শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার ‘উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব’ নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

নির্মাণ শেষের আগেই বিশ্বের বিস্ময় টাঙ্গাইলের ২০১ গম্বুজ মসজিদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই বিশ্বের বুকে জায়গা করে নিয়েছে টাঙ্গাইলের গোপালপুরের ২০১ গম্বুজ মসজিদ। মসজিদটি দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি দেশের বাইরে থেকেও ভিড় করছে দর্শনার্থীরা। নির্মাতারা বলছেন, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গম্বুজবিশিষ্ট ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মিনারের মসজিদ।

টাঙ্গাইলের গোপালপুরের ২০১ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই গড়েছে বিশ্বরেকর্ড।

মসজিদটি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ১৪৪ ফুট। ছাদের মূল গম্বুজের উচ্চতা ৮১ ফুট। এই গম্বুজের চারপাশ ঘিরে ১৭ ফুট উচ্চতার আরো ২০০ গম্বুজ তৈরি করা হয়েছে। মসজিদের চার কোনায় রয়েছে ১০১ ফুট উঁচু চারটি মিনার। মসজিদ নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে মিশর থেকে আনা উন্নত মানের টাইলস ও পিতল। যার ভেতরে লেখা রয়েছে পুরো কুরআন শরীফ।

মসজিদটির পশ্চিমাংশে উত্তর-দক্ষিণে বয়ে গেছে যমুনার শাখা ঝিনাই নদী। এটি মসজিদের সৌন্দর্যকে দিয়েছে ভিন্নমাত্রা। মসজিদের উত্তর দিকে অবস্থিত অজুখানা। বিশাল বড় অজুখানায় বসে অজু করার জন্য ছোট ছোট চেয়ারের মতো ১১৬টি আসন রয়েছে। অজুখানার ছাদ ছাইরঙা ক্ষুদ্রকায় পাথরের মতো মোজাইক করা। সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অজুখানাটি সামান্য বাঁকা করে নির্মাণ করা হয়েছে।

দ্বিতীয়তলায় প্রধান দরজা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৫০ মণ পিতল। এখানে একসঙ্গে ১৫ হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন। দ্বিতল এই মসজিদটি নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে বিভিন্ন ধরনের উন্নতমানের টাইলস- যা মিসর থেকে আনা হয়েছে। মসজিদের অভ্যন্তরের দেয়ালের চারদিকে একসারি টাইলস লাগানো হয়েছে, যাতে খণ্ড খণ্ড করে পুরো পবিত্র কোরআন লিপিবদ্ধ।

টাঙ্গাইলের গোপালপুরের দক্ষিন পাথালিয়া গ্রামে ২০১৩ সাথে সালে যার নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় । কাজ শেষ না হলেও মসজিদটি এখন দৃশ্যমান।

এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, এই মসজিদ ঘিরে আশপাশে তৈরি হচ্ছে ফাইভস্টার হোটেল, আবাসিক হোটেল, মার্কেট, হেলিপ্যাডসহ অত্যাধুনিক সব বিল্ডিং।

মসজিদটি দেখতে দুর দুরান্ত থেকে ছুটে আসছে দর্শনার্থীরা। মসজিদকে ঘিরে তৈরি হয়েছে দোকানপাট। কর্মস্থান হয়েছে এই এলাকার মানুষের।

১৫ বিঘা জমির ওপর নির্মাণাধীন মসজিদে একসঙ্গে ১৫ হাজার মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। কাজ শেষ হলে কাবা শরিফের ইমামের ইমামতি মধ্যদিয়ে মসজিদটি উদ্বোধন করার বিষয়টি বললেন মসজিদ পরিচালক আব্দুল করিম।

ইতোমধ্যেই মসজিদটি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য পর্যটক নির্মাণ কাজ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন। এলাকার লোকজনের মধ্যেও মসজিদটি নিয়ে দেখা দিয়েছে দারুণ আগ্রহ। তবে নির্মাতাদের প্রত্যাশা, টাঙ্গাইলের অজোপাড়া পাথালিয়া গ্রামে নির্মাণাধীন ২০১ গম্বুজ মসজিদটি একদিন গিনেস বুকের পাতায় স্থান পাবে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ