শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

সম্পর্ক নষ্ট করে যেসব বদ-অভ্যাস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মারজিয়া আক্তার।।

কাউকে উপহাস করা, তিরস্কার করা, মন্দ নামে ডাকা, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। এ ধরনের আচরণের কারণে মানুষ মানসিকভাবে খুব কষ্ট পায়। তাই মুসলিম হিসেবে এ ধরনের বদ-অভ্যাস অবশ্যই পরিহার করে চলতে হবে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনরা, তোমাদের পুরুষরা যেন একে অপরকে উপহাস না করে, কেননা উপহাসকারীর চেয়ে সে অনেক ভালো হতে পারে।

আর তোমাদের নারীরা যেন একে অন্যকে উপহাস না করে, কেননা উপহাসকারীর চেয়ে সে অনেক ভালো হতে পারে। তোমরা একে অপরকে দোষারোপ করবে না, একে অন্যকে মন্দ নামে ডাকবে না, মুমিন হওয়ার পর মন্দ নামে ডাকা গর্হিত কাজ, আর যারা এ কাজ থেকে ফিরে আসে না তারাই জালিম। ’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ১১)
সুতরাং কাউকে লাঞ্ছিত করা, অপমান করা বা অতীতের কোনো অপরাধ, দোষত্রুটির জের ধরে কাউকে মন্দ নামে ডাকা নিষিদ্ধ।

আর মুমিন হিসেবে অন্য মুমিনের প্রতি অহেতুক কুধারণা করা যাবে না। আল্লাহ তাআলা তা থেকে সবাইকে বিরত থাকতে বলেছেন। তাই প্রমাণ ছাড়া কারো প্রতি মন্দ ধারণা পোষণ করা ইসলামের শিষ্টাচারের বহির্ভূত কাজ। বরং অন্যের প্রতি অবান্তর কুধারণা পোষণ করা গুনাহের কাজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনরা, তোমরা বেশির ভাগ অহেতুক ধারণা পোষণ থেকে বেঁচে থাকো, কেননা কিছু কিছু ধারণা পাপতুল্য...। ’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ১২)

সামাজিক অপরাধ হিসেবে বিবেচিত একটি পাপ হলো গিবত। অন্যের গিবত বা পরনিন্দা করা জঘন্যতম গুনাহ। মুমিনদের এ ধরনের মন্দ স্বভাব থেকে বেঁচে থাকতে হবে। বরং গিবত বা পরনিন্দা করা মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার মতো বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘তোমরা একে অপরের গোপন বিষয় জানতে ওত পেতে থেকো না, একে অপরের গিবত কোরো না, তোমাদের কেউ কি নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে চাইবে? অথচ তা তোমরা ঘৃণা করো, তাই আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহ তাওবা কবুলকারী ও দয়ালু। ’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ১২)

কারো অনুপস্থিতিতে তার দোষত্রুটি নিয়ে আলোচনা করা একটি ব্যাধি। এতে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও মমতাবোধ নষ্ট হয়। এই মন্দ স্বভাবের কারণে দুনিয়া ও আখিরাতে সে অপদস্থ হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ওই সব লোকের দুর্ভোগ হোক, যারা পশ্চাতে ও সম্মুখে মানুষের নিন্দা করে। ’ (সুরা : হুমাজা, আয়াত : ১)

কেউ গিবত করলে তার উচিত যার গিবত করা হয়েছে তার কাছে গিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করা। তা সম্ভব না হলে আল্লাহর কাছে তার ও নিজের গুনাহর ক্ষমা প্রার্থনা করা। হাসান বসরি (রহ.) বলেন, ‘গিবতের কাফফারা বা পাপ মোচনকারী হলো যার গিবত করা হয়েছে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা। ’

আরেকটি সামাজিক অপরাধ হলো কারো প্রতি অপবাদ আরোপ করা। কাউকে মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করার অর্থ হলো অপবাদ দেওয়া। এটি গিবতের চেয়ে মারাত্মক গুনাহ। বিশেষত কোনো সতী নারীর বিরুদ্ধে অপবাদ রটানো অনেক বড় গুনাহ। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘যারা সতীসাধ্বী, সরল ও ঈমানদার নারীদের ব্যাপারে অপবাদ রটায় তারা দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশপ্ত, তাদের জন্য আছে কঠিন শাস্তি। ’ (সুরা: নুর, আয়াত : ২৩)

দুনিয়ায় তাদের কঠিন শাস্তির একটি হলো, অপবাদের বিষয়টি প্রমাণিত হলে তাদের ৮০টি বেত্রাঘাত করা হবে। অতঃপর কখনো তার কোনো সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে না। আর আখিরাতে কঠিন শাস্তি তো আছেই।

মহান আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।

সূত্র : ইসলামী জীবন

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ