সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১০ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিরতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম ফুটবলারদের ওমরা পালন ধর্ষণের বিচারে শরয়ি আইন থাকলে, কোন শিশু আর ধর্ষিত হতো না: উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত ধর্ষণ এবং নারীর পরিচয় নিয়ে অবমাননায় ১৫১ আলেমের বিবৃতি ১০ম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম ত্রাণ বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল তারাবিতে ফাইভ জি স্পিডে তেলাওয়াত করবেন না: আজহারী ‘আলেমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

এক রাকাতেই পুরো কোরআন শেষ করলেন যে তরুণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নামাজের এক রাকাতেই পবিত্র কোরআন খতম করেছেন সিরিয়ান বংশোদ্ভূত এক তরুণ হাফেজ। সাত ঘণ্টা ধরে নামাজ পড়ে দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ করেন আবদুর রহমান আল নাবহান নামের এ তরুণ।

ইউটিউবের এক ভিডিওতে আবদুর রহমান জানান, তিনি নামাজের এক রাকাতেই পবিত্র কোরআন খতম করেছেন। পবিত্র কোরআনে ৩০টি পারা ও ২৪০ রুকু রয়েছে। এর আয়াত সংখ্যা ৬২৩৬। দীর্ঘ সাত ঘণ্টায় তিনি মনোযোগসহ পুরো কোরআন তিলাওয়াত করেন বলে জানা ২০ বছর বয়সী।

আবদুর রহমান বর্তমানে তুরস্কের কোনিয়া শহরে বাস করেন এবং স্থানীয় সেলজু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। মূলত তিনি সিরিয়ার ঐতিহাসিক হালব শহরের অধিবাসী।

রাতেরবেলা নামাজে পুরো কোরআন খতম করা তার দীর্ঘ স্বপ্ন ছিল। কারণ ইসলামের তৃতীয় খলিফা উসমান বিন আফফান রা. তাহাজ্জুদ নামাজের এক রাকাতে পুরো কোরআন শেষ করেছেন বলে হাদিসের বর্ণনায় এসেছে। মূলত বিখ্যাত সাহাবির এ ঘটনা তাকে অনুপ্রাণিত করে।

অবশ্য এর আগেও অনেক বার আবদুর রহমান এক রাকাতে কোরআন খতমের স্বপ্ন পূরণে চেষ্টা করেছেন। তবে তিনি বার বার ব্যর্থ হয়েছেন। তবে নিজ স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি ছিলেন অনড়।

তাই অনেক বারের ব্যর্থতা তাকে প্রস্তুত হতে সহায়তা করে। অবশ্য এক রাকাতে কোরআন খতম করে খ্যাতি পাওয়া বা ভাইরাল হওয়া তার উদ্দেশ্য নয়। বরং একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে তা করেছেন বলে জানান তিনি।

জানা যায়, রাত ১১টায় আবদুর রহমান নিজের অনেক দিনের স্বপ্ন পূরণে নামাজে দাঁড়ান। এরপর দীর্ঘ সাত ঘণ্টা পর ভোর ৬টায় তিনি কোরআন খতম করে নামাজ শেষ করেন।

তিনি এমন সময় নির্বাচন করেন যে সময়ে ক্লান্তি ও পরিশ্রম কম হবে এবং পুরো কোরআন শেষ করা সম্ভব হবে। তাই শীতের রাতের সময়কে বেছে নেন। কারণ গ্রীষ্মকালে অল্প কাজেই ক্লান্তি ও ঘেমে যায়। তাছাড়া গ্রীষ্মের রাতের চেয়ে শীতের রাত দীর্ঘ হয়।

আবদুর রহমান জানান, এছাড়া নামাজের স্থান হিসেবে মসজিদকে বেছে নেন তিনি। কারণ ঘরে সময় নষ্টের সম্ভাবনা আছে। এছাড়াও পরিবারের কেউ তার মনোযোগ বিঘ্ন তৈরি করতে পারে। তবে নামাজ শেষ করে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবসহ সবার জন্য দোয়া করেন তিনি। সূত্র: আল শারাক ও আল ইমারাত আল ইয়াওম

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ