শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল

শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে করণীয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যন্ত্রণাদায়ক ও অস্বস্তিকর। দিনের পর দিন হজমজনিত সমস্যার কারণেই কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যায়। প্রাপ্তবয়স্ক থেকে শিশু- সকলেরই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। খাদ্যাভাসের কারণেই কোষ্ঠকাঠিন্যের উপসর্গ দেখা যায়, তবে প্রাপ্ত বয়স্কদের থেকে শিশুদের অবস্থা খানিকটা শোচনীয়। কম পানি খাওয়ার জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যায়। কয়েক মাসের শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হলে তার উপসর্গ বুঝতে, ঘরোয়া উপায়ে শিশুকে আরাম দিতে, সমস্যার উপশম করতে বেশ পরিশ্রম করতে হয়।

শিশুদের ক্ষেত্রে এক বছরের কম বয়সিদের মধ্যে কোষ্ঠাকাঠিন্যের সমস্যা তৈরি হলে তা বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত। আরও সমস্যার হল, তাদের ব্যাথা-যন্ত্রণার অনুভূতি নিয়ে কোনও মত প্রকাশও করতে পারে না দুধের শিশুরা। প্রথমে শিশুর শারীরিক সমস্যার কথা বুঝতে পারেন না অভিভাবকরা। কিছু লক্ষণ রয়েছে যা দেখে বুঝতে পারবেন শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে। খেয়াল করুন মল ত্যাগের সময় শিশু কষ্ট পাচ্ছে কি-না। কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে মল অনেকটা শক্ত হয়ে যায়। এর ফলে মল সহজে বের হয় না।

কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে শিশুর মল শক্ত, কালো এমনকি রক্তাক্ত হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে পেটে ব্যথা হয়ে থাকে। শিশু কান্নাকাটি করে থাকে।

শিশুর পেট ফুলে যায় এবং কিছু খেতে চায় না। পেটে অতিরিক্ত গ্যাস জমার কারণেই এমনটি হয়। এমন সমস্যা তৈরি হলে শিশুরা নিয়মিত মল ত্যাগ করে না। গুরুতর হলে ৫-১০ দিনেও শিশু মল ত্যাগ করে না।

কী করা উচিত

শিশুর এমন সমস্যা দেখা দিলে প্রথমে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ভাল করে চেক-আপ করিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুর দেখভাল করুন।

প্রতিদিন নিয়ম করে ব্রেস্টফিড করাতেই হবে। যদি কোনও ব্র্যান্ডের ফর্মুলা দুধ খায়, তাহলে তার পরিমাণ নিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।

শিশুকে প্রতিদিন ব্যায়াম করান। হাত-পা-পেটে ভাল করে তেল মালিশ ও ব্যায়াম করান। তাতে শিশুর শরীরের রক্ত সঞ্চালন ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি সক্রিয় হয়ে ওঠে। পেট থেকে গ্যাস বের হতে সাহায্য় করে এই পদ্ধতি।

ডাক্তারের নির্দেশে , বাচ্চা যদি ৬ মাসের বেশি বয়স হয় তাহলে অল্প অল্প ফলের রস খাওয়াতে পারেন। খোসা ছাড়ানো আপেলের রস দিতে পারেন। দেখবেন ফলের রস কোনওভাবে টক না হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারও খাওয়াতে পারেন।

ছোট শিশুকে সবসময় শুয়ে না রেখে সাবধানে বসিয়ে রাখতে চেষ্টা করুন। স্নানের সময় বাথটাবে বসিয়ে স্নান করান। এই সমস্যার সময় হালকা গরম পানি দিয়ে শিশুকে স্নান করালে ভাল হয়।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ