শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল

ডিজিটাল পদ্ধতিতে চলছে গওহরডাঙ্গা বোর্ডের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ৯ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশের ৪৬ তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষা। এতে অংশগ্রহণ করেছেন সহস্রাধিক মাদ্রাসার শিক্ষার্থী । পরীক্ষায় সব ধরণের অনিয়ম দূর করতে অভিনব ডিজিটাল পদ্ধতি গ্রহণ করেছে দেশের সর্বপ্রথম এ বোর্ড।

অত্যন্ত সংরক্ষিত রুমে শুধুমাত্র দুজন দক্ষ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আলেমের মাধ্যমে প্রশ্ন তৈরি করে সাধারণ শ্রমিকদের দিয়ে প্রশ্ন প্যাটেকজাত করা হয়েছে। পরীক্ষার হল সম্পূর্ণ নিরাপদ, সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা হচ্ছে কি না- তা নিশ্চিত করতে গোপন টিমের ব্যবস্থারাখা হয়েছে।

এছাড়াও  পরীক্ষার খাতাকে করা হয়েছে বার্কোটযুক্ত। প্রতিটি খাতায় লাগানো হচ্ছে শিক্ষার্থীর পরিচয় বিশিষ্ট অভিনভ বার্কোটযুক্ত বিশেষ ষ্টীকার। প্রত্যেকের খাতা আলাদাভাবে নির্ণয় করতে পারবে একমাত্র বোর্ডে ব্যবহারিত ডিজিটাল স্কাইনার মেশিন।

মুমতাহিনের নিকট খাতা পাঠাতে যাবতীয় কাজ পরিচালনা করা হব সাধারণ শ্রমিকদের মাধ্রমে।এই পদ্ধতিতে প্রবেশপত্র ও খাতা সম্পর্কে গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি মোহাম্মদ তাসনীম বলেন, আমরা এবছর সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিচ্ছি। এ পদ্ধতি অবলম্বন করায় কোন মুমতাহিন খাতা দেখার সময় মাদরাসার বা শিক্ষার্থীর নাম জানতে বা তা কোন মাদ্রাসার তা কোনভাবেই নির্ণয় করতে পারবে না। এমনকি রেজাল্ট প্রকাশ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বোর্ডের অফিসের কর্মকর্তারাও জানবে না  কার ফলাফল প্রস্তুত হচ্ছে।

তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ ইতিপূর্বে আমারা গওহরডাঙ্গা মাদরাসায় এ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিয়ে শতভাগ সফল হয়েছি। ইনশাআল্লাহ বোর্ডের পরীক্ষায়ও সফর হবো। আমরা সফল হলে অন্যান্য বোর্ডও এ পদ্ধতি অবলম্বন করে পরীক্ষার সকল অনিয়ম দূর করতে পারবে।

তিনি আরো বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা এবং বোর্ডের যাবতীয় কার্যক্রম উন্নতি অগ্রগতির ব্যাপারে ছদর সাহেব রহ -এর পৌত্র মুফতি উসামা আমিনের বিভিন্ন ধরনের আধুনিক পরিকল্পনা রয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়ন হলে আমরা আরো সমৃদ্ধশালী হবো ইনশাআল্লাহ।

এবছর নেগরান ফরম পূরণের মাধ্যমে যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, আমানতদারিতা, সচেতনতা যাচাই করে নেগরান নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে তাদেরকে নেগরান প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে নেগরানীর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মুরব্বিরাও এ আয়োজনকে সময়োপযোগী গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন বলে আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরী রহ. এর পৌত্র, বেফাকুল মাদারিসীল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশের আমেলার অন্যতম সদস্য মুফতি উসামা আমিনের প্রসংসা করেন। তারা অতিসত্ত্বর আরো উন্নতি অগ্রগতির মুখ দেখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ