সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১০ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিরতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম ফুটবলারদের ওমরা পালন ধর্ষণের বিচারে শরয়ি আইন থাকলে, কোন শিশু আর ধর্ষিত হতো না: উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত ধর্ষণ এবং নারীর পরিচয় নিয়ে অবমাননায় ১৫১ আলেমের বিবৃতি ১০ম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম ত্রাণ বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল তারাবিতে ফাইভ জি স্পিডে তেলাওয়াত করবেন না: আজহারী ‘আলেমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

পাড়ার মসজিদের মক্তবে কুরআন পড়িয়ে বেতন নেওয়ার বিষয়ে দেওবন্দের ফতোয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোস্তফা ওয়াদুদ: করোনার কারণে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এমন পরিস্থিতিতে সকালের মক্তবই একমাত্র ভরসা। যে মক্তব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, করোনার এই সময়ে আবার চালু হয়েছে মসজিদের মক্তবগুলো। পুনরায় সচল হয়েছে মক্তবের বারান্দার সেই গুনগুনানি। শিশুদের কিচিরমিচির আওয়াজ। পাড়ার মসজিদে প্রতিদিন সকালবেলা ভেসে ওঠে কোরআনুল কারীমের সুর। সূরা ও দোয়া কালামের মাধ্যমে সকাল শুরু হয় শিশুদের। এ যেন আবার সেই পুরনো দিন ফিরে এসেছে। পুরনো আমেজ বিরাজ করছে গ্রামজুড়ে। যার সাক্ষী ছিলেন আমাদের মুরুব্বীরা।

কিন্তু আজ আমরা হারাতে বসেছিলাম সেই সুমধুর কোরআন সুর। সেই সকালের মক্তব। করোনার মহামারী এসে আবার সূচনা করে দিলো সেসব মক্তব। এ যেনো করোনার করুণা। তবে করোনার পরেও জারী থাকুক এ করুণা। চালু থাকুক কুরআনের মক্তবগুলো-সে কামনা।

প্রশ্ন হলো সকালের এ মক্তবে কুরআন পড়িয়ে বেতন নিতে পারবে  কি না? এমনই একটি প্রশ্ন দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইটে করেন জনৈক ব্যক্তি।

প্রশ্নকারী তার প্রশ্নে উল্লেখ করেন, ‘আমাদের গ্রামের একটি মসজিদ। যার নাম হামজা মসজিদ। এ মসজিদে একটি মক্তব চালু আছে। যেখানে কুরআনুল কারীম নাজেরা ও হেফজ পড়ানো হয়। মসজিদে গত কয়েকছর যাবত মক্তবের নিজস্ব তহবিল থেকে সাধারণ ব্যয় নির্বাহ করা হতো। যা সাধারণ অনুদানের উপর নির্ভর করতো। বর্তমানেও এ মক্তবের জন্য অর্থায়নে কোন সমস্যা নেই।

এ পরিস্থিতিতে আমি জানতে চাই যে, যেখানে আর্থিক সহায়তা ও অনুদান পেতে কোন ধরণের সমস্যা নেই, সেখানের মক্তবে প্রাথমিক কুরআন শিক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের থেকে ফি নেয়া যাবে কি?’

এমন প্রশ্নে জবাবে দেওবন্দ থেকে বলা হয়, ‘শিক্ষার্থীদের কুরআন পড়ানোর জন্য বেতন নেয়া যেতে পারে। তবে যদি সাধারণ অনুদান দিয়ে কাজ হয়ে যায়, তাহলে ছাত্রদের কাছ থেকে ফি না নেওয়াই ভালো। আর এমন অবস্থায় মক্তবটি মসজিদ কমিটির অধীনে চালানো উচিত। তাহলে হিসাব নিকাশে স্বচ্ছতা রাখা সহজ হবে।’

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ