বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৮ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


মিরাস: অবহেলিত এক হক্কুল ইবাদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতী এনায়েত কবীর।।

সম্পদের মায়া কার না আছে? হয়ত কম আর বেশি। সম্পদের ভালোবাসা একটি স্বভাবজাত বিষয়। ইসলাম স্বভাবজাত এই চাহিদাকে অস্বীকার করেনি।

বরং কুরআন মাজীদে নিজের প্রাপ্য অংশকে এড়িয়ে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সম্পদ অর্জন এবং ব্যয়ের পরিষ্কার নীতিমালা বলে দিয়েছে ইসলাম। মৃত্যুর পর ত্যাজ্য সম্পদ থেকে কে কী পরিমাণ অংশ পাবে, সে কথাও স্পষ্ট নির্ধারণ করা আছে শরীয়তে। জীবদ্দশায় ওয়ারিসদের কাকে সম্পদ দেয়া যাবে, আর কাকে দেয়া যাবে না সে বিবরণও আছে কুরআন-হাদীসের পাতায় পাতায়।

কিন্তু এসব ঐশী নীতিমালা ও নির্দেশনা অনুসরণ না করার কারণে রক্তসম্পর্কিত স্বজনদের মাঝেও সৃষ্টি হচ্ছে তিক্ততা ও চরম বৈরিতা। তাই সম্পদের ব্যাপারে কুরআন হাদীসের নীতিমালা অনুসরণ ছাড়া আদর্শ পরিবার ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সমাজ গড়ে তোলা অসম্ভব।

মিরাস কী
শরীয়তের পরিভাষায়, জীবিত ওয়ারিসগণ মৃত ব্যক্তির ত্যাজ্য সম্পদের মালিকানা লাভ করাকে মিরাস বলা হয়।

ত্যাজ্য সম্পদে মৃত ব্যক্তির অধিকারসমূহ
ত্যাজ্য সম্পদে ধারাবাহিকভাবে মৃত ব্যক্তির চারটি হক রয়েছে।
১. কোনো রকম কার্পণ্য এবং অপচয় ছাড়া মধ্যম পন্থায় কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করা। ২. এরপর অবশিষ্ট সমুদয় সম্পদ থেকে ঋণ আদায় করা। ৩. ঋণ আদায় করার পর বাকী সম্পদের এক তৃতীয়াংশ দ্বারা তার অসিয়ত পূর্ণ করা। ৪. এসব কিছুর পর যা অবশিষ্ট থাকবে তা ওয়ারিসদের মাঝে কুরআন সুন্নাহ মুতাবেক বণ্টন করা।

বোনদের মিরাস: অজুহাত আর অনিয়মই যেন নিয়ম

মা-বাবার ইন্তেকালের পর ত্যাজ্য সম্পদ পাওয়া বোনদের অধিকার। এই অধিকার আল্লাহ প্রদত্ত। ভাইদের পক্ষ থেকে কোনো দয়া দক্ষিনা বা অনুগ্রহ নয়। কিন্তু আমাদের সমাজে বোনদের এই অধিকার কি সহজে আদায় করা হয়? উত্তর নেতিবাচক। বোনদের অংশ আদায় করা তো দূরের কথা বরং মিরাস আনার বিষয়টাকে খুব ঘৃণার চোখে দেখা হয়। কেউ মিরাস আনলে, এ বিষয়ে পরস্পর আলাপকালে নীচু স্বরে এদিক ওদিক তাকিয়ে চুপিসারে বলে, অমুকে বাপের বাড়ির মিরাস এনেছে। কথা বলার ভাবসাবে মনে হয়, মিরাস এনে সে বড় এক অন্যায় করে ফেলেছে।

এই মিরাস আনার দায়ে কোন কোন মা বোন শৈশবের স্মৃতিময় বাবার বাড়িকেই ভুলে যেতে হয়। আবছা হয়ে যায় প্রজাপতির পিছে ছুটে চলা বাড়ির প্রিয় আঙ্গিনাগুলো। এটা হয় বাপের বাড়ির রক্তসম্পর্কিত ভাইদের অসুন্তুষ্টি ও বৈরী আচরণের কারণে। বোনরা যেন তাদের অংশ নিতে না আসে, সে জন্য ভাইয়েরা বহু অপকৌশল অবলম্বন করে থাকে। ছলেবলে বোনদেরকে দূরে রাখার চেষ্টা করে। কোথাও পিতার যাবতীয় সম্পদ গ্রাস করে নেয় ভাইয়েরা।

কোথাও সব ভাই মিলে বোনদেরকে বঞ্চিত করে দেয়ার ব্যাপারে একমত হয়ে যায়। কোথাও বোনদেরকে লাজুকতা ও জন্মগত দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে নিশ্চুপ করে দেয়া হয়।

কোথাও তো বাবার বাড়িতে আসলে খাওয়া-দাওয়া করবে কোথায়, এ ভয় দেখিয়ে বোনদের দমিয়ে রাখা হয়। আবার কোথাও যদি বোনেরা তাদের অংশ নিতে পারে, তাহলে ভাইয়েরা মন থেকে তাদেরকে ভুলে যেতে চেষ্টা করে। অঘোষিতভাবে বন্ধ করে দেয়া হয় মুখ দেখাদেখি। কোনো মৃত্যুর ঘটনা ছাড়া কেউ কারো সাথে সাক্ষাত করতে আসে না।

অবজ্ঞা আর বঞ্চনার স্রোতে শিথিল হয়ে যায় রক্তের বাধন। স্বার্থের লোভে ছিন্ন হয়ে যায় ভাই- বোনের রক্তের সম্পর্ক। ত্যাজ্য সম্পদ আনার দায়ে শ্বশুর বাড়িতে ভগ্নিপতির স্বাভাবিক ভাই- বোনের আপ্যায়নটুকুও মাটি হয়ে যায়। অথচ হঠাৎ গড়ে ওঠা বন্ধু-বান্ধবের মন রক্ষার্থে কত টাকা উজার করে দেয়া হয়! রক্তের সম্পর্কের চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায় হঠাৎ গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। এমন লোকদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন- أُوْلَئِكَ لَهُمُ اللَّعْنَةُ وَلَهُمْ سُوءُ الدَّارِ. এমন সব ব্যক্তিদের জন্য অভিশাপ এবং তাদের ঠিকানা হল নিকৃষ্ট নিবাস। সূরা রাদ: ২৫

মৃত ব্যক্তির ত্যাজ্য সম্পদ খুবই কম। এই অল্প সম্পদ থেকে কি আর মিরাস নিবে! এই অজুহাতেও বোনদেরকে মাহরুম করা হয়। অথচ এই অজুহাত তোলা ব্যক্তিরা এতটুকু অংশ অন্যের কাছে পাওয়া থাকলে তারা কি ছেড়ে দেয়? এ প্রসংঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَلِلنِّسَاءِ نَصِيبٌ مِمَّا تَرَكَ الْوَالِدَانِ وَالأَقْرَبُونَ مِمَّا قَلَّ مِنْهُ أَوْ كَثُرَ نَصِيباً مَفْرُوضاً. পিতামাতা ও স্বজনদের ত্যাজ্য সম্পদে নারীদের অংশ রয়েছে। সম্পদ কম বেশি যাই হোক। এবং তা নির্ধারিত অংশ। সূরা নিসা: আয়াত-৭

সুতরাং নারীদের নির্ধারিত অংশ না দেয়া নিশ্চিত অন্যায় এবং আল্লাহর আদেশের পরিষ্কার লঙ্ঘন। কুরআন পাকে ওয়ারিসগণ কে কতটুকু পাবে শুধু কি তা বর্ণনা করেই ক্ষান্ত দেয়া হয়েছে? না, বরং এ সকল অংশের যথাযথ বণ্টন না করার ভয়াবহ পরিণতির কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন-
تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ وَمَن يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ وَمَن يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَتَعَدَّ حُدُودَهُ يُدْخِلْهُ نَارًا خَالِدًا فِيهَا وَلَهُ عَذَابٌ مُّهِينٌ.
মিরাস সম্পর্কিত বিধি-বিধান ও নির্দেশনাগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। তাই যে ব্যক্তি আল্লাহ ও রাসূলের অনুগত হবে তাকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, যার তলদেশে ঝর্ণাসমূহ প্রবাহিত। অনন্তকাল তারা জান্নাতে বসবাস করবে। আর জান্নাতবাসী হওয়াই সেরা সাফল্য। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও রাসূলের অবাধ্য হবে এবং সীমা লঙ্গন করবে তাকে প্রজ্জ্বলিত দোযখে নিক্ষেপ করা হবে। সে জাহান্নামে চিরকাল অবস্থান করবে। আর সীমালংঘনকারীর জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি। সূরা নিসা: ১৩-১৪

সুতরাং বোনদের অংশ মেরে স্বল্পদিনের ক্ষণস্থায়ী এই দুনিয়াতে হয়ত আরাম-আয়েশ করা যাবে, কিন্তু পরকালে কি হবে? এই চিন্তা কি আমরা করি? শত ভাবনার ভিড়ে এই ভাবনা কি এসেছে কখনো? ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য বৃহত্তর স্বার্থ জলাঞ্জলি না দেয়ার থিউরি তো সবাই আওড়াই। অথচ পরকালীন অসীম জীবনের স্বার্থকে জলাঞ্জলী দিতে আমরা কি কেউ পিছপা হই?

হাকীমুল উম্মত হযরত আশরাফ আলী থানবী রহ.-এর দরবারে অনেকেই মুরিদ হতে আসত। কিন্তু তিনি সবাইকে মুরিদ করতেন না। বরং তিনি আগে প্রশ্ন করতেন, আপনার দখলে কারো কোনো ওয়ারিসী সম্পত্তি আছে কি? কারো দখলে ওয়ারিসী সম্পদ থাকলে তাকে তিনি মুরিদ করতেন না। বরং তাকে আগে ত্যাজ্য সম্পত্তি বণ্টন করে দিয়ে আসতে বলতেন। এরপর মুরিদ করতেন। তিনি বলতেন, যে মানুষের হকই আদায় করে না, সে আল্লাহর হক আদায় করবে কি করে?

যুগশ্রেষ্ঠ বুযুর্গ হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. বলেন, বোন ও ফুফুদের কাছে যদি ত্যাজ্য সম্পদ না দিয়ে মাফ চাওয়া হয় এবং তারা যদি মাফ করেও দেয় তবুও তা মাফ হয় না। কারণ এটা লৌকিকতা মাত্র, মন থেকে মাফ করা নয়।

অবৈধ সম্পদের মিরাস গ্রহণ
হারাম মাল স্বয়ং উপার্জনকারীর জন্য বৈধ নয়। তেমনিভাবে ওয়ারিসগণের জন্যও বৈধ নয়। অবৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদের মালিক পাওয়া গেলে তা মালিককে ফিরত দিতে হবে।

আর মালিক না পাওয়া গেলে অবৈধ সম্পদের পরিমাণ নির্ধারণ করে মূল মালিকের নামে দান করে দিতে হবে। আর যদি বৈধ অবৈধ সম্পদ মিলে একাকার হয়ে যায়, অবৈধ সম্পদের পরিমাণ বের করা সম্ভব না হয়, তাহলে তাকওয়ার দাবী হল, এমন সম্পদ গ্রহণ না করা। যদি গ্রহণ করা হয় তাহলে অনুমান করে হারাম পরিমাণ মাল মালিকের নামে দান করে দিবে। রদ্দুলমুহতার:৪/১৩০# কিতাবুল ফাতাওয়া:৬/৩৪০# আহসানুল ফাতাওয়া:৯/৩০৯# ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া ১৮/৪৯৮# এমদাদুল ফাতাওয়া- ৪/৩৫০

জীবদ্দশায় সম্পদ বণ্টন
জীবিত অবস্থায় ওয়ারিসদের মাঝে সম্পদ বণ্টন করলে তাকে মিরাস বণ্টন বলা হয় না। বরং তা হয় হিবা। জীবিত অবস্থায় সম্পদ বণ্টন করলে সবাইকে সমান দিবে। কাউকে কম দিয়ে ক্ষতি করা যেন উদ্দেশ্য না হয়। এমনটা হলে তা জুলুম এবং পাপ বলে গণ্য হবে। তাই জীবিত অবস্থায় কোনো ধরণের পক্ষপাতিত্ব ছাড়া সুষ্ঠু বণ্টন করলে তা বৈধ বলে গণ্য হবে।

এক্ষেত্রে ছেলে মেয়েকে সমান অংশ দেয়া মুস্তাহাব। কিন্তু ঠকানো বা ক্ষতি করার মানসিকতায় কম বেশি দেয়া যাবেনা। তবে হ্যাঁ, যে ওয়ারিস আয় ইনকামের দিক দিয়ে দুর্বল কিংবা অন্যের তুলনায় বেশি অভাবী বা দ্বীনদার, তাকে বেশি দেয়া যেতে পারে। আহসানুল ফাতাওয়া: ৯/৩০৯ # ফাতাওয়ায়ে মাহমূদিয়া: ৫/৬১#ফাতহুল বারী, ৫/৫৯
وقال ابن حجر يجوز التفاضل ان كان له سبب كان يحتاج الولد لزمانته دينه او نحو ذلك دون الباقيين وقال ابو يوسف رح ويجب التوبة ان قصد بالتفضيل الاضرار وذهب الجمهور الى ان التسوية مستحبة فان فضل بعضا صح. فتح الباري جـ৫صـ৫৯

ত্যাজ্য সম্পত্তি ভাইদেরকে হিবা বা মাফ করা
বোনেরা যদি নিজের অংশ মাফ করে দেয় বা ভাইদেরকে হিবা করে তাহলে কি ভাইয়েরা দায়মুক্ত হবে? প্রত্যেক ওয়ারিসের অংশ নির্ধারণ হওয়ার পর বোন যদি কোন রকম হস্তক্ষেপ, মানসিক চাপ বা পারিপার্শ্বিকতার প্রভাব ছাড়া পূর্ণ সন্তুষ্টচিত্তে এবং খোলা মনে স্বত্বস্ফুর্তভাবে কোন ভণিতা ছাড়া হিবা বা মাফ করে তাহলে তা সহীহ হবে।

তবে যেখানে ভাইদের থেকে অংশ না নেয়ার সামাজিক প্রচলন রয়েছে সেখানে মনোতুষ্টি বা স¦তস্ফূর্ততা প্রকাশ করেও যদি বোনেরা হিবা করে তবু এই হিবা সহীহ হবেনা। কারণ মনোতুষ্টি বা স্বত্বস্ফুর্ততার যে প্রকাশ বোনেরা করছে তা বাস্তব মনোতুষ্টি কিনা তা নিশ্চিত নয়। যদি মনোতুষ্টির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায় তবুও সেখানে প্রচলন এবং জুলুমের সমর্থন করা হয় বিধায় তা অবৈধই গণ্য হবে। আহসানুল ফাতাওয়া ৯/২৭৯ মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা: হাদীস নং- ৩২০৬৫ #;ফাতাওয়ায়ে তাতারখানীয়া- ২০/৩৪৭ এমদাদুল ফাতাওয়া- ৪/৩৫০

যে সম্পদের যাকাত আদায় করা হয়নি সে সম্পদ কি ওয়ারিসগণ নিতে পারবে? যে ব্যক্তি তার সম্পদের যাকাত আদায় করতে পারেনি তার ইনতিকালের পর সে টাকা ওয়ারিসগণ নিতে পারবে। শরয়ী কোন বাধা নেই।

সে টাকার যাকাত আদায় করা ওয়ারিসগণের দায়িত্বও নয়। যদি সে ব্যক্তি অসিয়ত করে যায় তাহলে ত্যাজ্য সম্পদের এক তৃতীয়াংশ থেকে তার অসিয়ত কার্যকর করা ওয়াজিব। কিন্তু অসিয়ত ছাড়াই যদি ওয়ারিসগণ এই সম্পদের যাকাত আদায় করে দেয় তাহলে মাইয়্যেতের যিম্মা থেকে যাকাত রহিত হয়ে যাবে। ফাতাওয়ায়ে মাহমূদিয়া-৫/৪৫, রদ্দুল মুহতার-৫/৫৩৬
واما دين الله تعالى فان اوصى به وجب تنفيذه من ثلث الباقي والا لا در المختار وقال الشامي قوله واما دين الله تعال محترز قوله من جهة العباد وذالك كالزكوة والكفارات ونحوها قال الزيلعي فانها تسقط بالموت فلا يلزم الورثة ادائها الا اذا اوصى بها او تبرعوا بها هم من عندهم لان الركن فى العبارة نية المكلف وفعله وقج فات بموته فلا يتصور بقاء الواجب. رد المحتار جـ৫ صـ৫৩৬

মৃত্যুশয্যায় হিবা করা
মৃত্যুশয্যায় হিবা করা জায়েয নেই। যদি কোন ব্যক্তি মৃত্যুশয্যায় কোন কিছু হিবা করে এবং বস্তুকে হিবাকৃত ব্যক্তির হাতে তুলে দেয় তাহলে মৃত্যুর পর তার এক তৃতীয়াংশ সম্পদ থেকে তা কার্যকর হবে।

তবে যদি কবজার আগে হিবাকারী ব্যক্তি ইনতিকাল করে তাহলে এই হিবা বাতিল হয়ে যাবে। তখন ওয়ারিসগণ চাইলে তা কার্যকর করতে পারেন। ফাতাওয়ায়ে মাহমূদিয়া-খন্ড ৫/৩৩# আলবাহরুর রায়েক -১৯/৪১৭
إن الوصية للوارث لا تجوز إلا بإجازة الورثة. البحر الرائق شرح كنز الدقائق للنسفي ১৯/ ৪১৭

প্রভিডেন্ড ফান্ডের টাকা কে পাবে?
প্রভিডেন্ড ফান্ডের টাকা মূলত বেতনের একটি অংশ। তাই এই ফান্ডের টাকা ওয়ারিসগণ পাবে। -আহসানুল ফাতাওয়া ৯/৩০১

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ