আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সুনানে দারেমীতে (কিতাবুল ইলম, ৩০৯-৩১০) হযরত আলী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-
لا خير في عبادة لا علم فيها، ولا خير في علم لا فهم فيه، ولا خير في قراءة لا تدبر فيها.
অর্থাৎ যে ইবাদত ইলম-নির্ভর নয় তাতে কোনো কল্যাণ নেই। যে ইলম বুঝে অর্জন করা হয় না তাতে কোনো ফায়েদা নেই। আর যে অধ্যয়নের মাঝে চিন্তা-ফিকির নেই তা ফলপ্রসূ হয় না।
এই আছরটি ইবনে আবদুল বার রাহ.-এর জামিউ বায়ানিল ইলম (২/৪৪-৪৫)-এ আছে।
সুয়ূতী রাহ. আলহাবীতে জাহিযের এই উক্তি বর্ণনা করেছেন-
إذا نكح الفكر الحفظ ولد العجائب
হিফযের সাথে যখন চিন্তত্ম মিলন ঘটে তখন ফল হয় অভাবিত। একথা স্বতঃসিদ্ধ যে, ইলম শুধু পড়ার নাম নয়, এমনকি মুখস্থ করারও নাম নয়। ইলমের জন্য পড়ার সাথে বুঝাও জরুরি। আর এই বুঝশক্তিকে কাজে লাগিয়ে জানা বিষয় নিয়ে চিন্তা-ফিকির করার নাম ‘তাদাববুর’। যখন তালিবুল ইলমের মাঝে ফিক্হ ও তাদাববুর-এ দুই জিনিসের সমাবেশ ঘটবে তখন আল্লাহর ফযলে সে ইলমের নতুন নতুন বিষয় সামনে আনতে সক্ষম হবে।
যে সকল বিষয় নিরেট ইবাদত, যেমন-কুরআন তিলাওয়াত, যিকির, দুআ ইত্যাদি আমলও বুঝে করা ও চিন্তা-ভাবনার সাথে করা কাম্য। কিন্তু এ সকল ইবাদত বুঝে না করলেও ছওয়াব পাওয়া যাবে। এবং ছওয়াবের সাথে সাথে আরো কিছু ফায়েদা হাসিল হবে। তেমনিভাবে সংগত কারণেই শিক্ষার সূচনাও হয় (অর্থ ও বুঝা ছাড়া) শুধু পড়ার মাধ্যমে। এ বিষয়গুলো আপন স্থানে ঠিক আছে। কিন্তু দ্বীন অনুযায়ী চলার জন্য যে ইলমের প্রয়োজন তা বুঝ সহ ইলম। বুঝা ছাড়া শুধু পড়ার দ্বারা ইলমের মাকছাদ হাসিল হবে না। আর ইহইয়ায়ে সুন্নত ও ইকামতে দ্বীনের জন্য তো পুরোপুরি তাফাক্কুহ ফিদ্দীন ও রুসূখ ফিল ইলমের মাকামে উত্তীর্ণ হওয়া প্রয়োজন।
স্মরণ রাখুন, কিতাব বুঝে পড়া আর না বুঝে পড়ার মাঝে আসমান-যমীনের ব্যবধান। আর কিতাব বুঝার সর্বনিম্ন স্তর হল, তালিবুল ইলম যে বহস পড়বে নিজের ভাষায় উক্ত বহসের খুলাসা পেশ করতে পারে এবং যে বোঝে না তাকে বোঝাতে পারে। বিভিন্নভাবে ঐ বহসের তামরীন করতে পারে এবং অন্যকে তামরীন করাতে পারে।
বোঝা এবং না বোঝা দুটি বিপরীত শব্দ এবং উভয় শব্দের অর্থও স্পষ্ট। তা সত্ত্বেও অধিকাংশ তালিবুল ইলমের কাছে বিষয়টি যেন এক ধাঁধাঁ। তারা অসম্পূর্ণ বুঝকে পূর্ণ বুঝ মনে করে। অস্পষ্ট বুঝকে স্পষ্ট ও স্বচ্ছ বুঝ মনে করে। এমনকি গলদ বুঝকেও বুঝ মনে করে। সুতরাং তলাবায়ে কেরামের প্রতি দরখাস্ত, তারা নির্ধারিত কোনো বহস মুতালাআ করে যেন কোনো উস্তাদকে শুনিয়ে নিজের বুঝ যাচাই করেন।
যিনি হেদায়া পড়েন তিনি ফাতহুল কাদীরের কয়েকটি পৃষ্ঠা মনোযোগ দিয়ে মুতালাআ করে উস্তাদকে শোনাবেন এবং বলবেন, আমি তো এমন বুঝেছি। আপনি দয়া করে আমার বুঝের ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দিন এবং সংশোধন করে দিন। জালালাইনের তালিবে ইলম তাফসীরে ইবনে কাসীর কিংবা তাফসীরে কুরতুবী, মিশকাতের তালিবে ইলম মিরকাত, দাওরায়ে হাদীসের তালিবে ইলম ফাতহুল বারী, ফয়যুল বারী, মাআরিফুস সুনান, ফাতহুল মুলহিম ও তাকমিলা থেকে শোনাবেন।
কাফিয়ার বছর আববাজান মুদ্দা যিল্লুহুমুল আলী আমাকে حمل এর সংজ্ঞা-
اتحاد المتغائرين في المفهوم بحسب الوجود
-এর তরজমা জিজ্ঞাসা করেছিলেন। আমি এর শাব্দিক তরজমা করলাম। তিনি বললেন, এই তরজমা থেকে তো এটাই বোঝা যাচ্ছে না যে, কোনটা মুতাআল্লিক আর কোনটা মুতাআল্লাক। এরপর বললেন, মাফহুম ভিন্ন এমন দুই জিনিসকে ওজুদ-এর দিক থেকে মুত্তাহিদ হওয়ার হুকুম লাগানোই হল হামল (মানতেকের হামল)।
হিদায়ার বছর জিজ্ঞাসা করলেন-
ولأن غسل غير موضع الإصابة أمر تعبدي ...، ولكنه يتعدى ضرورة تعدي الأول.
এই ইবারতের অর্থ ও মর্ম পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছ? ফাতহুল কাদীর থেকে কি এটা মুতালাআ করেছ?
এটা মূলত একটা তাম্বীহ যে, কিতাবের গুরুত্বপূর্ণ ও তুলনামূলক কঠিন জায়গাগুলো মুতালাআ করার পর সমঝদার কারো সাথে মুযাকারা করা উচিত। এসব জায়গার সঠিক ও পরিষ্কার বুঝ হাসিল হওয়ার দ্বারাই কিতাবটা বুঝে পড়া হচ্ছে বলা হবে।
হিদায়া ছালিছের খিয়ারে মজলিসের বহসে أو يحتمله فيحمل عليه এর অর্থ কী?
أو এর আগের ও পরের দুই ব্যাখ্যার মাঝে কী পার্থক্য?
فصل في أحكامه এর প্রথম মাসআলা ও এই ফছলেরই শেষ কয়েকটি মাসআলা : ومن اشترى جارية بيعا -এ ধরণের বেশ কিছু জায়গা আছে, যেগুলোর শুধু শাব্দিক অর্থ জেনেই অধিকাংশ তালিবে ইলম তুষ্ট ও পরিতুষ্ট হয়ে যায় এবং মনে করে, বুঝে গেছে ও গভীর পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।
হিদায়া ছালিছ বুঝে পড়া হয়েছে কি না তা তিনভাবে যাচাই করা যেতে পারে-১. দালায়েল, ওয়াজহে ইসতিদলাল এবং বিপরীত দলিলের জবাব ফন্নীভাবে (শাস্ত্রীয় আঙ্গিকে) দেওয়ার সাথে সাথে সর্বসাধারণের বোধগম্য ভাষায় দিতে পারে কি না। (এটা সর্বনিম্ন স্তর।)
1. হিদায়ায় উল্লেখিত মুআমালা (লেনদেন) সংক্রান্ত মাসআলাকে বর্তমান বাজারের পরিভাষায় পেশ করতে পারে কি না। আহওয়ালে শাখছিয়্যাহ, শাহাদত, ওয়াকালাত এবং কাযার মাসাইল বর্তমান যুগের পরিভাষা ও কানুনের সাথে তুলনামূলক বিশ্লেষণের সাথে পেশ করতে পারে কি না?
2. হেদায়ার জুযয়ী মাসআলা ও উদাহরণ হিসেবে উল্লেখিত মাসআলাগুলো অধ্যয়ন করে ঐ মূলনীতি বুঝতে পারে কি না, যে মূলনীতির অধীনে এই মাসআলাগুলো অন্তর্ভুক্ত। সাথে সাথে এই মাসআলাগুলোতে ঐ কায়েদার মানাত বিদ্যমান আছে এটাও বুঝতে সক্ষম হয় কি না।
এরপর আসে, তাহকীক ও নকদের আন্দাজে হেদায়া পড়ার মারহালা। যে বিষয়ে এখন কোনো আলোচনা করছি না।
তালিবুল ইলম জালালাইন বুঝছে কি না এর এক আলামত এই যে, সে এই তাফসীরের সাহায্যে আয়াতের স্বতস্ফূর্ত অর্থ বুঝতে পারে এবং নিজের ভাষায় আয়াতের প্রাঞ্জল তরজমা করতে পারে। আর তাফসীরকার বন্ধনীর বাইরে কোনো শব্দ বা জুমলা কী উদ্দেশ্যে যোগ করলেন-তাও বলতে পারে। জালালাইনের তালিবে ইলমের মাঝে এতটুকু বিচার বোধ অবশ্যই থাকা জরুরি যে, সে প্রচলিত হাশিয়ার মধ্যে এমন সব মওযূ রেওয়ায়েত, যেগুলোর মতনই অগ্রহণযোগ্য, মুনকার-ইসরাঈলী বর্ণনা, উদ্ভট কিসসা-কাহিনী, মুনকার তাবীল এবং অসংলগ্ন মতামতগুলো চিহ্নিত করতে পারে।
এ ধরনের রেওয়ায়েত কিসসা পড়েও যদি কোনো তালিবুল ইলম বিনা দ্বিধায় হজম করে ফেলে এবং এগুলোর বুতলান ও নাকারাত ধরতে না পারে, এমনকি এসকল স্থানে তার কোনো দ্বিধাও না জাগে তাহলে কোনো সন্দেহ নেই, এই তালিবুল ইলমের মাঝে যওকে সালীম নেই এবং সে সংবেদনশীল মস্তিষ্কের অধিকারী নয়।
যে তালিবুল ইলম সূরা সাফফাতের ১১২ নং আয়াতের অধীনে উল্লেখিত ২২ নং হাশিয়ার বাতিল কথার বুতলান বুঝতে পারে না এবং
انما يخشى الله من عباده العلماء
এই আয়াতের অধীনে কাবীর-এর বরাতে উল্লেখিত কথাটার ভিত্তিহীন ও অরুচিকর হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেই না; বরং তা বর্ণনা করতে থাকে তবে তো তার প্রতি করুণা করা দরকার। আল্লাহ তাআলার কাছে তার জন্য সুস্থ রুচি ও অনুভূতি প্রার্থনা করা উচিত।
মুনকার বিষয়ের নাকারাত দলিলের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হলে শাস্ত্রীয় ইলমের প্রয়োজন। কিন্তু এটা তো হতে পারে না যে, মুনকার কিছু পড়ে বা শুনে কোনো প্রশ্নই জাগবে না। কারণ যদি দ্বিধা হয় তাহলে এতটুকু তো ফায়েদা হবে যে, আহলে ফন থেকে বিষয়টি তাহকীক করার আগে তা বর্ণনা করা থেকে বিরত থাকবে।
শরহে বেকায়ার তালিবুল ইলম যদি উমদাতুর রেয়ায়ার মুকাদ্দিমা এবং উমদাতুর রেয়ায়া (আবদুল হাই লক্ষ্মৌবীর হাশিয়া) মুতালাআ করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন এবং ভালো লাগে তাহলে আশা করা যায়, সে কিতাব বুঝবে। উমদাতুর রিয়ায়ায় যে সমস্ত কিতাবের হাওয়ালা আসে কখনো কখনো যদি অন্তরে ঐ কিতাবগুলো খুলে দেখার আগ্রহ জন্মে তাহলে সেটা কাবেলে মুবারকবাদ ও হুসনে যওকের দলিল।
কিতাবের খুতবার ইবারত- ... لتغير النسخ المكتوبة إلى هذا النمط
এবং কিতাবুয যাকাতের- فانظر إلى هذا الذي زاد في الإيمان ركنا آخر এই ইবারত অনেক তালিবুল ইলমই না বুঝে চলে যায়।
কুদূরী এবং কানযের মাসায়েল হল্ করার পর সেগুলো মুখস্থ ও কণ্ঠস্থ করার চেষ্টা করা উচিত। এখন বাইরুত থেকে এই কিতাবগুলোর তাহকীককৃত এডিশনও ছেপে গেছে। সায়েদ বাকদাশের তাহকীককৃত নুসখা حسا ومعنى উভয় দিক থেকে উত্তম।
কুদুরী ও কানযের তালিবুল ইলমগণ ইযাফী মুতালাআ হিসেবে ‘আছারুস সুনান’ অথবা ‘ইলাউস সুনান’ এর মতন অথবা অন্তত ‘ফিকহুস সুনানি ওয়াল আছার’ মুতালাআ করতে পারেন। এ কিতাবগুলো যদি সম্ভব না হয় তাহলে ‘আলফিকহুল হানাফী ফী ছাওবিহিল জাদীদ’ থেকে গুরুত্বপূর্ণ মাসায়েলের হাদীসী দলিল অবশ্যই নোট করে নিবেন।
নাহবেমীরের তালিবুল ইলমগণ নিজেদের যাচাই করবে এভাবে যে, যে বহছ বা কায়েদা পড়া হয়েছে সে নিজে নিজে এর তামরীন করতে পারে কি না। কুরআন মজীদ তিলাওয়াতের সময় নিজের পড়া বিষয়গুলোর ইজরা করতে পারে কি না? নাহবেমীরে পড়া বহছগুলোর সাথে সম্পৃক্ত যে সকল তামরীন الطريق إلى النحو বা النحو الواضح তে আছে সেগুলো নিজে নিজে হল করতে পারে কি না?
নাহবেমীরের যে তালিবে ইলম ইমামকে ফজরের নামাযে
وما تقدموا لانفسكم من خير تجدوه عند الله، هو خيرا واعظم اجرا
তিলাওয়াত করতে শোনে আর তার যেহেনে এই ইশকাল পয়দা হয় না যে, هو خيرا এখানে মানসুব হল কেন? বিশেষত ইমাম যদি عند الله এর স্থানে ওয়াকফ করে এবং هو خيرا থেকে পড়া শুরু করে তারপরও যদি তার প্রশ্ন না জাগে তাহলে এর অর্থ হল, সে নাহবেমীর পড়ছে ঠিকই, কিন্তু নাহবেমীর তার দিল ও দেমাগে প্রবেশ করেনি। হযরত নানুতুবী রাহ.-এর ভাষায়-
اسكا پڑهنا پڑھنا ہی ہے، گننا نہیں ۔
যে মীযান পড়ছে সে যে ফেয়েল বানানোর নিয়ম পড়বে যেকোনো আরবী শব্দ দিয়ে ঐ ফেয়েলের গরদান ইজরা করতে থাকবে। কুরআন তিলাওয়াত করা বা শোনার সময় ঐ ফেয়েলের কোনো সীগা তার সামনে আসবে আর সে বুঝতে পারবে না এটা কোন সীগা এমন হতেই পারে না। এমন হলে বুঝতে হবে যে, সে মীযান না বুঝে পড়ছে এবং ঐ সীগা থেকে যদি বাকি সকল সীগার গরদান দেওয়ার আগ্রহও না জন্মে এটিও না বুঝে পড়ার আলামত।
মুনশাইব পড়ার সময় যে বাবের সবক পড়া হল তিলাওয়াত করার সময় বা শোনার সময় যদি ঐ বাবের সীগা তালাশ করার অভ্যাস না জন্মে তাহলে এটা বুঝে ও আগ্রহ সহকারে না পড়ার আলামত। মাযীর কোনো সীগা সামনে আসলে ঐ সীগার আইন কালেমার হরকতের প্রতি লক্ষ্য রাখা এবং ঐ শব্দ থেকে কুরআন মজীদে মুযারে, মুস্তাকবিল, আমর-নাহীর কোনো সীগা এসেছে কি না খেয়াল করা সচেতন তালিবুল ইলমের কাজ। এবং এটিও মুনশাইব বুঝে পড়ার একটি আলামত।
মীযান ও মুনশাইব পড়ে যে الطريق إلى العربية - এর তৃতীয় খন্ডের তামরীনগুলো হল করতে পারল না সে কী মীযান-মুনশাইব পড়ল?!
যারা الطريق إلى العربية পড়ছেন তারাও নিজেদের অবস্থা যাচাই করুন। যদি প্রত্যেক সবকের তামরীনগুলো স্বতস্ফূর্তভাবে করতে পারেন তাহলে আল্লাহর শোকর। আর যদি এমন হয় যে, চিন্তা করে করে জবাব দিতে হয়, কখনো কখনো ভুলও হয় এভাবে তামরীনের সওয়াল বুঝে আসে এবং সবকের বাইরে ঐ মাপের এবং ঐ ধরনের বিভিন্ন জুমলাও বুঝে আসে তাহলেও ভালো। কিন্তু আপনাকে অতিরিক্ত অনেক মেহনত করতে হবে।
আর যদি এমন হয় যে, একই ধরনের ভুল বার বার করছেন এবং একই মানের কিতাবের বাইরের জুমলা অধিকাংশই বুঝতে পারছেন না তাহলে আপনার জন্য মশোয়ারা সাপেক্ষে মুনাযযাম তরীকায় (সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনায়) ইয়াদা করা জরুরি।
এই প্রবন্ধে আমার উদ্দেশ্য হল, এ সকল বিষয়ে তালিবুল ইলম ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। তারা নিজ নিজ তালিমী মুরববী এবং নেগরানের হেদায়েত অনুসারে এই বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখবেন। শুধু ‘বুঝি’ এই দাবির কারণে নিজের পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভুলে যাবেন না। নিজের পরীক্ষা নেওয়ার সাধারণ তরিকা এখানে আলোচনা করা হল। এর চেয়ে উত্তম কোনো পন্থা নিজের উস্তাদ থেকেও জেনে নিতে পারবেন। আল্লাহ তাআলা তাওফীক দান করুন। আমীন। সূত্র: মাসিক আল কাউসার
-এটি