মুফতী জাবের কাসেমী: বছরের সূচনাতে ছাত্ররা মাদরাসা নির্বাচনে হিমশিম খায়। কেউ কেউ উপযুক্ত মাদরাসায় থেকেও তার কদর করতে পারেনা৷ ফলে নেয়ামতের নাশুকরী করে। আবার কেউ কেউ অনুপযুক্ত প্রতিষ্ঠানে থেকে জীবন নষ্ট করে। তাদের জন্য রাহবারে মিল্লাত আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহ. এর কিছু নির্দেশনা। আল্লামা কাসেমী বলেন, মাদরাসা নির্বাচনে চারটি বিষয়ের খেয়াল রাখা আবশ্যকীয়।
সোহবতে আহলে দিল: অর্থাৎ একজন ছাত্র যে প্রতিষ্ঠানে যাবে সেখানে যেন কমপক্ষে সে একজন আল্লাহ ওয়ালা ও নিসবত ওয়ালা বুযুর্গকে পায়৷ যার সোহবতে ছাত্রদের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরিণ পরিবর্তন হয়৷ যার মাঝে দুনিয়ার উপর আখেরাতের ফিকির প্রাধান্য হয় ৷
তালিম ও তরবিয়ত: তালিম বলতে আমরা কী বুঝি? মাদরাসার পক্ষ থেকে প্রথম সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক এভাবে শেষ পর্যন্ত যা পড়ানো হবে সেটা তালিম৷
আমার উস্তাজে মুহতারাম হযরত মাওলানা শায়খুল হাদীস যাকারিয়া রহ. বলেন, তালিম হল যে কোনো কিতাবকে উস্তাজ শুরু থেকে এই পন্থায় পড়াবে যে, বাকি কিতাব সে নিজেই ওই পন্থায় পড়ে শেষ করতে পারে ৷
তরবিয়ত বলতে কী বুঝি?
ছাত্রদেরকে নিজের মতের বিরুদ্ধে গেলেই বকাঝকা! আল্লাহ হেফাজত করুন ৷ তরবিয়ত বলতে ছাত্রের খেলাফে শরা আদত যেন ইবাদতে পরিবর্তন হয় উস্তাজের দিক নির্দেশনায় ৷
যোগ্য উস্তাযের তত্বাবধায়ন গ্রহণ করা: অর্থাৎ যে মাদরাসায় ভর্তি হবে সেখানে যোগ্য উস্তাযের তত্বাবধানে চলার চেষ্টা করা ৷ প্রশ্ন হলো যোগ্য উস্তায কে? যার কমপক্ষে দুটি গুণ হবে-
ক. ছাত্র গঠনে তার অন্তরে ব্যথা ও দরদ থাকা ৷
খ. অধিক পরিমানে অধ্যায়ন থাকা এবং শাস্ত্রীয় অভিজ্ঞ হওয়া ৷ দরসে ছাত্রদের মেধা ও প্রয়োজন অনুপাতে আলোচনা পেশ করতে সক্ষম হওয়া ৷
মুতালাআ: মাদরাসায় মুতালাআর খোরাক দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত কিতাবের ব্যবস্থা আছে কিনা খেয়াল করা৷
উপরোক্ত চারটি বিষয় যে প্রতিষ্ঠানে রয়েছে সে প্রতিষ্ঠানকে ছাত্ররা নিজের জন্য মুনাসিব মনে করতে পারে৷ চাই সে প্রতিষ্ঠান মফস্বলে হোক বা শহরে হোক৷ আর যে প্রতিষ্ঠানে উপরোক্ত ব্যবস্থা থাকার পর ও ছাত্ররা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করে তারা আল্লাহ তায়ালার নিয়ামতের বে কদরি করে৷ আল্লাহ তায়ালা সকলকে নিয়ামতের কদর করার তাওফিক দান করুন৷
-কেএল