শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প

আগস্টের শেষের দিকে ইবির অনলাইন পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। সেই থেকে বন্ধ রয়েছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

কভিড শুরুর দিকে বিভাগগুলোতে নামমাত্র অনলাইনে ক্লাস চললেও তা এখন বন্ধ। এদিকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা আটকে আছে দীর্ঘদিন। পরীক্ষা না হওয়ার কারণে বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।

এমতাবস্থায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ অনলাইনে পরীক্ষা দিতে চান। তবে অনলাইন পরীক্ষা নিয়ে অন্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

অনলাইনে পরীক্ষার বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম প্রতিবেদককে বলেন, অনলাইনে পরীক্ষার বিষয়টি নিয়ে আমরা একটা নীতিমালা করে সব বিভাগে পাঠিয়ে দিচ্ছি। নীতিমালার আলোকে বিভাগগুলো থেকে প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে। সেটা পেলে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞপ্তি আকারে পরীক্ষার রুটিন জানিয়ে দেওয়া হবে। এতে সপ্তাহ দুইয়ের মতো সময় লেগে যাবে।

গত ২৮ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ও মাস্টার্সের পরীক্ষা সশরীরে ও অনলাইনে গ্রহণের নির্দেশনা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এতে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশনা দেন।

সে মোতাবেক পরীক্ষার বিষয়ে গত ১৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি স্ব-স্ব বিভাগের উপর ছেড়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট বিভাগ চাইলে সশরীরে কিংবা অনলাইনে পরীক্ষা নিতে পারবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি টেকনিক্যাল কমিটি করে দেওয়া হয়। টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এবং কমিটির পরামর্শক্রমে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে ওই সভায় অধিকাংশ বিভাগ সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণের পক্ষে সুপারিশ করেছিলেন।

সভা পরবর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করেছে। গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

টেকনিক্যাল কমিটি অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের প্রক্রিয়া ও পরামর্শ জানতে স্ব-স্ব অনুষদীয় ডিনদের চিঠি দেয়। সেই মেতাবোক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগসমূহ নিজেদের সক্ষমতা ও প্রক্রিয়ার বিষয়গুলো ডিনদের কাছে জমা দেয়। বিভাগ থেকে ডিন অফিস হয়ে এসব পরামর্শ বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারকদের টেবিলে। গতকাল সেই নীতিমালা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি চূড়ান্ত নীতিমালা করেছে। যা প্রত্যেক বিভাগে পাঠানো হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া শেষ হতে আরও দুই সপ্তাহ লাগবে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ