শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল

অতিরিক্ত কফি পান: ডেকে আনতে পারে ৮ বিপদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: অফিসের কাজের ফাঁকে কিংবা একটু ক্লান্তি বোধ হলে শক্তি বাড়াতে এবং শরীরকে সতেজ করে তুলতে অনেকেই কফি পান করেন। অনেকের আবার দিনে পাঁচ-ছয় কাপ কফি সেবনের অভ্যাস রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কফি শরীর তরতাজা করে তুলতে পারে ঠিকই, কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত কফি সেবন বিপদ ডেকে আনে। কফি পানে যেমন নানা উপকারিতা পাওয়া যায় ঠিক তেমনি অতিরিক্ত কফি সেবনে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত কফি পানে যেসব শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়-

উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয়: পরিমিত মাত্রায় কফির সেবন, উদ্বেগ কমাতে সহায়তা করে। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত কফির সেবন, ঠিক উল্টো প্রভাব ফেলে, অর্থাৎ উদ্বেগ বাড়িয়ে দিতে পারে। অত্যধিক পরিমাণে কফি পান করার ফলে উদ্বেগ বাড়তে পারে। এর ফলে বিরক্তি বোধও বাড়তে পারে।

অনিদ্রা: অনিদ্রা অলসতা প্রতিরোধ করার সব থেকে কার্যকর উপায় হল কফি পান। তবে অতিরিক্ত ক্যাফিন সেবন, অনিদ্রার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষ করে রাতের দিকে কফি পান করলে, ঘুমের সমস্যা হতে পারে। যার ফলে অনিদ্রার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

পেটের সমস্যা দেখা দেয়: অনেকেই সকালবেলা কফি খেতে পছন্দ করেন। কফি গ্যাস্ট্রিন নামক একটি হরমোন নিঃসরণে সহায়তা করে, যা কোলনের কার্যকলাপে আরও গতি বৃদ্ধি করে। তবে অতিরিক্ত কফির সেবনের ফলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

রক্তচাপ ওঠানামা করতে পারে: অতিরিক্ত কফি সেবনের ফলে রক্তচাপ ওঠানামার সমস্যা দেখা দিতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ সময়ের সাথে সাথে ধমনী ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যার ফলে হৃৎপিণ্ডে রক্ত প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে। এর ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কারও যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে থাকে, তবে ক্যাফিন গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই সর্তক থাকা উচিত। কারণ এটি উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

হৃদস্পন্দন দ্রুত হয়: অতিরিক্ত কফি পান শরীরে উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে, যা কারও হৃদস্পন্দনকে আরও দ্রুততর করতে পারে। ক্যাফিনের উচ্চ মাত্রায় গ্ৰহণ হৃদস্পন্দনের দ্রুততর করে দেওয়ার ফলে, বিরক্তি ভাব কিংবা উদ্বেগ দেখা দিতে পারে।

মাথাব্যথা: মাঝে মাঝে পর্যাপ্ত মাত্রায় ক্যাফিন সেবনে মাথাব্যথার উপসর্গগুলি দূর হয়। তবে মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফিন বিপরীত প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে মাথা যন্ত্রণা এবং মাইগ্রেনের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

ওজন বৃদ্ধি করে: যদি প্রতিদিন দুধ, ক্রিম এবং চিনি দিয়ে কয়েক কাপ কফি সেবন করা হয় তাহলে ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। যার ফলে খুব সহজেই ওজন বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। এমনকি অতিরিক্ত কফি সেবনের ফলে অনিদ্রার সমস্যা দেখা দেয়, যা ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী হতে পারে।

ক্লান্তি ভাব: চা, কফি এবং অন্যান্য ক্যাফিনযুক্ত পানীয় শক্তি বাড়িয়ে দেয়। তবে অতিরিক্ত ক্যাফিনের সেবন বিপরীত প্রভাব ফেলতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে , ক্যাফিনের সেবন বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য সতেজতা এবং শক্তির যোগান দেয়। তবে ক্যাফিনের প্রভাব কমে যাওয়ার পরবর্তী সময়ে, স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ক্লান্তি অনুভূতি হয়।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ