মুযযাম্মিল হক উমায়ের।।
আপনি শত্রুকে ভয় পাচ্ছেন? শত্রু থেকে প্রতিশোধ নেয়ার চিন্তা করছেন? শত্রুকে দমাতে চেষ্টা চালাচ্ছেন? আসুন পবিত্র কুরআনুল কারীম থেকে দিক-নির্দেশনা গ্রহণ করি, فاصبر على ما يقولون وسبح بحمد ربك قبل طلوع الشمس وقبل الغروب তারা যা বলে (কাফেররা) তার জন্যে আপনি ধৈর্য ধারন করুন৷ এবং সকাল-সন্ধা আপনার প্রভুর প্রশংসা সম্বলিত তাসবীহ (নামায) পড়ুন৷
উক্ত আয়াতে দুটি দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, ১. ধৈর্যের দ্বারা শত্রুর মোকাবেলা করা৷ প্রতিশোধ নেয়ার পিছনে না পড়া৷ কারণ, অনেক সময় প্রতিশোধ নেয়ার চিন্তাটাও এক ধরনের নিজের জন্যে বিপদ ও শাস্তির রুপ ধারন করে নেয়৷ প্রতিশোধ গ্রহণের চিন্তায় ঘুম নষ্ট, খাওয়া নষ্ট, নিজের জরুরি কাজও নষ্ট হয়ে যায়৷ অথচ, বাস্তবতা বলে প্রতিশোধ গ্রহণে আজো পর্যন্ত কেউ পুরোপুরি সফল হতে পারেনি৷ বরঞ্চ শত্রুর পক্ষ থেকে আরো ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে৷ তাই আল্লাহ তাআলা ধৈর্য ধারন করার কৌশল শিখেয়েছেন৷
সাথে সাথে প্রতিশোধ গ্রহণে উদ্যেগী না হয়ে শত্রুতাকে নিজের তাকদীরের লিখন মনে করা৷ আর আল্লাহ তাআলার ফায়সালাকে নিজের জন্যে কল্যাণকর মনে করা৷ কারণ, আল্লাহ তাআলা সর্বদাই বান্দার কল্যাণ চান৷ এতেও নিজের কল্যাণ আছে মনে করে ধৈর্য ধারন করা৷
২. নামাযে মনোযোগী হওয়া৷ কারণ, হাদীস শরীফে এসেছে হুজুর সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর যখন কোন পেরেশানী চেপে বসতো, তখন তিনি নামায পড়তেন৷ নামায সবকিছুর সমাধানের মহাওষুধ৷ কারণ, নামায সকল প্রকারের অশ্লীল ও অসৎ কাজ থেকে মানুষকে বিরত রাখে৷ আসুন প্রতিশোধ নয়, বিনয়ী হই৷ মোকাবেলা নয়, ধৈর্যশীল হই৷
-এটি