শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার ‘উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব’ নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

যে দেশের জাতীয় সঙ্গীতে ইতিহাসে প্রথম যুক্ত হয়েছিল ‘আল্লাহ আকবার’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

।।আদিয়াত হাসান।।

আল্লাহু আকবার। এ ধ্বনি মুমিনের সাহসিকা। ছো্ট্ট এ শব্দ নিছক একটি শব্দ নয়। এ ধ্বনির শক্তিতে চূর্ণ হয়েছে লাখো জালিমের প্রাসাদ। নিশ্চিত হয়েছে মাজলুমের হারানো অধিকার। এ ধ্বনি ইমান ভুলে ঘুমিয়ে থাকা কোটি যুবকের আলোকবর্তিকা। সিলেটের অত্যাচারী শাসক গৌর গোবিন্দের অহমিকা ধ্বসে পড়েছিল এ ধ্বনির ছুঁয়াতেই।

মহান এ ধ্বনি মিশিয়ে ইতিহাসে প্রথম তৈরি করা হয়েছিল আফ্রিকার মুসলিম দেশ লিবিয়ার জাতীয় সঙ্গীত। লিবিয়ার প্রয়াত নেতা মুয়াম্মার আল গদ্দাফি কর্তৃক ‘আল্লাহু আকবার’ খ্যাত সঙ্গীতকে ১ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ সালে নির্বাচন করা হয়েছিল। সঙ্গীতটির কথা সাজিয়েছেন মাহমুদ এল-শেরিফ এবং এর সুর দিয়েছেন আবদাল্লা শামস এল-দীন।

সঙ্গীতের কথা গুলো এরকম-

الله أكبر الله اكبر
والله أكبر فوق كيد المعتدي
الله للمظلوم خير مؤيد
أنا باليقين وبالسلاح سأفتدي
بلدي ونور الحق يسطع في يدي
قولوا معي قولوا معي
الله الله الله أكبر
الله فوق المعتدي

يا هذه الدنيا أطلي واسمعي
جيش الأعادي جاء يبغي مصرعي
بالحق سوف أرده وبمدفعي
فإذا فنيت فسوف أفنيه معي
قولوا معي قولوا معي
الله الله الله اكبر
الله فوق المعتدي

الله أكبر الله اكبر
قولوا معي الويل للمستعمر
وﷲ فوق الغادر المتجبر
الله أكبر يا بلادي كبري
وخذي بناصية المغير ودمري
قولوا معي قولوا معي
الله الله الله أكبر
الله فوق المعتدي

লিবিয়া। উত্তর আফ্রিকাতে ভূমধ্যসাগরের দক্ষিণ তীরে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। লিবিয়ার উত্তরে ভূমধ্যসাগর, পূর্বে মিশর, দক্ষিণ-পূর্বে সুদান, দক্ষিণে চাদ ও নাইজার, এবং পশ্চিমে আলজেরিয়া ও তিউনিসিয়া অবস্থিত। ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত ত্রিপোলি শহর লিবিয়ার বৃহত্তম শহর ও রাজধানী।

লিবিয়া আফ্রিকার বৃহত্তম রাষ্ট্রগুলির একটি। আকারে বিশাল হলেও লিবিয়াতে জনবসতি খুবই লঘু। দেশের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে রয়েছে সাহারা মরুভূমি। লিবিয়ার প্রায় সমস্ত লোক উপকূলবর্তী অঞ্চলে বাস করে। লিবিয়ার তিনটি প্রধান অঞ্চল হল ত্রিপোলিতানিয়া, ফেজ, ও সিরেনাইকা।

বার্বার জাতির লোকেরা লিবিয়ার আদিবাসী। খ্রিস্টীয় ৭ম শতকে এখানে আরবদের আগমন ঘটে। বর্তমান লিবিয়ার অধিবাসীরা এই দুই জাতের লোকের মিশ্রণ। স্বল্পসংখ্যক বার্বার এখনও দেশের দক্ষিণ প্রান্তসীমায় বাস করে। লিবিয়ার সংখ্যাগুরু লোক ইসলাম ধর্মাবলম্বী। ইসলাম এখানকার রাষ্ট্রধর্ম এবং আরবি ভাষা সরকারি ভাষা।

১৯৫০-এর দশকে খনিজ তেল আবিষ্কারের আগে লিবিয়া একটি দরিদ্র রাষ্ট্র ছিল। পেট্রোলিয়ামের বিরাট মজুদ আবিষ্কারের পর থেকে লিবিয়া আফ্রিকার সবচেয়ে ধনী দেশগুলির একটি। তবে এখনও এখানকার অনেক লোক এখনও খামার ও পশুচারণের কাজে নিয়োজিত, যদিও ভাল খামারভূমির পরিমাণ অত্যন্ত কম।

লিবিয়াতে প্রাচীনকালে ফিনিসীয়, রোমান ও আরবেরা বসতি স্থাপন করেছিল। ২০শ শতকের প্রথমভাগে ইতালীয়রা দেশটিকে একটি উপনিবেশে পরিণত করে। ১৯৫১ সালে দেশটি একটি স্বাধীন রাজতন্ত্রে পরিণত হয় এবং ১৯৬৯ সালে তরুণ সামরিক অফিসার মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফি ক্ষমতা দখল করেন। গাদ্দাফি তাঁর সমাজতন্ত্র ও আরব জাতীয়তাবাদের তত্ত্ব অনুযায়ী এক নতুন লিবিয়া গঠন করেন। তিনি লিবিয়াকে একটি সমাজতান্ত্রিক আরব গণপ্রজাতন্ত্র আখ্যা দেন। তবে লিবিয়ার বাইরের লোকদের কাছে দেশটি একটি সামরিক একনায়কতন্ত্র হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিল।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ