আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: একজন প্রশ্ন করেছেন, ‘হুজুর। আমাদের দেশে একটি দরূদ খুব প্রসিদ্ধ। সেটি হলো ‘ইয়া নবী সালামু আলাইকা’। এ শব্দে দরূদ পড়াতে অনেকে আপত্তি করে থাকেন।’
‘আমি একজন জেনারেল শিক্ষিত মানুষ। আমি এ বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্ত। দয়া করে এভাবে দরূদ পড়ার হুকুম জানালে উপকৃত হতাম। আসলেই কি এভাবে দরূদ পড়া যাবে না? আর পড়লেই বা সমস্যা কোথায়?’
উত্তর: ‘ইয়া নবী সালামু আলাইকা’ এটা কোন দরূদ নয়। হাদীসে বর্ণিত কোন দরূদের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই।
দরূদের শুরুতে ‘আল্লাহুম্মা’ সহ দরূদ পড়াই হাদীস সম্মত। অর্থাৎ সরাসরি দরূদ নিজের পক্ষ থেকে না পাঠিয়ে, বরং নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর দরূদ পাঠানোর জন্য আল্লাহর কাছে আবেদন করার পদ্ধতিতে দরূদ পাঠানোই সুন্নাহ সম্মত।
এভাবে দরূদ পাঠানোর কথাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন।
এছাড়া অন্য পদ্ধতিতে দরূদ যেমন ‘ইয়া নবী সালামু আলাইকা’ বলে দরূদ পাঠানো খেলাফে সুন্নাত। প্রকৃত দরূদই হয় না। সূত্র: আহলে হক মিডিয়া।
عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ قَالَ أَتَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ فِي مَجْلِسِ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ فَقَالَ لَهُ بَشِيرُ بْنُ سَعْدٍ أَمَرَنَا اللَّهُ تَعَالَى أَنْ نُصَلِّيَ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَكَيْفَ نُصَلِّي عَلَيْكَ قَالَ فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى تَمَنَّيْنَا أَنَّهُ لَمْ يَسْأَلْهُ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُولُوا “ اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ فِي الْعَالَمِينَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ . وَالسَّلاَمُ كَمَا قَدْ عَلِمْتُمْ
আবূ মাসউদ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের কাছে আসলেন, আমরা তখন সা’দ ইবনু উবাদা (রাঃ) এর মস্লিসে বিসা ছিলাম। অতঃপর বশীর ইবনু সা‘দ (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ তা’আলা আপনার উপর সালাত পাঠ করার জন্য আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা কিভাবে আপনার উপর সালাত পাঠ করব? আবু মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপ রইলেন। এমনকি আমরা অপেক্ষা করতে লাগলাম যে, তাঁকে যদি এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা না হত (ত হলে খুবই ভালো হত)। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেলন, তোমরা বলবেঃ
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ فِي الْعَالَمِينَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ
আর সালাম দেয়ার নিয়ম তো তোমাদের জানাই আছে [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৭৯২]
ومقتضى ظاهر إرشاده صلّى الله عليه وسلم إياهم إلى طلب الصلاة عليه من الله تعالى شأنه أنه لا يحصل امتثال الأمر إلا بما فيه طلب ذلك منه عزّ وجلّ ويكفي اللهم صل على محمد لأنه الذي اتفقت عليه الروايات في بيان الكيفية، (تفسير روح المعانى-22/341)
يكفي صلّى الله على محمد على الأصح بخلاف الصلاة على رسول الله فإنه لا يجزي اتفاقا لأنه ليس فيه إسناد الصلاة إلى الله تعالى فليس في معنى الوارد (تفسير روح المعانى-22/341)
وفيه إيماء إلى أنكم عاجزون عن التعظيم اللائق بي فاطلبوه من الله عزّ وجلّ لي……. وقال النيسابوري: لا يكفي صليت على محمد لأن مرتبة العبد تقصر عن ذلك بل يسأل ربه سبحانه أن يصلي عليه عليه الصلاة والسّلام وحينئذ فالمصلي عليه حقيقة هو الله تعالى، وتسمية العبد مصليا عليه مجاز عن سؤاله الصلاة من الله تعالى عليه صلّى الله عليه وسلم فتأمله (تفسير روح المعانى-22/341-342)