মো. তাজুল ইসলাম খাঁন।।
(অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং নোটারি পাবলিক (সমগ্র বাংলাদেশ)
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।)
চরিত্র মানব জাতির অমূল্য সম্পদ। এর মাধ্যমে নারী ও পুরুষ ভালো জীবন গড়তে অভ্যস্ত হতে পারে। যার ফলে বিকশিত হয় ফুলের ন্যায় সুন্দর ও নির্দোষ পথচলা। স্বভাব-চরিত্রের আদর্শিক ব্যবহার করা না-হলে আজীবন আফসোস করেও সাফল্যের দ্বারস্থ হওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না।
শিক্ষার্থী হিসেবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ক্লাসের ফার্স্টবয় এবং বাৎসরিক সৎ চরিত্রের মূল্যবান প্রাইজ আমার কখনোই মিস হতো না।
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রচনা প্রতিযোগিতার মতো সরকারি এবং ব্যাংকের চাকুরীকালীন কিছু সময় ভাটা পড়ে গেলেও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের নিয়মিত আইনজীবী সাথে সাথে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমগ্র বাংলাদেশ অধিক্ষেত্রের সফল নোটারি পাবলিক হিসেবে ঢাকা আইনজীবী সমিতির বাৎসরিক রচনা প্রতিযোগিতায় পুরস্কৃত হয়ে আসতে থাকলেও শিক্ষাজীবনে প্রাপ্ত উত্তম স্বভাবের প্রাইজের কথা স্মৃতিপট থেকে কোনো উপায়েই বিলোপ করা যায় না।
নিয়মিত আইন পেশার পাশাপাশি নোটারি সেবা পরিচালনা করতে সিনিয়র, জুনিয়র, নবীন, প্রবীণ ও শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের সাথে আমার সখ্যের কমতি নেই। তারপরেও করোনকালীন আমার কার্যালয়ের সম্মুখ পারাপারকারিনী পর্দানশীন, পার্সোনালিটি সম্পন্না, ইউনিক, কুল ‘ট্রছি’ আপুর অনুপম চরিত্র পর্যালোচনা অবগত হয়ে জীবনের আদর্শিক রুটিন বাস্তবায়নে অনেক ভালো কিছু সংযোজন করতে প্রয়াস পেয়েছি।
কোনো ব্যক্তি ভালো স্বভাবের নারী ও পুরুষের কাছ থেকে চরিত্র গঠনে অনেক কিছুই গ্রহণ করতে পারে। এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। আমাদের প্রিয় বিশ্বনবি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চরিত্র আদর্শে মোহিত হয়ে কাফির-মুশরিকদের ইসলাম গ্রহণের কথা ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ হয়ে রয়েছে। উত্তম চরিত্র দিয়ে শত্রুর মন জয় করা যায়।
সার্বিক আলোচনার প্রেক্ষিতে আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যে, উত্তম চরিত্র গঠনে চাই উত্তম ব্যক্তিদের পারস্পরিক সহযোগিতা ও সাহচর্য। তাই তো ইরানের বিখ্যাত কবি শেখ সাদি (রহ.) -এর উক্তি,
‘ছুহবতে ছালেহ তুরা ছালেহ কুনাদ,ছুহবতে তালেহ তুরা তালেহ কুনাদ।’ অর্থাৎ ‘সৎ সংগে স্বর্গবাস, অসৎ সংগে সর্বনাশ।’
-এটি