শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই: ধর্ম উপদেষ্টা পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে আলেম অন্তর্ভুক্তির দাবি হেফাজতে ইসলামের সিংগাইরে হেফাজতে ইসলামের গণসমাবেশ ২৯ সেপ্টেম্বর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা হলে ‘হাত ভেঙে’ দেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘জুলাই বিপ্লবে আলেম-শিক্ষার্থীদের অবদান ও প্রত্যাশা’ নিয়ে আলোচনা সভা সোমবার সিলেটে অনুষ্ঠিত বিহানের ‘লেখালেখি ও এডিটিং কর্মশালা’ দেশে ফিরে কর্মফল ভোগ করুন, শেখ হাসিনাকে জামায়াতের আমির রাষ্ট্র সংস্কারে ইসলামবিরোধী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না: জাতীয় পরামর্শ সভা যাত্রাবাড়ীতে জাতীয় পরামর্শ সভায় গৃহীত হলো ৭ প্রস্তাব বারিধারায় হেফাজতে ইসলামের পরামর্শ সভা শুরু

টাঙ্গাইলের যে ঈদগাহ মাঠে ১১ বছর ধরে ১৪৪ ধারা জারি, হয় না ঈদের জামাত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভোজদত্ত ঈদগাহের বয়স প্রায় ২০০ বছর। সেই ঈদগাহের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধ ভোজদত্ত ও বীরবাসিন্দা গ্রামের বাসিন্দাদের। এ বিরোধের জেরে খুন হন এক ব্যক্তি। এর পর গত ১০ বছর ধরে সেই মাঠে আর ঈদের নামাজ হয় না। এবারও ঈদের জামাত হবে না ওই ঈদগাহে। কারণ, এ বছরও প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে ওই মাঠে।

রোববার (১ মে) টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল হাশেম এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছেন।

ঈদগাহ মাঠটির অবস্থান টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের ভোজদত্ত গ্রামে।

ভোজদত্ত ঈদগাহের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ঘাটাইল উপজেলার ভোজদত্তসহ আশপাশের পাঁচটি গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী কালিহাতী উপজেলার বীরবাসিন্দা গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয় ২০১২ সালে। বিরোধ নিরসনে ২০১২ সালের ২১ নভেম্বর দুই উপজেলার তৎকালীন ইউএনওদের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে বীরবাসিন্দা গ্রামের আব্দুল গফুর নামে এক ব্যক্তি আহত হন। আরও সংঘর্ষ ও অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় ওই বছরের ২৬ নভেম্বর ঈদুল আজহার দিন জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ভোজদত্ত ঈদগাহের আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে।

ঈদের সপ্তাহখানেক পর অর্থাৎ ১ ডিসেম্বর আহত গফুর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন গফুরের ছেলে মোস্তফা কামাল। মামলায় আসামি করেন ১৭ জনকে। পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন পাঠান ১৩ জনের নামে। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন আছে। ওই হত্যাকাণ্ডের পর দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে বিরোধ আরও বেড়ে যায় এবং উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সেই বিরোধ এখনও চলছে।

গফুর নিহতের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় ১১ বছর ধরে দুই ঈদে ভোজদত্ত ঈদগাহে জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে ১৪৪ ধারা জারি করে আসছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিয়া চৌধুরী বলেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরে এ ঈদগাহে ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের অনুমতি পাওয়া গেছে।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ