সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১০ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিরতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম ফুটবলারদের ওমরা পালন ধর্ষণের বিচারে শরয়ি আইন থাকলে, কোন শিশু আর ধর্ষিত হতো না: উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত ধর্ষণ এবং নারীর পরিচয় নিয়ে অবমাননায় ১৫১ আলেমের বিবৃতি ১০ম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম ত্রাণ বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল তারাবিতে ফাইভ জি স্পিডে তেলাওয়াত করবেন না: আজহারী ‘আলেমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

রমেকে শিক্ষার্থীকে রোহিঙ্গা বলে মারধরের অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) শিক্ষার্থীকে রোহিঙ্গা বলে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সিটি কাউন্সিলর হারাধন রায় হারার বিরুদ্ধে। ওই ছাত্র ও তার বোনকে রুমে আটকে নির্যাতনের খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন।

সোমবারের এ ঘটনায় কাউন্সিলর হারাধন ছাড়াও অজ্ঞাত ১৫-২০ জনের নামে মামলা করেছেন রমেকের ৪৬তম ব্যাচের ছাত্র চন্দন কুমার বর্মণ।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নগরীর কুকরুলের বাসিন্দা চন্দন তার বোনকে নিয়ে সোমবার দুপুরে ভোটার নিবন্ধনের কাজে রংপুর সিটি করপোরেশনে যান। সেখানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখিয়ে কাউন্সিলর হারাধনের কাছে প্রত্যয়নপত্র চান তারা। এ সময় কাউন্সিলর তাদের রোহিঙ্গা আখ্যা দেন এবং বলেন- 'অন্য জেলায় অপরাধ করে রংপুরের বাসিন্দা হওয়ার অপচেষ্টা করছেন তারা। তাই প্রত্যয়নপত্র দেওয়া যাবে না।'

হারাধনের এ আচরণের প্রতিবাদ করলে চন্দন ও তার বোনের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে রমেক ছাত্রের শার্টের কলার ধরে টান দিয়ে তাকে একটি ঘরে আটকে রেখে বেদম মারধর করেন হারাধন ও তার লোকজন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে মারধরের শিকার হন তার বোনও, চেষ্টা করা হয় শ্লীলতাহানির।

আন্দোলনকারীরা বলেন, খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা সিটি করপোরেশনে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন এবং বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। ওই কাউন্সিলরের বিচার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করলে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। হারাধনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবিতে রমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. বিমল রায়কে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

চন্দন রায় বলেন, আমার বোনের জাতীয় পরিচয়পত্রের স্থান পরিবর্তনের জন্য কাউন্সিলরের কাছে গেলে তিনি সহযোগিতার পরিবর্তে তাচ্ছিল্য করেন এবং আটকে রেখে নির্যাতন করেন। হারাধন ও তার 'সন্ত্রাসী বাহিনীর' দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলর হারাধন বলেন, রমেক শিক্ষার্থীর ছোট বোনের জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য নাগরিকত্বের সনদে স্বাক্ষর নিতে এসেছিলেন। আমি বলেছি, অনেক রোহিঙ্গা এভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র করছেন। তাই কাগজপত্র যাচাই-বাছাই ছাড়া স্বাক্ষর দিতে পারব না। এ কথা বলার পরই তারা আমার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। এতে আমি সনদে স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানাই।

রমেক অধ্যক্ষ ডা. বিমল বলেন, এক শিক্ষার্থী ও তার বোনকে কাউন্সিলর হারাধন গালিগালাজ ও মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক, মেট্রোপলিটন পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের মেয়রকে জানিয়েছি।

কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হোসেন আলী বলেন, কাউন্সিলর হারাধনের বিরুদ্ধে রমেক ছাত্র চন্দনের দায়ের করা মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ