বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৮ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


হজরত মুতাররিফ বিন আব্দুল্লাহ রহ এর আত্মশুদ্ধিমূলক উপদেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুযযাম্মিল হক উমায়ের

তিনি বলতেন, যদি আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে কেউ এসে আমাকে বলে তুমি চাইলে জান্নাত-জাহান্নামের পথ গ্রহণ করতে পারো, চাইলে তোমাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়াকে গ্রহণ করতে পারো, তাহলে আমি মাটির সাথে মিশে যাওয়াকে গ্রহণ করবো৷

তিনি বলতেন, ঘুমিয়ে রাত কাটিয়ে সকালে ইবাদত করতে না পারার অনুশোচনায় অনুতপ্ত হওয়া আমার কাছে বেশি পছন্দনীয়, ইবাদত করে রাত কাটিয়ে অহংকার ও আত্মতুষ্টি নিয়ে সকাল করার চেয়ে৷

তিনি বলতেন, যে ব্যক্তির ভিতর-বাহির একরকম হয়ে যায়, তখন আল্লাহ তায়ালা বলেন, এই বান্দা আমার আসল বান্দা৷ তখন তার অবস্থা তো এমন হয়ে যায় যে, সে যখন নির্জনে জিকির করে তখন দেয়ালের ইটগুলিও তাঁর সাথে জিকির করে৷

তিনি বলতেন, আয় আল্লাহ তায়ালা! তুমি আমার উপর রাজিখুশি হয়ে যাও৷ যদি রাজিখুশি না হও, তাহলে অন্তত আমার গুনাহসমূহকে মাফ করে দাও৷ কারণ, মালিক অনেক সময় গোলামের অপরাধগুলিকে মাফ করে দেন অথচ তখনও তিনি গোলামের উপর নাখোশই থাকেন৷

তিনি বলতেন, যে অন্যদের ভুলগুলি আলোচনায় লিপ্ত আছে, সে মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভুলের উপর রয়েছে৷

তিনি বলতেন, ইলম তো বিদায় নিয়েছে তবে অপাত্রে শুধু ইলমের শব্দগুলি রয়ে গেছে৷ অর্থাৎ অযোগ্যদের কাছে ইলমের শব্দ ছাড়া আসল ইলমের ঘ্রাণও বাকি নেই৷

তিনি বলতেন, কেয়ামতের দিন অনেক লেখক আফসোস করবে যদি তার কলম আগুন হয়ে যেতো আর সে দুনিয়ায় জীবিত অবস্থায় যা লেখেছে সেগুলো লেখতে না পারতো, তাহলে কতোইনা ভালো হতো৷ এতে বুঝা যায়, যেমন মুখের হেফাজত জরুরি তেমনি মুখের কথা প্রকাশক কলমকেও হেফাজত করা জরুরি৷

তিনি বলতেন, যে ব্যক্তি আমার কাছে অপরের গীবত করে সে আমার বন্ধু নয়৷ কারণ, সে আমার গীবতও অন্যদের কাছে বলে ফিরবে৷

সূত্র: আকওয়ালে সালফ

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ