সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১০ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিরতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম ফুটবলারদের ওমরা পালন ধর্ষণের বিচারে শরয়ি আইন থাকলে, কোন শিশু আর ধর্ষিত হতো না: উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত ধর্ষণ এবং নারীর পরিচয় নিয়ে অবমাননায় ১৫১ আলেমের বিবৃতি ১০ম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম ত্রাণ বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল তারাবিতে ফাইভ জি স্পিডে তেলাওয়াত করবেন না: আজহারী ‘আলেমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

আলেমদের মাওলানা বলা কি হারাম?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

প্রশ্ন:

আলেমদের মাওলানা বলা কি জায়েজ? কতিপয় আহলে হাদিস নামের গায়রে মুকাল্লিদ বন্ধুরা বলে থাকেন যে, “মাওলানা এটি আল্লাহর সাথে খাস। যেমন কুরআনে কারীমে এসেছে যে, ورحمنا انت مولاناযেখানে মাওলানা বলে আল্লাহ তায়ালাকে সম্বোধন করা হয়েছে। সুতরাং কোন বান্দাকে মাওলানা বলা জায়েজ নয়। এটা সুষ্পষ্ট শিরক”। তাদের এই বক্তব্যটি কি সঠিক? দলিল সহ জানালে উপকৃত হব।

জবাব:

بسم الله الرحمن الرحيم

গায়রে মুকাল্লিদদের এই বক্তব্যটি বিশুদ্ধ নয়। আলেমদের মাওলানা বলা জায়েজ। কেননা পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা স্পষ্ট বান্দাকে মাওলানা বলে সম্বোধন করেছেন। যেমন-সূরায়ে নাহলের ৭৬ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা গোলামের মনীবকে বলেছেন তার মাওলানা-وَهُوَ كَلٌّ عَلَى مَوْلاهُঅর্থাৎ সে তার মনীবের উপর বোঝা (সূরা নাহল-৭৬)

রাসূল সা. হযরত যায়েদ বিন হারেসা রা. কে বলেছেন-انت اخونا ومولاناঅর্থাৎ “তুমি আমার ভাই এবং মাওলানা”(বুখারী শরীফ-১/৫২৮)

বরং নবীজী সা. গোলামদের শিখিয়েছেন যেন গোলামরা তার মনীবকে বলে-“সাইয়্যিদী ওয়া মাওলায়ী”। (বুখারী শরীফ-১/৩৪৬)

ইমাম হাসান রাহ. কে মানুষ মাওলানা হাসান বসরী রহ. ডাকতো (তাহযীবুত তাহযীব-২/২৬৩, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া-৯/২৬৬, সিয়ারু আ’লামিন নুবালা-৪/৫৭৩)

সুতরাং বুঝা গেল আলেমদের সম্মান করে মাওলানা বলা কোন দোষণীয় নয়। এটাবে শিরক বলা সম্পূর্ণ বাড়াবাড়ি।

والله اعلم بالصواب

উত্তর লিখনে:  লুৎফুর রহমান ফরায়েজী ,পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ