মুযযাম্মিল হক উমায়ের||
এক যুবক তার মায়ের খেদমত করতো৷ হঠাৎ যুবকের মনে হজ্জ করার প্রেরণা জেগে বসলো৷ মা তাকে হজ্জ করতে এই বলে নিষেধ করলেন যে, তুমি চলে গেলে আমার খেদমত কে করবে৷ এভাবে কয়েক বছর যুবক হজ্জে যাওয়ার নিয়ত করে আর তার মা নিষেধ করে দেন৷
পরের বছর যুবক জেদ করেই মায়ের নিষেধ না মেনে হজ্জে রওয়ানা হয়ে যায়৷ পথিমধ্যে রাতে এক মসজিদে অবস্থান নেয়৷ ঘটনাক্রমে সে রাতে এলাকায় চুরি হয়ে যায়৷ লোকজন চোর তালাশ করে করে মসজিদে এসে এই অপরিচিত যুবককে দেখতে পায়৷ অচেনা হওয়ায় লোকজন তাকেই চোর বলে ধরে এনে উত্তম-মাধ্যম দেয়া শুরু করে৷ অপমান, লাঞ্ছনা করতে থাকে৷ কেউ গালি দেয়৷ কেউ চড়-থাপ্পড় দেয়৷ কেউ কিল-ঘুষি লাথি দেয়৷
এলাকাবাসী মেরেটেরে অবশেষে চোরকে বিচারকের কাছে হস্তান্তর করে দেয়৷ বিচারক চুরা করা বিষয়ে তার কাছে তথ্য জানতে চান৷ কিন্তু যুবক কোন তথ্য দিতে পারেনি৷ নিজে চোর নয় সাব্যস্ত করার চেষ্টা করতে থাকে৷ কিন্তু উপযুক্ত তথ্য না পাওয়ায় বিচারক লোকজনকে একত্র করে চুরির শাস্তি প্রয়োগ করার ঘোষণা দেন৷ এবং যুবক বয়সে কাজ না করে চুরির পেশা গ্রহণ করার জন্যে তিরস্কার করেন৷
কিন্তু এইসবের পিছনে মায়ের আদেশ না মানাই ছিলো মূল কারণ, যুবক বুঝতে পারে৷ সুতরাং যুবক বিচারককে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলো, মাননীয় বিচারক সাহেব!
আমি চোর তাই চোরের শাস্তি এমনই হয় এই কথা বলবেন না৷ বরং এই কথা বলুন-আমি মায়ের অবাধ্য সন্তান৷ আর মায়ের অবাধ্য সন্তানের শাস্তি দুনিয়াতে আমার মতোই হয়ে থাকে৷ এই কথা বলে যুবক হাউমাউ করে লোকজনের সামনে কাঁধতে শুরু করে দেয়৷ সুতরাং মা-বাবার সাথে সদাচারণ করতে হবে৷ মা-বাবার সাথে অসদাচরণ করলে এই শাস্তি দুনিয়াতেও চলে আসে পরকালে তো আছেই৷ আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে মা-বাবার হক আদায় করার তাওফিক দান করুন৷ আমীন৷
সূত্র: খুতুবাতে আসলাম
-এটি