মাহমুদুল হাসান
বিশেষ প্রতিনিধি>
বিজয়ের মাস। ১৯ ডিসেম্বর রোববার। লক্ষীপুরের আল মুঈন ইসলামি একাডেমি সেজেছে নতুন সাজে। ছাত্র-উস্তাদ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কোরআনের হাফেজদের মিলনমেলা জমে উঠবে কিছুক্ষনের মধ্যেই। এক সঙ্গে পবিত্র কোরআনের হিফজ সম্পন্ন করা ৪৫ কোরাআনে হাফেজ গ্রহণ করবে সমাপনী পাগড়ি।
সকাল গড়িয়ে বিকেল। আল-মুঈন ইসলামি একাডেমি লক্ষ্মীপুর ও জামেয়া মুঈনুল ইসলামের আয়োজনে শুরু হলো বরকতি অনুষ্ঠানে প্রথম অধিবেশন। সাদা জুব্বা/পাঞ্জাবি আর পাগড়িতে শত শত কোরআন প্রেমিরা বসে আছে। অনুষ্ঠানে আল-মুঈন ইসলামি একাডেমি লক্ষ্মীপুর ও জামেয়া মুঈনুল ইসলামের ছাত্রদের বাংলা বক্তৃতা, উর্দু-ইংরেজি কথোপকথন, সংগীত পরিবেশনসহ বিভিন্ন প্রদর্শণী পরিবেশিত হয়।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানকে আরও প্রাণবন্ত করতে ঢাকা থেকে কলরবের ইসলামী নাশীদের একঝাঁক নাশীদ শিল্পী উপস্থিত হয়েছেন। তাদের সঙ্গে এসেছেন সময়ের জনপ্রিয় উর্দু নাশীদ শিল্পী শেখ এনামও। উপস্থিত দর্শক-শ্রোতা মন্ত্রমুগ্ধের হয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে চলে আসে সেই শুভক্ষন। আল-মুঈন ইসলামি একাডেমি লক্ষ্মীপুর ও জামেয়া মুঈনুল ইসলামের শিক্ষকবৃন্দ ও গুনীজনের হাতে এক এক করে ৪৫ ছাত্রের মাথায় পবিত্র কোরআন হিফজ সম্পন্ন করায় পড়িয়ে দেয়া হয় সম্মানের পাগড়ি।
অনুষ্ঠানে প্রধান মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- চরমটুয়া আল আরাবিয়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আবু তাহের, বিশেষ মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- চরমটুয়া আল আরাবিয়া মাদরাসা ও লক্ষ্মীপুর কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা হাফেজ মহিউদ্দিন মাহমুদ, মিরওয়ারিশপুর হোসাইনিয়া মাদরাসা-নোয়াখালী'র সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা জাবের, মাওলানা শাকের, টাঙ্গাইল রিয়াজুল জান্নাহ মডেল মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা মাহবুবুর রহমান, আলোর দিশারী ফাউন্ডেশনের পরিচালক মুফতি মুহাম্মাদ আরাফাত ও ফাউন্ডেশনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। এছাড়াও আরও অনেক ওলামা-মাশায়েখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্বাবধান করেছেন আল-মুঈন ইসলামি একাডেমি লক্ষ্মীপুর ও জামেয়া মুঈনুল ইসলামের সম্মানিত পরিচালক হাফেজ মাওলানা বশীর আহমাদ। সবশেষে দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
-এএ