শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার ‘উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব’ নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

ইফতার আনন্দময় একটি ইবাদত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হুসাইন আহমদ।।

পবিত্র রমজান বহুবিধ কল্যাণ ও ফজিলতের মাস। তাই এই মাসে সওয়াব ও কল্যাণের কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখা উচিত। এ মাসে একটি মহৎ ইবাদত রোযাদারকে ইফতার করানো।

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমাদের কাছে রমজানের বরকতময় মাস উপস্থিত হয়েছে। আল্লাহতায়ালা তোমাদের জন্য পূর্ণ মাস রোজা রাখা ফরজ করেছেন। এ মাসে আল্লাহ এমন একটি রাত দান করেছেন, যা হাজার মাস থেকে উত্তম। যে এর কল্যাণ হতে বঞ্চিত হলো- সে বঞ্চিত। এ মাসের প্রত্যেক নফল ইবাদতে অন্য মাসের ফরজের সমপর্যায়ের সাওয়াব, আর প্রত্যেক ফরজ ইবাদতে অন্য মাসের সত্তর গুণ সাওয়াব। এটি ধৈর্যের মাস, আর ধৈর্যের ফল হলো জান্নাত। এ মাস পরষ্পর সম্পীতির মাস। এ মাসে মুমিনের রিজিক বৃদ্ধি করা হয়। রোজাদার ব্যক্তিকে একটি খেজুর বা এক গ্লাস পানি দিয়ে হলেও ইফতার করালে ওই রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব দেওয়া হবে। -শোয়াবুল ঈমান, হাদিস: ৩৩৩৬

রোযাদার গরীব হোক বা ধনী, বন্ধু হোক বা আত্মীয়, দূরের কেউ বা না হোক তাকে ইফতার করালে উল্লেখিত সওয়াব পাওয়া যাবে। ইফতারে সকলে সমবেত হয়ে একে অন্যকে ফলপ্রসূ নসীহত করতে পারে। আনন্দ ও উপভোগ করতে পারে। ফলে তাদের মাঝে সৃষ্টি হবে পারস্পরিক সম্প্রীতি, সহানুভূতি, সংহতি, দয়ার্দ্রতা ও ভালোবাসা।

এজন্য পূর্ববর্তীগণের অনেকেই নিজের ইফতারি অপরকে দান করতেন। তাদের মধ্যে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা., দাঊদ ত্বাঈ, মালেক বিন দ্বীনার, আহমাদ বিন হাম্বল রহ. প্রমুখগণ।

জানা যায়, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. কিছু এতীম ও মিসকীন ছাড়া কখনো একাকি ইফতার করতেন না। আবুস সাওয়ার আদাবী বলেন, আদী বংশের এমন কিছু লোক ছিলেন, যারা এই মসজিদে নামায পড়তেন। তাদের মধ্যে কেউই কোন খাবার দ্বারা একাকি ইফতার করতেন না। যদি সঙ্গে খাওয়ার লোক পেতেন, তাহলে খেতেন। নচেৎ তাদের ইফতারি নিয়ে মসজিদে এসে লোকেদের সাথে খেতেন এবং লোকেরা তাদের সাথে ইফতারি করতেন।

অতএব রোজাদারের জন্য ইফতার আনন্দময় একটি ইবাদত। আর এই ইবাদতে যদি কাউকে শরিক করা হয়, তাহলে সেটাও ইবাদত হবে। কেননা ইফতার করানোর দ্বারা ঐ রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব-ই পাওয়া যায়। তাই আমরা সবাই সাধ্যমত অন্যকে ইফতার করানোর চেষ্টা করি। রহমত, বরকতের এই মাসে নিজেদের আমলের পরিমাণ বৃদ্ধি করি। আল্লাহ তায়ালা তাওফিক দান করুন।

লেখক: শিক্ষার্থী, ইসলামী আইন ও গবেষণা বিভাগ (ইফতা), দারুস-সুন্নাহ মাদরাসা টাংগাইল।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ