হোমেরজান, মাটিয়া মসজিদ ও কান্দিগাঁও গ্রামে বন্যা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ড ধসে পড়া স্থানে কাজ করিয়েছে। কিন্তু জিও ব্যাগের জন্য বালু উত্তোলনের কারণে বাঁধটি ধসে পড়েছে। এ ধসের কারণে আদমপুরের সঙ্গে মাধবপুরের সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। তাছাড়া নদীতে পানি বাড়লে আদমপুর ইউনিয়নের ৭-৮টি গ্রাম বন্যা কবলিত হবে।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত উদ্দীন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন বাঁধ মেরামতের একটি প্রস্তাব ঢাকায় ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সার্বক্ষণিক নজরদারি রয়েছে। ’

মৌলভীবাজারের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ধসের স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুত মেরামতের জন্য ঢাকায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ স্থানটি যত দ্রুত সম্ভব মেরামত করা হবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বালু উত্তোলনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ