শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা ইসলামি লেখক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত, আসছে নতুন কর্মসূচি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে

চীনের ঐতিহাসিক পুখুয়েই মসজিদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাজী আব্দুল্লাহ ।।

চীনের হেইলুংচিয়াং প্রদেশের কিকিহারে ঐতিহাসিক পুখুয়েই মসজিদ অবস্থিত। মসজিদটি পুখুয়েই সড়কের পাশে হওয়ায় তার নামেই নামকরণ করা হয়। চিং রাজবংশের শাসনকালে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। ২০০৬ সালে মসজিদটিকে জাতীয় ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের জন্য সংরক্ষিত স্থানের মর্যাদা দেওয়া হয়। এটি চীনের প্রদেশের বৃহত্তম ও প্রাচীনতম মসজিদ।

ইতিহাস

কিকিহারে একটি কথা প্রচলিত আছে যে, "মসজিদটি পুখুয়েই শহর প্রতিষ্ঠারও অনেক আগে থেকেই ছিল"। ১৯৫৮ সালে দুটি মসজিদকে একত্রে পুনর্গঠন করে "কিকিহর মসজিদ" নামকরণ করা হয়।

১৯৮০ সালে মসজিদটি শহর পর্যায়ের সংরক্ষিত সাংস্কৃতিক প্রতীক হিসাবে এবং ১৯৮১ সালে প্রাদেশিক পর্যায়ের সংরক্ষিত সাংস্কৃতিক প্রতীক হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয় এবং মসজিদের নাম পরিবর্তন করে "পুখুয়েই মসজিদ" করা হয়। সে বছরে একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে পূর্বের মসজিদের অবস্থা তুলনামূলকভাবে ভাল থাকলেও পশ্চিম মসজিদের কাঠামো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৯৮৯-১৯৯০ সালে পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করা হয়। ২০০৬ সালের ২৫ জুন গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাজ্য সরকার মসজিদটিকে জাতীয় সংরক্ষিত স্থানের ষষ্ঠ পর্যায়ের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।

ভবন

"পুখুয়েই" নামটি একটি দাউর ভাষা থেকে চীনা ভাষায় এসেছে, যার অর্থ "মঙ্গলজনক"। পুখুয়েই মসজিদটি মূলত দুটি পৃথক মসজিদ নিয়ে গঠিত।

পূর্ব মসজিদ

পূর্ব মসজিদটি একটি তিন তলা ভবন বিশিষ্ট। ৩৭৪ বর্গমিটার (৪,০৩০ ফুট) এলাকা জুড়ে অবস্থিত। কিকিহার শহর প্রতিষ্ঠার সাত বছর পূর্বে কঙ্গসি সম্রাটের রাজত্বের সময়কালে ১৬৮৪ সালে নির্মাণ করা হয়।

পশ্চিম মসজিদ

পশ্চিম মসজিদটি একটি দুই তলা ভবন বিশিষ্ট। ১৭৩ বর্গমিটার (১,৮৬০ ফুট) এলাকা জুড়ে অবস্থিত। গানসু থেকে আসা জহরিয়া মেনহুয়ান অনুসারীদের দ্বারা জিয়ানফেং সম্রাটের রাজত্বের সময়কালে ১৮৫২ সালে নির্মাণ করা হয়েছে।

মসজিদ প্রাঙ্গণটি প্রায় ৬,৪০০ বর্গ মিটার (৬৯,০০০ বর্গফুট) এলাকা জুড়ে অবস্থিত। তারমধ্যে প্রায় ২,০০০ বর্গ মিটার (২২,০০০ বর্গফুট) এলাকা নিয়ে মসজিদ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। দুটি নামাজঘরে মোটামুটি ৪৫০ জন মুসল্লি নামাজ পড়তে পারে। সূত্র: উইকিপিডিয়া

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ