রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৫ কার্তিক ১৪৩১ ।। ৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ছুটির সময়গুলো যেভাবে কাজে লাগাতে পারেন সাহিত্য মনা কওমি তরুণরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাউসার লাবীব: সম্প্রতি শেষ হয়েছে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের ৪৫তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষা। সেই সঙ্গে অনেক কওমি মাদরাসার বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। তাছাড়া অল্প কয়েকদিনের ব্যবধানে শেষ হবে আলহাইয়াতুল উলিয়া, তানযিম ও সিলেট এদারাসহ দেশের প্রসিদ্ধ কিছু বোর্ডে বার্ষিক পরীক্ষা। এসব মিলিয়ে রমজান, ঈদুল ফিতর মিলিয়ে প্রায় দেড় মাসের লম্বা ছুটি পাচ্ছেন কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ এই ছুটিতে সাহিত্য মনা কওমি তরুণরা নিজের সময়গুলোকে কিভাবে মূল্যায়ন করতে পারেন? এ বিষয়ে কথা বলেছিলাম লেখক, অনুবাদক  ও আলেম সাংবাদিক জহির উদ্দিন বাবরের সঙ্গে।

তিনি বলেন, প্রতি বছর রমজান ঘিরে লম্বা ছুটি পান কওমি মাদরাসাপড়ুয়ারা। যারা লেখালেখি ও শিল্প-সাহিত্য চর্চা করতে চান তাদের জন্য এটি সুবর্ণ সুযোগ। এটি কাজে লাগাতে পারলে লক্ষ্যে পৌঁছা অনেকাংশে সহজ হয়ে যায়।

তার মতে, রমজানকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে লেখালেখি ও সাংবাদিকতাসংক্রানত্ নানা কোর্সের আয়োজন করা হয়। মাদরাসাপড়ুয়ারা চাইলে সুবিধামতো সেগুলোতে অংশ নিতে পারেন। এসব কোর্স লেখক-সাংবাদিক তৈরি করে দেয় না বটে, তবে এ ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করে এবং পথচলতে সহায়ক হয়।

‘কোনো কোর্সে অংশ না নিয়েও এই সময়টুকু কাজে লাগানো সম্ভব। যেহেতু তখন একাডেমিক পড়াশোনার চাপ থাকে না এজন্য সৃজনশীল বইপত্র পাঠের বিশেষ সুযোগ রয়েছে। নির্বাচিত বইগুলো এই ছুটিতে পড়ে শেষ করা যায়। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ কারও পরামর্শ নিয়ে বইপত্র নির্বাচন করলে ভালো হয়’- বলেন, জহির উদ্দিন বাবর।

তার পরামর্শ ‘যারা লেখালেখিতে একদম নতুন তাদের জন্য প্রতিদিন ডায়েরি লেখা, কিছু লেখার চেষ্টা করা জরুরি। তারা সারা বছরের অনুশীলনটা এই সময়ে সেরে নিতে পারেন। যারা লেখালেখিতে মোটামুটি অভ্যস্ত তাদের জন্য উচিত এই সময়টুকু পুরোপুরি কাজে লাগানো। আগে থেকে পরিকল্পনা করে সময়টুকু কাজে লাগালে আশা করি অনেক উপকার তারা পাবেন।’

এদিকে এ বিষয়ে কথা বলেছেন কবি হাসান রোবায়েত। তিনি  নবীন লেখিয়েদের বলেন, সাহিত্য চর্চার জন্য প্রবল ইচ্ছা শক্তি থাকতে হয়। সাহিত্য হলো সাধনা ও চর্চার বিষয়। সাধনা, চর্চা একমাস, দুইমাস করলে হয় না। লাগাতার করতে হয়। ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হয়। কওমি মাদরাসার বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সামনে তাদের দীর্ঘ বন্ধ। এই সময়ে লেখিয়ে শিক্ষার্থীরা পছন্দের লেখকের বই পড়তে পারে। হাতের কাছে যা পাবে তাই পড়া উচিৎ। যারা একদম নতুন তাদের বাছাই করে না পড়াই ভালো। পড়তে পড়তে এক সময় নিজেরাই বুঝতে পারবে কী কী পড়া উচিৎ।

তার মতে , লেখার জন্য আসলে মানুষ, পরিবেশ, সমাজকে অবর্জাভ করতে হবে। খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে হবে। বিশ্লেষণ করতে হবে। লেখায় এগুলোই মূল উপাদান। তাই মানুষ, পরিবেশ, সমাজকে অবর্জাভ করতে পারতে হবে। অবর্জাভ করতে হবে পাশাপাশি লেখতে হবে। লেখায় সেটা ফুটিয়ে তুলতে হবে।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ