শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল

১৬ বছরের নিচে কাউকে মোবাইল দেয়া বিপদজনক: ডা. প্রাণ গোপালের গবেষণা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বিশিষ্ট নাক, কান গলা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেছেন, ১৬ বছরের কমবয়সী কারো হাতে মোবাইল ফোন দেয়া উচিত নয়। শুধু উচিত নয়, বিষযটা এমন না, বরং চরম বিপদজনক। কেননা অনেক্ষণ মোবাইল ফোনে কথা বললে মাথা ব্যথা, ঘুম না আসা, সহজ বিষয়ও ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। একটানা বেশি সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করার কারণে তিনটা জয়েন্ট অকেজো হচ্ছে- শোল্ডার, এলবো, রিস্ট জয়েন্ট।

সম্প্রতি চট্রগ্রামের ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (ইউএসটিসি) আয়োজনে মাওলানা ভাসানী অডিটোরিয়ামে ‘মোবাইল ফোন : স্বাস্থ্য ঝুঁকি’ শীর্ষক এক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ গবেষণার কথা বলেন।

উপস্থাপনায় মোবাইল ফোন ব্যবহার ও এর ঝুঁকি থেকে বাঁচতে কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন অধ্যাপক ডা. প্রান গোপাল দত্ত। সুপারিশমালায় তিনি বলেন- দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ফোনে কথা বলা উচিত নয়। তিন মিনিটের বেশি কথা না বলাই ভালো। কথার মাঝখানে ১৫ মিনিট বিরতি নেয়া, প্রয়োজনে স্পিকার বা হেডফোন ব্যবহার করা। এছাড়াও মোবাইলের বেইজ স্টেশন থেকে দূরে থাকতে হবে। রাস্তা পারাপারের সময় ফোনে কথা নয়।

আইসিইউতে মোবাইল ব্যবহারের ব্যাপারে প্রাণ গোপাল বলেন, সার্জনরা যখন অপারেশন করেন তখন ওটির ভেতর মোবাইল ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, ওই মোবাইলের রেডিয়েশনটা রোগীকে দিচ্ছেন। আর অপারেশনকালীন যেসব মেশিন আমরা ইউজ করি তার ম্যালফাংশনিং হতে পারে। অনেকেই অপারেশন করছেন, ওই সময় অনেকের মোবাইল আসছে। ওই সময় যদি এমন কোনো সংবাদ আসে যে, আপনার ছেলে এক্সিডেন্ট করছে, তখন তিনি কীভাবে অপারেশন কন্টিনিউ করবেন? অথবা আপনার বাবা মারা গেছেন। তখন এ সংবাদ শোনার পর আপনি কীভাবে অপারেশন কন্টিনিউ করবেন?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষণার বরাত দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এ উপাচার্য বলেন, মোবাইল ফোন ও এর বেইজ স্টেশন থেকে আনলাইকলি ক্যান্সার, ব্রেইন টিউমার ও স্লেভারি গ্লান্ড টিউমারের ঝুঁকির শঙ্কা রয়েছে। মোবাইল ফোন আসার পর আমেরিকায় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ৪ গুণ। মৃত্যুর হার বেড়েছে ১০ গুণ। তাছাড়া মোবাইলে ট্র্যাপ এখন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। আর ফেসবুক তো আছেই। এক গবেষণায় তথ্য- ফেসবুক মানুষের মস্তিস্কে কোকেনের মতোই আসক্তি সৃষ্টি করে।

ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত আরও বলেন, বিল গেটস ১৪ বছরের আগ পর্যন্ত নিজের কোন ছেলেকে মোবাইল দেননি। মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিল গেটস জানেন বলেই দেননি।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ