শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর কমিটি ঘোষণা উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই: ধর্ম উপদেষ্টা পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে আলেম অন্তর্ভুক্তির দাবি হেফাজতে ইসলামের সিংগাইরে হেফাজতে ইসলামের গণসমাবেশ ২৯ সেপ্টেম্বর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা হলে ‘হাত ভেঙে’ দেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘জুলাই বিপ্লবে আলেম-শিক্ষার্থীদের অবদান ও প্রত্যাশা’ নিয়ে আলোচনা সভা সোমবার সিলেটে অনুষ্ঠিত বিহানের ‘লেখালেখি ও এডিটিং কর্মশালা’ দেশে ফিরে কর্মফল ভোগ করুন, শেখ হাসিনাকে জামায়াতের আমির রাষ্ট্র সংস্কারে ইসলামবিরোধী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না: জাতীয় পরামর্শ সভা যাত্রাবাড়ীতে জাতীয় পরামর্শ সভায় গৃহীত হলো ৭ প্রস্তাব

পর্যটকদের জন্য প্রস্তুত কক্সবাজার, নিরাপত্তা জোরদার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: এবারের ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে আসছেন অন্তত ৫ লাখ পর্যটক। ইতিমধ্যে পাঁচ শতাধিক হোটেল–মোটেল, গেস্টহাউস, রিসোর্ট, কটেজের ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে।

ঈদের দিন অবশিষ্ট কক্ষগুলোও ভাড়া হয়ে যাবে বলে মনে করছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছেন, এবার কক্ষ ভাড়ার বিপরীতে বিশেষ কোনো ছাড় দেয়া হচ্ছে না। তবে অতিরিক্ত চাপের অজুহাতে পর্যটকের কাছ থেকে যেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা হয়, সে বিষয়ে তৎপর থাকবেন জেলা প্রশাসনের চারটি ভ্রাম্যমাণ আদালত ও হোটেল মালিকদের পৃথক পর্যবেক্ষক দল।

করোনা মহামারীর কারণে গত দুই বছরের দুই ঈদে সৈকতে পর্যটকের সমাগম তেমন ঘটেনি। হোটেল মালিকদের ধারণা, এবার ঈদের পরদিন থেকে টানা সাত দিন পর্যটকের সমাগম থাকবে এই সৈকতে। এ সময় হোটেল, রেস্তোরাঁসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট নানা খাতে ব্যবসা হবে অন্তত ৪০০ কোটি থেকে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার।

কক্সবাজারে পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ ১৬ দিনে সৈকতে সমাগম হয়েছিল অন্তত ১০ লাখ পর্যটকের। এরপর কক্সবাজারে উল্লেখযোগ্য হারে পর্যটকের তেমন সমাগম ঘটেনি। এবারের ঈদের সাত দিনের ছুটিতে ১০ লাখের বেশি পর্যটকের সমাগম আশা করা হয়েছিল। কিন্তু সেন্ট মার্টিনে পর্যটকের যাতায়াত বন্ধ থাকায় ৫/৬ লাখ পর্যটক আসতে পারেন।

পর্যটকদের স্বাগত জানাতে ইতিমধ্যে হোটেল, রেস্তোরাঁসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে সাজসজ্জা ও সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে। সৈকতের পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউসে দৈনিক ১ লাখ ৬০ হাজার পর্যটকের রাতযাপনের ব্যবস্থা আছে। চাপ বেড়ে গেলে হোটেলের কক্ষে পর্যটকদের গাদাগাদি করে রাখতে হয়।

পর্যটকদের হয়রানি রোধে প্রতিটি হোটেলে কক্ষ ভাড়ার তালিকা টাঙানোর নির্দেশনা দেয়া আছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে ট্যুরিস্ট পুলিশের সেবাকেন্দ্রে অভিযোগ করা যাবে।

এদিকে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী, সুগন্ধা, কলাতলী পয়েন্টসহ অন্যান্য পর্যটন এলাকায় আইনশৃংখলা রক্ষাসহ অপরাধ প্রতিরোধ কার্যক্রম কার্যকরভাবে পরিচালনার নিমিত্তে চারজন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: মামুনুর রশীদ গত ২ মে তাদেরকে মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ অনুযায়ী এ নিয়োগ দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ২ মে থেকে ৯ মে পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করবেন। দায়িত্ব পালনকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা হলেন- কাজী মাহমুদুর রহমান, সৈয়দ মুরাদ ইসলাম, আরাফাত সিদ্দিকী ও নিরুপম মজুমদার। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদেরকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ