শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

নীলফামারীতে তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপরে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নীলফামারীতে তিস্তায় আট ঘন্টায় ৩৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোমবার বেলা দুইটায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

এর আগে সকাল ছয়টায় সেখানে বিপৎসীমার সাত সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রানি প্রবাহিত হয়েছিল। উজানের ঢলে আকস্মিক পানি বৃদ্ধির কথা জানায় পাউবো সূত্র।

তিস্তায় ফের পানিবৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছচাপানী, গয়াবাড়ি এবং জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ও শৌলমারী ইউনিয়নের ২০ গ্রামের আট সহস্রাধিক পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। পরিবারগুলোর বাড়ি-ঘরে হাটু ও কোমর পরিমান পানি বিরাজ করার কথা জানান এলাকাবাসী ও জন প্রতিনিধিরা।

পাউবো সূত্র মতে, গত ১২ জুন থেকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে বাড়া-কমার মধ্যে ছিল। গত ১৭ জুন শুক্রবার সকাল ছয়টায় প্রথমবারের মত বিপৎসীমা অতিক্রম করে ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সেদিনই সন্ধ্যা ছয়টায় পানি কমে বিপৎসীমার ১০ নেন্টিমিটার নিচে নামে। এরপর পানি বিপৎসীমার মধ্যে ওঠানামা করে।

সূত্র জানায়, সোমবার সকাল ছয়টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার সাত সেন্টিমিটার, সকাল নয়টায় চার সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর বেলা ১২টায় পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার বেলা দুইটায় ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সেখানে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা বলেন, সোমবার সকাল ছয়টায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার সাত সেন্টিমিটার নিচে ছিল। দুপুর দুইটায় বিপৎসীমার ৩০ সেণ্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সব কটি (৪৪) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।’

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, সকাল ১১টা থেকে বাড়তে থাকে নদীর পানি। এতে করে পূর্বছানতাই, পশ্চিম ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ী, খগাখড়িবাড়ী, খালিশাচাপানী ও ঝুনাগাছচাপানী ইউনিয়নের কয়েকটি চরগ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত এসব চরগ্রামের ৭০০ পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। এসব পরিবারের খোঁজখবর নিতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, বন্যার্তদের জন্য আমরা তিন হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পেয়েছি। যা বিতরণ শুরু করা হয়েছে। ৬১টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ