শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬


পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত কুড়িগ্রামের রৌমারী, পানিবন্দি ৩০ হাজার মানুষ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চার ইউনিয়নের ৩৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এদিকে, জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি কিছুটা বেড়েছে। তবে এখনও বিপৎসীমার নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সীমান্ত ঘেঁষা রৌমারী উপজেলার জিঞ্জিরাম, ধরনী ও কালজানি নদীর পানি বেড়ে উপজেলার রৌমারী, শৌলমারী, দাঁতভাঙ্গা ও যাদুর চর ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানি বাড়ার কারণে রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা। নৌকা করে যাতায়াত করছেন এসব এলাকার মানুষজন। বাদাম, পাট ও সবজিসহ বিভিন্ন প্রকার ফসলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষক।

রোববার (১২ জুন) রৌমারী উপজেলার চেয়ারম্যান শেখ আবদুল্লাহ বলেন, টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ৩৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। আরও গ্রাম প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর যারা পানিবন্দি রয়েছেন তাদের সহায়তা দিতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

শৌলমারী ইউনিয়নের কৃষক আবুল হোসেন জানান, হঠাৎ করে পানি বেড়ে জমির বাদাম ও সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। আমরা খুব ক্ষতির মুখে পড়েছি।

এছাড়া, উপজেলার ২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ঢুকে পড়ায় সাময়িকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, রৌমারী উপজেলার ২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ঢুকে পড়ায় শিক্ষা কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল জানান, বৃষ্টি ও উজানের ঢলে রৌমারী উপজেলার বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দি মানুষদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ্ আল মামুন জানান, কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রের পানি নুন খাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০৬ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৬৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপর দিকে ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে ও তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২০ থেকে ২৫ জুনের মধ্যে বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ