শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর কমিটি ঘোষণা উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই: ধর্ম উপদেষ্টা পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে আলেম অন্তর্ভুক্তির দাবি হেফাজতে ইসলামের সিংগাইরে হেফাজতে ইসলামের গণসমাবেশ ২৯ সেপ্টেম্বর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা হলে ‘হাত ভেঙে’ দেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘জুলাই বিপ্লবে আলেম-শিক্ষার্থীদের অবদান ও প্রত্যাশা’ নিয়ে আলোচনা সভা সোমবার সিলেটে অনুষ্ঠিত বিহানের ‘লেখালেখি ও এডিটিং কর্মশালা’ দেশে ফিরে কর্মফল ভোগ করুন, শেখ হাসিনাকে জামায়াতের আমির রাষ্ট্র সংস্কারে ইসলামবিরোধী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না: জাতীয় পরামর্শ সভা যাত্রাবাড়ীতে জাতীয় পরামর্শ সভায় গৃহীত হলো ৭ প্রস্তাব

আল্লামা শাইখুল হিন্দ রহ. এর এক ঘটনা শুনালেন থানভি রহ.

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মাদ মুযযাম্মিল হক উমায়ের।।

আল্লামা শাইখুল হিন্দ রাহিমাহুল্লাহু তাআলা ইলম আমলে ছিলেন উঁচু মাকামের অধিকারী৷ সর্বোচ্চ শিখরে৷ বিনয়েও ছিলেন তেমনি৷ হযরতের ঘটনা৷ বর্ণনা করেন হাকীমুল উম্মত, মুজাদ্দিদে মিল্লত আল্লামা থানবী রাহিমাহুল্লাহু তাআলা৷

আল্লামা শাইখুল হিন্দ রাহিমাহুল্লাহু তাআলা মুরাদাবাদ সফরে যান৷ সেখানের লোকেরা হযরতকে বয়ান করার জন্যে জোরালো আবদার জানালো৷

ওয়াজের বিষয়ে হযরতের অভ্যাস নেই বলে তিনি অপরাগতা জানালেন৷ কিন্তু লোকেরা নাছোড় বান্দা৷ জোরালো আবদার ওয়াজ করতেই হবে৷ তো, হযরত কোন উপায় না পেয়ে অবশেষে আবদার রক্ষার্থে ওয়াজ শুরু করলেন৷ ওয়াজের শুরুতে فَقِيْهٌ وَاحِدٌ أَشَدُّ عَلَي الشَّيْطَانِ مِنْ أَلْفِ عَابِدٍ এই হাদীস পড়লেন৷ হাদীসটির অনুবাদে বললেন- একজন ফকীহ শয়তানের উপর এক হাজার আবেদ থেকে বেশি ভারি৷

মজলিসে একজন বড় প্রসিদ্ধ আলেম ছিলেন৷ তিনি দাঁড়িয়ে বললেন- আপনার অনুবাদ ভুল হয়েছে৷ আর যিনি অনুবাদে ভুল করেন তাঁর জন্যে ওয়াজ করা জায়েজ নয়৷ এই কথা শুনে শাইখুল হিন্দ রাহিমাহুল্লাহু তাআলা চুপ হয়ে বসে যান৷ ওয়াজ বন্ধ করে দেন৷ এবং লোকজনকে বললেন- আমি তো আগেই বলেছিলাম যে, আমি ওয়াজ করতে পারি না৷ এখন তো দেখলেন আমি যে ওজর পেশ করেছিলাম তার উপযুক্ত প্রমাণও পাওয়া গেলো৷

তারপর শাইখুল হিন্দ রাহিমাহুল্লাহু তাআলা ছাত্রসুলভ জানার জন্যে সেই মাওলানা সাহেবকে বললেন- আচ্ছা! তাহলে আমার ভুলটা কী ছিলো বলে দিন৷ যেনো সামনে এধরনের ভুল করা থেকে বেঁচে থাকতে পারি৷ তখন মাওলানা সাহেব বললেন- أشد এর অনুবাদ أثقل (বেশি ভারি) হবে না৷ বরংأشد এর অনুবাদ أضر (বেশি ক্ষতিকর) এই অর্থ আসে৷

এই উত্তর শুনে শাইখুল হিন্দ রাহিমাহুল্লাহু তাআলা আনহুর অন্তরে জোশ চলে আসে৷ বিনয়ের সাথে ঐ আলেমের কাছে জানতে চাইলেন- আচ্ছা, এই أشد শব্দটি হাদীসে ওহীর মধ্যেও এসেছে৷ যেমন, يَأْتِيْنِيِ مِثْلَ صِلصِلَةِ الْجَرَسِ وَهُوَ أَشَدُّ عَلَيَّ তাহলে এখানেও কী অনুবাদ أضر (বেশি ক্ষতিকর) এই অর্থ করা হবে৷ তখন তো অর্থ হবে ওহী হুজুর সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্যে বেশি ক্ষতিকর ছিলো৷ আল ইয়াযু বিল্লাহ৷ এই ব্যাখ্যা শুনে ঐ আলেম একদম মাথা নিচু করে ফেলেন৷ মূলত শাইখুল হিন্দ রাহিমাহুল্লাহু তাআলা এই ব্যাখ্যা দ্বারা ঐ আলেমকে বুঝাতে চাইলেন- আমি যে অনুবাদ করেছি সেটিই সঠিক অনুবাদ৷ [মূলসূত্র: আকাবিরে দেওবন্দ কিয়া থে]

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ