সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১০ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিরতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম ফুটবলারদের ওমরা পালন ধর্ষণের বিচারে শরয়ি আইন থাকলে, কোন শিশু আর ধর্ষিত হতো না: উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত ধর্ষণ এবং নারীর পরিচয় নিয়ে অবমাননায় ১৫১ আলেমের বিবৃতি ১০ম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম ত্রাণ বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল তারাবিতে ফাইভ জি স্পিডে তেলাওয়াত করবেন না: আজহারী ‘আলেমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

মসজিদে ঘুমানো ব্যক্তির গোসল ফরজ হলে মসজিদ থেকে কীভাবে বের হবে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মসজিদে ঘুমানো অবস্থায় যদি কারো গোসল ফরয হয় তাহলে সে কী করবে? এক্ষেত্রে সমাজে অনেক ধরনের কথা প্রচলিত আছে, কেউ কেউ বলে, মসজিদে ঘুমানো অবস্থায় গোসল ফরয হলে কোনো একটি কাপড় মসজিদের ফ্লোরে বিছিয়ে বিছিয়ে তার উপর দিয়ে হেঁটে হেঁটে মসজিদ থেকে বের হতে হবে।

কেউ বলে, ঘুমানোর সময় সাথে মোজা রাখবে এবং গোসল ফরয হলে মোজা পরে মসজিদ থেকে বের হবে। তাদের ধারণা- এ অবস্থায় যেহেতু শরীর অপবিত্র থাকে তাই অপবিত্র শরীর মসজিদের ফ্লোরে লাগানো যাবে না। তাদের এ ধারণা ঠিক নয়।

মসজিদে ঘুমানো অবস্থায় গোসল ফরয হলে কোনো কিছু বিছিয়ে তার উপর দিয়ে হেঁটে হেঁটে যেতে হবে না; স্বাভাবিকভাবে হেঁটে বের হতে পারবে।

তবে মসজিদে যেন কোনো নাপাকী না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখবে এবং জাগ্রত হওয়ার পর মসজিদে অপেক্ষা করবে না; বরং দ্রুত মসজিদ থেকে বের হয়ে পবিত্র হবে। ইবনে আবি নাজীহ রাহ. বলেন-

نِمْتُ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ فَاحْتَلَمْتُ فِيهِ فَسَأَلْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ فَقَالَ اذْهَبْ وَاغْتَسِلْ.

আমি মসজিদে হারামে ঘুমালাম। আমার স্বপ্নদোষ হল। তখন আমি সাঈদ ইবনে জুবায়ের রাহ.-কে জানালে তিনি বললেন-

اذْهَبْ وَاغْتَسِلْ.

যাও, গোসল করে নাও। -মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, বর্ণনা ৪৯২৩

আর মসজিদে যেন কোনো নাপাকী না লাগে সেদিকে তো খেয়াল রাখতেই হবে; সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু গোসল ফরয হওয়ার কারণে মসজিদের মেঝের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে পারবে না- এটি নিছক একটি ভুল ধারণা। পায়ে নাপাকী লেগে না থাকলে হেঁটে যেতে সমস্যার কিছু নেই। একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মসজিদে ইতিকাফ অবস্থায়) আয়েশা রা.-কে বললেন, ‘খুমরা’টা (ছোট জায়নামায বিশেষ) দাও। তখন তিনি বললেন, আমি তো হায়েয অবস্থায় আছি। (অর্থাৎ আমি তো অপবিত্র; এ অবস্থায় কীভাবে এটা দিব?)। একথা শুনে নবীজী বললেন-

إِنّ حَيْضَتَكِ لَيْسَتْ فِي يَدِكِ.

হায়েযের নাপাকী তো তোমার হাতে লেগে নেই! (দ্র. সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৯৮; শরহে মুসলিম, নববী) সূত্র- মাসিক আলকাউসার


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ