শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর কমিটি ঘোষণা উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই: ধর্ম উপদেষ্টা পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে আলেম অন্তর্ভুক্তির দাবি হেফাজতে ইসলামের সিংগাইরে হেফাজতে ইসলামের গণসমাবেশ ২৯ সেপ্টেম্বর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা হলে ‘হাত ভেঙে’ দেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘জুলাই বিপ্লবে আলেম-শিক্ষার্থীদের অবদান ও প্রত্যাশা’ নিয়ে আলোচনা সভা সোমবার সিলেটে অনুষ্ঠিত বিহানের ‘লেখালেখি ও এডিটিং কর্মশালা’ দেশে ফিরে কর্মফল ভোগ করুন, শেখ হাসিনাকে জামায়াতের আমির রাষ্ট্র সংস্কারে ইসলামবিরোধী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না: জাতীয় পরামর্শ সভা যাত্রাবাড়ীতে জাতীয় পরামর্শ সভায় গৃহীত হলো ৭ প্রস্তাব

অগ্নিকাণ্ড থেকে রেহাই পাওয়ার আমল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ফরহাদ খান নাঈম।। অগ্নিকাণ্ড একটি বড় ধরনের দুর্যোগ যা থেকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তায়ালার আশ্রয় কামনা করতেন। তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন আল্লাহ যেনো তাকে অগ্নিকাণ্ডসহ অন্যান্য বিপদ থেকে রক্ষা করেন।

আবুল ইয়াসার রা. থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দোয়া করার সময় বলতেন-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْهَرَمِ وَالتَّرَدِّي وَالْهَدْمِ وَالْغَمِّ وَالْحَرِيقِ وَالْغَرَقِ وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ يَتَخَبَّطَنِي الشَّيْطَانُ عِنْدَ الْمَوْتِ وَأَنْ أُقْتَلَ فِي سَبِيلِكَ مُدْبِرًا وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أَمُوتَ لَدِيغًا
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি চরম বার্ধক্য, উপর থেকে পড়া, ঘরচাপা পড়া এবং দুঃখ-দুশ্চিন্তা, অগ্নিকান্ড এবং পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করা থেকে, আর আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি যাতে মৃত্যুকালে শয়তান আমাকে বিপথগামী করতে না পারে এবং আপনার আশ্রয় চাচ্ছি যাতে আপনার রাস্তায় জিহাদকালে পৃষ্ঠ প্রদর্শনপূর্বক মারা না যাই। আর আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি, যাতে সর্প দংশনে মারা না যাই। নাসাঈ: ৫৫৩১

প্রতিটি মুসলমানের উচিত আল্লাহর কাছ থেকে সব ধরনের বিপদ-আপদ থেকে সুরক্ষা চাওয়া যেমনটি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চেয়েছিলেন বলে উপরোক্ত হাদিস দ্বারা জানা যায়। কেননা একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই সবাইকে সবধরনের বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করতে পারেন।

ওলামায়ে কেরাম বলেন, যদি কোথাও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা দেখা যায়, তাহলে উপস্থিত সকলের উচিৎ জোরে জোরে তাকবীর (আল্লাহু আকবার) বলা। কারণ অগ্নিকাণ্ডের সময় জোরে জোরে তাকবীর বললে আগুন দ্রুত নিভে যায় এবং এর ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে উমর ইবনুল আস রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেন, ‘তোমরা যখন কোথাও আগুন দেখো, তখন তোমরা তাকবির দাও। কেননা, তাকবির আগুন নিভিয়ে দেবে।' তাবরানি: ১/৩০৭

শায়খ ইবনে তাইমিয়া তার আল-ফাতাওয়া আল-কুবরায় বলেছেন, সালাতে উঠানামা করার সময় আমরা যা বলি, তাই হচ্ছে তাকবীর। সালাতের বাইরে তাকবীর সাধারণত কোনো উঁচু স্থানে উঠে দেওয়া মুস্তাহাব। তাকবীরের ধ্বনি আগুনকে নির্বাপিত করে এবং তাকবীর ধ্বনি শুনে শয়তান পলায়ন করে। ৫/১৮৮

শায়খ ইবনুল কাইয়্যিম জাওযি রহ. যাদুল মাআদ গ্রন্থে বলেন: শয়তান আগুনের নির্যাস দ্বারা তৈরি। আগুনের দুটি বৈশিষ্ট্য: প্রথমত ব্যাপক বিস্তার লাভ করা এবং সাধারণভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করা। এই দুটি বৈশিষ্ট্য শয়তানের বৈশিষ্ট্যের সাথে মিলে যায়।

শয়তানও আগুনের মতোই মানবহৃদয়ে আধিপত্য বিস্তার করতে চায় এবং মানুষকে ধ্বংসের দিকে আহ্বান করে। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার মহিমা সবসময় শয়তানকে অবদমিত এবং পরাজিত করে। আর এ কারণেই অগ্নিকাণ্ডের সময় আল্লাহ তায়ালার বড়ত্বের ঘোষণা তথা তাকবীর দেওয়াতে আগুন দ্রুত নিভে যায়।

শয়তান আর আগুনের বৈশিষ্ট্য এবং ধর্ম যেহেতু এক; আর আল্লাহর তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করলে শয়তান যেমন পালিয়ে যায়, তেমনিভাবে আগুনও নিভে যায়। আর বড় বড় অগ্নিকাণ্ডের সময় উচ্চস্বরে তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করায় আগুন নিভে গেছে বলে বহু প্রমাণ রয়েছে। ৪/১৯৪

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ