শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
উত্তপ্ত খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার ‘উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব’ নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই 

৫ টি কারণ পাওয়া গেলেই কেবল রোজা ভাঙ্গে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের সওগাত নিয়ে পবিত্র মাহে রমজান মুমিনের দ্বারপ্রান্তে। মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুমিনের জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার এ মাস। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনায় একজন মুমিন তাকওয়ার গুনে গুনাণ্বিত হতে পারে। হতে পারে রাসুল সা. এর শ্রেষ্ঠ একজন উম্মত। লাভ করতে পারে ইহকালীন ও পরকালীন প্রভূত কল্যাণ। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বাতলানো পন্থা ও সাহাবায়ে কেরামের নমুনায় রমজান পালনেই তা সম্ভব।

আওয়ার ইসলাম পাঠকের জন্য মাহে রমজান জুড়ে “মাসায়েলে রমজান” শিরোনামে প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ কিছু মাসায়েল পাঠকের সমীপে উপস্থাপন করা হবে। নিয়মিত মাসায়েল লিখবেন, শেখ জনূরুদ্দীন র. দারুল কুরআন মাদরাসা চৌধুরীপাড়ার ইফতা বিভাগের মুশরিফ, মুফতি সাদেকুর রহমান।।



ফোকাহায়ে কেরাম একমত পোষণ করেন, পাঁচটি বস্তু একসাথে পাওয়া গেলেই রোজা ভঙ্গ হবে‌। ১. মানবদেহের অভন্তরে রোজা ভঙ্গকারী গ্রহণযোগ্য বস্তু প্রবেশ করা ২.রোজা ভঙ্গকারি বস্তু মানবদেহের ভেতরের গ্রহনযোগ্য খালিস্হানে প্রবেশ করা।৩.রোজা ভঙ্গকারি বস্তু গ্রহনযোগ্য রাস্তা বা ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করা। ৪.রোজা ভঙ্গকারি বস্তু গ্রহনযোগ্য পদ্ধতিতে দেহের ভেতরে প্রবেশ করা। ৫.রোজা ভঙ্গের পরিপন্থী বস্তু না থাকা।

প্রত্যেকটির বিস্তারিত আলোচনা। ১.মানব দেহের অভ্যন্তরে রোজা ভঙ্গকারি গ্রহনযোগ্য বস্তু প্রবেশ করা অর্থাৎ দেহবিশিষ্ট বস্তু যেমন কোনো খাদ্য বা পানীয় ইত্যাদি প্রবেশ করা। সুতরাং বাতাস, ঠান্ডা,গরম ইত‍্যাদি প্রবেশ করলে রোজা ভঙ্গ হবেনা।

২. রোজা ভঙ্গকারি বস্তু মানবদেহের ভিতরের গ্রহণযোগ্য খালি স্থানে প্রবেশ করা।

বর্তমান যুগের ডাক্তারদের গবেষণার আলোকে সমকালীন মুফতিয়ানে কেরামের মতামত অনুযায়ী গ্রহনযোগ্য খালিস্থান তিনটি ১. খাদ্যনালী ২. পাকস্থলী ৩.নাড়িভুড়ী।সুতরাং নারী -পুরুষের মূত্রথলি, নারীর বাচ্চাদানি, দেমাগ,তথা মাথার অভ্যন্তরের খালি স্হান ও কর্ণকুহরের গহবরের খালিস্থান ইত‍্যাদিতে রোজা ভঙ্গকারি বস্তু প্রবেশ করলে রোজা ভঙ্গ হবেনা।

৩. রোজা ভঙ্গকারি বস্তু দেহের ভেতরে গ্রহণযোগ্য রাস্তা বা ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করা।

সকল ফুকাহায়ে কেরাম একমত, গ্রহণযোগ্য রাস্তা বা ছিদ ৩টি ১.মুখ ২.নাক.৩.মলদ্বার।তবে ক্ষেত্রবিশেষ এর সাথে আরো একটি যোগ হবে, আর তা হলো "পেটের ক্ষত' যদি তা পাকস্থলী কিংবা নাড়িভুঁড়ি পর্যন্ত পৌঁছে। বর্তমান যুগের ডাক্তারদের গবেষণার আলোকে সমকালীন মুফতিয়ানে কেরামের মতে কান,যৌনীদ্বার , মূত্রনালি , মাথার ক্ষত ও মাথার লোম কূপ দিয়ে রোজা ভঙ্গকারি বস্তু প্রবেশ করলে,রোজা ভঙ্গ হবেনা।

কারণ পূর্ব যুগের ডাক্তারদের ধারণা ছিল, পাকস্থলীর সাথে বাচ্চাদানির সংযোগ রয়েছে, তাই তৎকালীন ফুকহায়ে কেরাম এর বক্তব্য ছিল, যৌনিদ্বার দিয়ে কোন বস্তু প্রবেশ করলে, রোজা ভেঙ্গে যাবে। কারন তা বাচ্চাদানি হয়ে পাকস্থলীতে পৌঁছে যায়। এমনিভাবে তাদের ধারণা ছিল, পাকস্থলীর সাথে মূত্রথলির সরাসরি সংযোগ আছে,তারই ভিত্তিতে ফুকাহাদের বক্তব্য ছিল রোজা ভঙ্গকারি বস্তু মূত্রনালীতে প্রবেশ করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। কারন তা মূত্রথলি হয়ে পাকস্থলীতে পৌঁছে যায়।

এমনিভাবে তাদের ধারণা ছিল, দেমাগ তথা মস্তিষ্ক থেকে খাদ্যনালীতে পৌঁছার এবং কান থেকে খাদ্যনালীতে পৌঁছার রাস্তা রয়েছে।

তাই ফুকাহাদের বক্তব্য ছিল, মাথার ক্ষত'কিংবা কানে রোজা ভঙ্গকারি বস্তু প্রবেশ করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে ।কারন তা মস্তিষ্ক কিংবা কানের ছিদ্র দিয়ে খাদ্যনালীতে হয়ে পাকস্থলীতে চলে যায় যায়।

কিন্তু বর্তমান ডাক্তারদের মতামত হল পাকস্থলীর সাথে বাচ্চাদানির এবং মূত্রথলির কোনো সংযোগ নেই। এমনিভাবে খাদ্যনালীর সাথে মস্তিষ্কের কোনো সংযোগ নেই, যদি মস্তিষ্কের নিচের হাড় ভাঙ্গা না থাকে। আর ভাঙ্গা না থাকাটাই স্বাভাবিক। এমনিভাবে খাদ্যনালীর সাথে কানের কোনো যোগাযোগ নেই। তাই সমকালীন মুফতিয়ানে কেরাম এর বক্তব্য হল রোজা ভঙ্গকারি বস্তু যৌনিদ্বার, মূত্রনালী, মস্তিষ্কের ও কর্ণকুহরে প্রবেশ করলে রোজা ভঙ্গ হবেনা।

উল্লেখ্য যে নেত্রনালী থেকে খাদ্যনালী পর্যন্ত সরাসরি সংযোগ থাকা সত্ত্বেও একাধিক হাদীস ও আছার থাকার কারনে রোজা ভঙ্গকারি বস্তু চোখে প্রবেশ করলে ও রোজা ভঙ্গ হবেনা।

তাছাড়া চোখে প্রবেশকারি বস্তু খাদ্যনালিতে হুবহু পৌঁছেনা বরং তার প্রতিক্রিয়া উপলব্ধি হয়।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ