শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

নবি জীবনে মিসওয়াক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ফুযায়েল আহমদ

عن أبي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم:لولا أن أشقّ على أمّتِي لأمرتُهم بالسواكِ عند كلّ صلاةٍ. (البخاري ومسلم) আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যদি আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর না হত তাহলে আমি তাদেরকে প্রত্যেক নামাজের সময় মিসওয়াকের আদেশ করতাম।

নাজাফাত ও পরিচ্ছন্নতা এবং তাহারাত ও পবিত্রতার ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জোর দিয়েছেন তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে: মিসওয়াক।

মিসওয়াকের স্বাস্থগত যেসব ফায়দা রয়েছে সেগুলো তো আছেই। কিন্তু আমরা একজন মুমিন হিসেবে দ্বীনি দৃষ্টিভঙ্গির বিচারে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় প্রেরণা ও সৌভাগ্যের কথা হচ্ছে: মিসওয়াক আল্লাহর তায়ালার রিযা ও সন্তুষ্টির কারণ হয়।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: السِّواكُ مَطهَرةٌ للفمِ مرضاةٌ للرَّب মিসওয়াক মুখকে খুব পবিত্র করে এবং রবকে করে খুব সন্তুষ্ট।

কোন জিনিসের ফায়দা ও উপকারের দুটি সূরত। দুনিয়াবী ফায়দা ও আখেরাতের উপকারিতা। মিসওয়াকের মধ্যে ফায়দার দুটি সুরত একসজ্ঞে পাওয়া যায়।

এর দ্বারা যেমন মুখ পরিষ্কার হয়, পবিত্র হয় এবং হয় জিবাণুমুক্ত তেমনি এটি আল্লাহর তায়ালার রিযা ও সন্তুষ্টি লাভের বিশেষ মাধ্যম। আর রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টির পরিপূর্ণ প্রকাশক্ষেত্র হচ্ছে আখেরাত।

হাদিসে এসেছে যে, পেয়ারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেকবার ঘুম থেকে ওঠে, বিশেষত তাহাজ্জুদের সময় পাবন্দি ও গুরুত্বের সাথে মিসওয়াক করতেন। ঘরে প্রবেশ করেও প্রথমে মিসওয়াক করতেন।

এসব হাদিসের উপর ভিত্তি করে উলামায়ে কেরাম বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে তো বিভিন্ন সময়ই মিসওয়াকের আমল করার বিষয় হাদিসে এসেছে।

তবে পাঁচ ক্ষেত্রে মিসওয়াক করার গুরুত্ব একটু বেশি। ১/ ওজুতে। (যে কোন সময় এবং যে কোন উদ্দেশ্যে করা হোক।
২/ নামাজের জন্য। (যদি আগেই ওজু করা হয়ে থাকে এবং অনেক পর নামাজ পড়তে হয়। ৩/ তেলাওয়াতে কুরআনের জন্য।

৪/ ঘুম থেকে উঠে। ৫/ মুখে দুর্গন্ধ বা দাতে ময়লা থাকলে পরিস্কার করার উদ্দেশ্যে।

একে তো নামাজের জন্য মিসওয়াক সুন্নতে মুয়াক্কাদা। অলসতা ও অবহেলার কারণে তরক করলে গুনাহ হবে। আমরা অধিকাংশই এটা খেয়াল করি না কিংবা জানিই না। মিসওয়াককে মুস্তাহাব দরজার সুন্নত মনে করি।

দ্বিতীয়ত: মিসওয়াক যে ওজু-নামাজের সাথে খাস ও বিশিষ্ট নয় বরং এটি একটি ব্যাপক ও সবসময়ের আমল; এটাও আমাদের অধিকাংশের জানা নেই।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে মিসওয়াকের উপর পরিপূর্ণ আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ