শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

শিশুদের মিথ্যা আশ্বাস দিতে নিষেধ করেছে ইসলাম!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সত্য মানুষকে আলোকিত করে আর মিথ্যা মানুষকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। সত্য জান্নাতের পথ দেখায় আর মিথ্যা মানুষকে বিপথগামী করে। তাই সর্বাবস্থায় মিথ্যা থেকে দূরে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, সত্যকে ধারণ করা তোমাদের একান্ত কর্তব্য।

কেননা সততা নেক কর্মের দিকে পথ প্রদর্শন করে আর নেক কর্ম জান্নাতের পথ প্রদর্শন করে। কোনো ব্যক্তি সর্বদা সত্য কথা বললে ও সত্য বলার চেষ্টায় রত থাকলে, অবশেষে আল্লাহর কাছে সে সত্যবাদী হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়। আর তোমরা মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকো! কেননা মিথ্যা পাপের দিকে পথ প্রদর্শন করে। আর পাপ নিশ্চিত জাহান্নামের দিকে পরিচালিত করে।

কোনো ব্যক্তি সর্বদা মিথ্যা কথা বললে এবং মিথ্যার ওপর অবিচল থাকার চেষ্টা করলে, অবশেষে সে আল্লাহর নিকট মিথ্যাবাদীরূপে লিপিবদ্ধ হয়। (মুসলিম, হাদিস : ৬৫৩৩)

তাই আমাদের নিজেদের যেমন মিথ্যা থেকে দূরে থাকা উচিত, আমাদের সন্তানদেরও এমন পরিবেশ দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত, যাতে তারা মিথ্যা থেকে দূরে থাকতে পারে।

কারণ শিশুর প্রথম শিক্ষক মা-বাবা। শিশুর শেখার শুরু তার পরিবার থেকেই। তাই মা-বাবা বা পরিবারের কর্তাব্যক্তিদের উচিত শিশুরা কী শিখছে সেদিকে লক্ষ রাখা। তাদের সঙ্গে মিথ্যা কথা না বলা।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাদের সামনে মিথ্যা অভিনয় করা হয়। অথচ কেউ চায় না যে তার বাচ্চাটি মিথ্যাবাদী হোক। তার পরও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, বাচ্চারা কান্না করলে, কোনো কিছুর বাহানা ধরলে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে না চাইলে বা নানা ব্যাপারে তাদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সান্ত্বনা দেওয়া হয়।

পরবর্তী সময়ে তারা যখন দেখতে পায় যে তাদের মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, তখন এটি তাদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। তারা পরবর্তী সময়ে তাদের মা-বাবার সত্য আশ্বাসও বিশ্বাস করতে চায় না, তাদের কথাবার্তার গুরুত্ব দেয় না। অনেক ক্ষেত্রে নিজেরাও মিথ্যা কথা বলা ও মিথ্যা আশ্বাস দিতে শুরু করে।

আমাদের নবীজি সা. বাচ্চাদের মিথ্যা আশ্বাস দিতে বারণ করেছেন। এবং এ ধরনের মিথ্যা আশ্বাসেও যে মিথ্যার গুনাহ হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমির রা. বলেছেন, একদিন রাসুলুল্লাহ সা. আমাদের ঘরে বসা অবস্থায় আমার মা আমাকে ডেকে বলেন, এই যে, এসো! তোমাকে দেব।

রাসুলুল্লাহ সা. তাকে প্রশ্ন করলেন, তাকে কী দেওয়ার ইচ্ছা করেছ? তিনি বলেন, খেজুর। রাসুলুল্লাহ সা. তাকে বলেন, যদি তুমি তাকে কিছু না দিতে তাহলে এ কারণে তোমার আমলনামায় একটি মিথ্যার পাপ লিপিবদ্ধ হতো। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৯১)

তা ছাড়া যা করবে না, তা বলা মুমিনের জন্য নিষিদ্ধ, এতে মহান আল্লাহ রাগান্বিত হন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা! তোমরা এমন কথা কেন বলো, যা তোমরা করো না। তোমরা যা করো না, তা বলা আল্লাহর নিকট বড়ই ক্রোধের বিষয়। ’ (সুরা : আস সফ, আয়াত : ২-৩)

তাই আমাদের উচিত আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ শিশুদের সঙ্গে মিথ্যা বলা, মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি সব ধরনের মিথ্যা থেকে দূরে থাকা। মহান আল্লাহ সবাইকে তাওফিক দান করুন। আমিন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ