মুযযাম্মিল হক উমায়ের
তিনি বলতেন, যদি আলেমগণই ফাসাদ সৃষ্টিকারী হয়ে যায়, তাহলে সংশোধনকারী কে হবে? আলেমগণের ফাসাদ হলো, দুনিয়ার দিকে ঝুকে পড়া৷ দুনিয়া কামানোর পিছনে পড়ে যাওয়া৷
তিনি বলতেন, যদি কেউ অন্যের কাছ থেকে ইলম না শিখে, শিক্ষাদান শুরু করে দেয়, তাহলে এই কাজ তার জন্য অপমান আর লাঞ্ছনার কারণ হয়ে দাঁড়াবে৷
তিনি বলতেন, যদি এমন কারো সন্ধান পেতাম, যে শুধু আল্লাহ তায়ালাকে রাজিখুশি করার উদ্দেশ্যে ইলম হাসিল করতে ইচ্ছুক, তাহলে আমি নিজে তার বাড়ি গিয়ে গিয়ে ইলম শিখিয়ে আসতাম৷ কিন্তু বর্তমানে তো ইলম শিখার মাকসাদ মানুষের সাথে তর্ক আর গর্ব করাকে লোকেরা নির্দিষ্ট করে নিয়েছে৷
তিনি বলতেন, একজন রাখাল যখন পালের পশুগুলিকে সতর্ক করে তখন পশুগুলো নিজেদের চাহিদাগুলোকে মিটিয়ে দিয়ে সেই জিনিস ছেড়ে দেয়৷ কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো, আল্লাহ তায়ালার কিতাব আমাদেরকে বার বার প্রবৃত্তির চাহিদাকে মিটিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করতেছে কিন্তু আমরা তা থেকে বিরত হচ্ছি না৷ বরং প্রবৃত্তির চাহিদা পুরা করার পিছনে আরো এগিয়ে চলছি৷
তিনি বলতেন, একজন লোক হজরত ঈসা আলাইহিস সালামের কাছে নসিহত কামনা করলো৷ তিনি ওই লোককে বললেন, তুমি দেখো, তোনার রুটি কোথায় থেকে এসেছে৷ অর্থাৎ হালাল পন্থায় এসেছে না হারাম উপায়ে এসেছে৷
তিনি বলতেন, আমি মনে করি ছাত্রদের প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থ-সম্পদ থাকা জরুরি৷ কারণ, তা না থাকলে মানুষের কাছে লজ্জিত হতে হয়৷ বিভিন্ন বিপদাপদ চলে আসে৷ মানুষরাও তুচ্ছতাচ্ছিল্য বেশি করতে থাকে৷
তিনি বলতেন, কেউ কারো কাছে নিজের অসুস্থতার অভিযোগ করা আল্লাহ তায়ালার উপর অভিযোগ করা নয়৷
তিনি হাদিয়া ফেরত দিতেন৷ গ্রহণ করতেন না৷ কারণ হিসাবে বলতেন, যদি লোকেরা এই হাদিয়ার কারণে আমার উপর প্রভাব বিস্তার করবে না- এই বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারতাম, তাহলে আমি তাদের হাদিয়া গ্রহণ করতাম৷
তিনি বলতেন, বর্তমান সময় তো হলো, শুধু নিজেকে সংশোধন করার চিন্তায় মনোযোগী হওয়ার৷ আর অন্যদেরকে তাদের নিজের অবস্থায় ছেড়ে দেওয়ার৷
তিনি বলতেন, কারো ধর্মীয় বন্ধু বেশি হওয়া লোকটির নম্র ও উত্তম চরিত্রের আলামত৷
তিনি বলতেন, কারো মধ্যে নেতা হওয়ার চাহিদা দেখলে, তোমরা তাকে পিছনে রেখে দাও৷
সূত্র: আকওয়ালে সালফ
-এটি