বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৮ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


অনুমতি ছাড়া কারো দেয়ালে মাহফিল বা অন্যান্য পোস্টার: কী বলে ইসলাম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আদিয়াত হাসান নামে একজন জানতে চেয়েছেন, প্রায় সময়ই দেখা যায় মালিকের কোনো ধরণের অনুমতি ছাড়া তার বাড়ি, দোকান-পাট বা মার্কেটের গেইটে, দেয়ালে ও বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগানো হয়। এই পোস্টারগুলো বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হওয়ার পাশাপাশি কিছু মাদরাসা, দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ও ওয়াজ-মাহফিলের হয়ে থাকে।

রাজধানীসহ দেশের প্রধান প্রধান শহরে যত্রতত্র পোস্টার লাগানো ও দেয়াল লিখনের কারণে ঘটছে সৌন্দর্যহানি। প্রধান সড়কের পাশের দেয়াল, ভবন, গাছ, বৈদ্যুতিক খুঁটি, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা- এমন কোনো জায়গা বাদ নেই যেখানে পোস্টার লাগানো ও দেয়াল লিখন হচ্ছে না।

আমার জানার বিষয় হলো এভাবে অনুমতি ছাড়া কারো দেয়াল, গেইট বা অন্যান্য জায়গায় পোস্টার লাগানো যাবে কি?

উত্তর-

অন্যের দেয়াল, ভবন, গাছ বা অন্যান্য জায়গায় মালিকের অনুমতি ছাড়া পােস্টার লাগানাে জায়েজ নেই। অনুরূপভাবে সরকারি দেয়াল, বৈদ্যুতিক খুঁটি, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসার দেয়াল ইত্যাদিরও একই বিধান।

বর্তমান সময়ের নন্দিত ইসলামিক স্কলার আল্লামা মুহাম্মদ তাকী উসমানী হাফিজাহুল্লাহ বলেন, ‘ভবন এবং দেয়াল কারাে না কারাে মালিকানাধীন। সেগুলােকে মালিকের অনুমতি ব্যতিত নিজেদের প্রচারণার জন্য ব্যবহার করা হারাম।’-ফিকহি মাকালাত, ২:২৯৮

হযরত রাসুলে কারীম সা. বলেছেন,

 «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ»

‘সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ছাড়া ব্যবহার করা জায়েজ নয়।’-দারেকুতনী, ২৮৮৫

তাছাড়া দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১২ অনুযায়ী অনুমতি ছাড়া এ ধরনের কাজ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আইন লঙ্ঘন করে নির্ধারিত স্থান ব্যতীত অন্য কোনো স্থানে দেয়াল লিখন বা পোস্টার সাঁটালে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড ভোগ করতে হবে। একইভাবে নির্বাচনি বিধিমালা অনুযায়ী বিধিবহির্ভূত দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানোও নিষিদ্ধ।

আইনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা কোম্পানি বিধান লঙ্ঘন করে দেয়াল লিখন বা পোস্টার সাঁটালে তাদের বিরুদ্ধে সর্বনিম্ন ৫ হাজার ও সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হবে। এই আইন লঙ্ঘন করলে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ অনুযায়ী বিচার করতে হবে। আর সুবিধাভোগীর ক্ষেত্রে অভিযোগ পাওয়া গেলে ফৌজদারি বিধি, ১৮৯৮ অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার হবে।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ