শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা ইসলামি লেখক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত, আসছে নতুন কর্মসূচি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে উত্তপ্ত খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

ডায়াবেটিসের সঙ্গে চোখের রোগের কী সম্পর্ক, করণীয় কী?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ডা. মো. মনিরুজ্জামান।।

ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যে রোগের কারণে শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রোগাক্রান্ত হতে পারে। চোখের মনি, লেন্স, রেটিনা, চোখে ছানি পড়া, চোখের ইনফেকশন- সবকিছুই ডায়াবেটিসের কারণে আক্রান্ত হতে পারে। যেসব রোগের কারণে মানুষ অন্ধ হয়ে যায়, তার মধ্যে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি একটি।

ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথিকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীকে বছরে অন্তত একবার তার চোখের রেটিনা পরীক্ষা করাতে হবে।

রোগীর চোখের সেন্টার পয়েন্ট যতক্ষণ ভালো থাকে, ততক্ষণ তার চোখে কোনো সমস্যা হয় না, সে চোখে দেখতে পারে। যখন চোখের সেন্টার পয়েন্ট খারাপ হয়ে যায়, তখন চিকিৎসকরা চেষ্টা করেন রোগীর দৃষ্টিশক্তি ধরে রাখার জন্য বা ভালো রাখার জন্য। এক্ষেত্রে কিছু কিছু রোগীর দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়। কিন্তু কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে আর কোনো কিছুই করার থাকে না। তাই সময়মতো রোগের চিকিৎসা করাতে হবে।

কারো যদি ১০ বছর ধরে ডায়াবেটিস থাকে এবং সেটি যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে, তবে সেক্ষেত্রে রেটিনায় কিছু পরিবর্তন আসলেও সেটি গ্রহণযোগ্য মাত্রায়। কিন্তু যাদের ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত, তাদের কারো কারো ক্ষেত্রে ৩/৪ বছর ডায়াবেটিসের মধ্যেই রেটিনা খারাপ হয়ে যায়।

ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে প্রথমে করণীয় হচ্ছে, তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিক রাখার জন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। মেডিসিন এবং ইনসুলিনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

চোখের যদি কোনো সমস্যা না থাকে তবুও প্রতি বছরে অন্তত একবার রেটিনা পরীক্ষায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। আর যদি চোখের সমস্যা থাকে, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিত্সা নিয়ে ফলোআপে থাকতে হবে।

সূত্র: ডক্টর টিভি।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ