মুফতি মোহাম্মদ এনামুল হাসান।।
করোনা মহামারিসহ নিত্যনতুন বিপদাপদ কিছুতেই পিছু ছাড়ছ না আমাদের। বিপদাপদ আমাদের ঘিরে ধরেছে। ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ আসার খবরও শুনা যায় হার হমেশা। করোনার কারণে অসংখ্য মানুষ কর্মহীন হয়ে যাওয়ায় অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে নেমে এসেছে চরম অভাব অনটন। তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন করাই এখন দুস্কর হয়ে উঠেছে। নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় দু’ মুঠো ভাত জোগাড় করতে খেতে হচ্ছে হিমশিম। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতেও অন্যের কাছে হাত পাততে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের।
অসংখ্য শিক্ষার্থীর অমূল্য শিক্ষাজীবন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এর অনৈতিক প্রভাব ফেলেছে পারিবার ও সমাজে। অবসর সময় পার করতে বেছে নিচ্ছে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড। যার কারণে পারিবারিক বন্ধন ও ভেঙ্গে পড়ছে। অভাব অনটনের কারণে চুরি ডাকাতি, কিশোরগ্যাংসহ নানাহ অপরাধে ও জড়িয়ে যাচ্ছে আমাদের আগামীদিনের শক্তি তরুণসমাজ।
অর্থাৎ আমাদের প্রতিটি সূচকে এখন বিরাট এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে, যা আমাদের আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মানে অন্তরায়। রাষ্ট্রের দায়িত্বশীদের পারিবারিক সামাজিক বন্ধনকে অটুট রাখতে ও নিতে হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
নতুন কোনো ফর্মূলা বের করে শিক্ষার্থীদের যেকোনো মূল্যে লেখাপড়ার পরিবেশে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও তরুণদের মাঝে ধর্মীয় বিশ্বাসের আলোকে নৈতিকতাবোধ জাগ্রত করা ও সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দাবি। কারণ, বিপদাপদ থেকে কাটিয়ে উঠে আমাদের বাংলাদেশকে আগামীদিনের একটি সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়ে তুলতে প্রয়োজন নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন একদল সোনার মানুষের।
প্রত্যেক মহামারি আসে বান্দাহর সীমাহীন পাপাচারের কারণে। বান্দাহ যখন তার প্রভুর নাফরমানীতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে যায় তখনই বান্দাহকে পরিশুদ্ধ করতে সাময়িক বিপদাপদ দিয়ে পরিক্ষা করার নিমিত্তে দুনিয়ায় নাযিল করা হয় মহামারীসহ বিভিন্ন আযাব গজব।
অতএব আসুন, নিজের পাপাচার থেকে তাওবা ইস্তেগফার,দোয়া কান্নাকাটির মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছেই ফিরে আসি। আল্লাহকে যেভাবেই হোক সন্তুষ্ট করি। কারণ বান্দাহর প্রতি আল্লাহ তায়ালার রয়েছে সীমাহীন দয়া আর ভালবাসা। আমরা যদি আল্লাহতায়ালার সেই ভালবাসা অর্জন করতে পারি তাহলে করোনা ভাইরাস সহ সকল মহামারি থেকে আমরা মুক্তি পেয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।
লেখক: উস্তাদ, জামিয়া কোরআনিয়া সৈয়দা সৈয়দুন্নেছা ও কারিগরি শিক্ষালয় কাজীপাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া।