মুযযাম্মিল হক উমায়ের
তিনি বলতেন, যদি আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে কেউ এসে আমাকে বলে তুমি চাইলে জান্নাত-জাহান্নামের পথ গ্রহণ করতে পারো, চাইলে তোমাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়াকে গ্রহণ করতে পারো, তাহলে আমি মাটির সাথে মিশে যাওয়াকে গ্রহণ করবো৷
তিনি বলতেন, ঘুমিয়ে রাত কাটিয়ে সকালে ইবাদত করতে না পারার অনুশোচনায় অনুতপ্ত হওয়া আমার কাছে বেশি পছন্দনীয়, ইবাদত করে রাত কাটিয়ে অহংকার ও আত্মতুষ্টি নিয়ে সকাল করার চেয়ে৷
তিনি বলতেন, যে ব্যক্তির ভিতর-বাহির একরকম হয়ে যায়, তখন আল্লাহ তায়ালা বলেন, এই বান্দা আমার আসল বান্দা৷ তখন তার অবস্থা তো এমন হয়ে যায় যে, সে যখন নির্জনে জিকির করে তখন দেয়ালের ইটগুলিও তাঁর সাথে জিকির করে৷
তিনি বলতেন, আয় আল্লাহ তায়ালা! তুমি আমার উপর রাজিখুশি হয়ে যাও৷ যদি রাজিখুশি না হও, তাহলে অন্তত আমার গুনাহসমূহকে মাফ করে দাও৷ কারণ, মালিক অনেক সময় গোলামের অপরাধগুলিকে মাফ করে দেন অথচ তখনও তিনি গোলামের উপর নাখোশই থাকেন৷
তিনি বলতেন, যে অন্যদের ভুলগুলি আলোচনায় লিপ্ত আছে, সে মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভুলের উপর রয়েছে৷
তিনি বলতেন, ইলম তো বিদায় নিয়েছে তবে অপাত্রে শুধু ইলমের শব্দগুলি রয়ে গেছে৷ অর্থাৎ অযোগ্যদের কাছে ইলমের শব্দ ছাড়া আসল ইলমের ঘ্রাণও বাকি নেই৷
তিনি বলতেন, কেয়ামতের দিন অনেক লেখক আফসোস করবে যদি তার কলম আগুন হয়ে যেতো আর সে দুনিয়ায় জীবিত অবস্থায় যা লেখেছে সেগুলো লেখতে না পারতো, তাহলে কতোইনা ভালো হতো৷ এতে বুঝা যায়, যেমন মুখের হেফাজত জরুরি তেমনি মুখের কথা প্রকাশক কলমকেও হেফাজত করা জরুরি৷
তিনি বলতেন, যে ব্যক্তি আমার কাছে অপরের গীবত করে সে আমার বন্ধু নয়৷ কারণ, সে আমার গীবতও অন্যদের কাছে বলে ফিরবে৷
সূত্র: আকওয়ালে সালফ
-এটি