শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা ইসলামি লেখক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত, আসছে নতুন কর্মসূচি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে

আমাদের একজন মাহফুজুল আলম ছিলেন; মুকুলেই তিনি চলে গেলেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

।।কাউসার লাবীব।।

চলে গেলেন কলরবের জনপ্রিয় তরুণ নাশিদ শিল্পী মাহফুজুল আলম। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ২০ জুলাই (মঙ্গলবার) সকাল ৮ টায় তিনি রবের ডাকে সাড়া দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। বাদ আসর তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

নাশিদ শিল্পী মাহফুজুল আলমের জন্মস্থান নরসিংদী। ছোটবেলা থেকে ইসলামী সঙ্গীত গেয়ে জনপ্রিয় এ শিল্পী ২০১০ থেকে কলরবের শিল্পী হয়ে নিয়মিত গেয়েছেন দেশজুড়ে।

এ পর্যন্ত ২০টিরও বেশি একক নাশিদ এবং ৩০টিরও বেশি কোরাস নাশিদ গেয়েছেন তিনি। মাহফুজুল আলম পড়াশোনার পাশাপাশি ছিলেন কলরবের সিনিয়র শিল্পী এবং নাশিদ কম্পোজার হিসেবে কাজ করেছেন সফলভাবে।

২০১০ সালে কলরবে কাজ শুরু করে ‘মায়ের কথা’, ‘তোমার বন্ধু উপর তলায় বাসা’, ‘শয়নে স্বপনে মা’সহ বেশ কয়েকটি নাশিদ রিলিজ করেন সেই সময়ের এই শিশুশিল্পী। যেগুলো ইসলামী সঙ্গীতপ্রেমীদের মনে এখনো গেঁথে আছে।

বড় হয়ে ‘ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মাদ’, ‘হৃদয় মাঝে মালা গাঁথি’, ‘আমি চাই না বাঁচতে’, ‘নবী মোর পরশমণি’, নাতে রাসুল, প্রিয় বাবাসহ অসংখ্য নাশিদ গেয়ে নিজের সংগীত ক্যারিয়ার উজ্জ্বল করেন মাহফুজুল আলম।

তিনি কলরবের পাশাপাশি হলিটিউন স্টুডিওর সাউন্ড ডিজাইনারের দায়িত্ব পালন করেছেন। ইউটিউবে এ শিল্পীর ব্যক্তিগত চ্যানেল রয়েছে যেটিতে ১ লাখ ৬০ হাজারের মানুষ যুক্ত রয়েছেন। চ্যানেলটিতে নিয়মিত নাশিদ রিলিজ করতেন।

ছোটবেলা থেকেই সরাসরি মঞ্চে গান গেয়ে উঠে এসেছেন মাহফুজুল আলম। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী কোনো স্মৃতি বা মনে রাখার মতো কোনো ঘটনা জানতে চাইলে তিনি একবার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়ে ছিলেন, ‘আমি খুব ছোট থেকেই ইসলামী সঙ্গীত গেয়ে আসছি। এরকম অনেক স্মৃতি আছে যা এখনো স্পষ্ট মনে আছে। যেমন একবার এক অনুষ্ঠানে আমার নাম ডাকা হলো আমি স্টেজে গেলাম এবং ডেস্কের পেছনে দাঁড়িয়ে গান গাচ্ছিলাম, মাঝখানে দর্শকরা ‘দেখি না’ বলে চিৎকার করা শুরু করল। তখন গান থামিয়ে আমাকে একটা চেয়ারের ওপর দাঁড় করানো হলো, এরপর আবার প্রথম থেকে গাইতে হয়েছিল।’

শিল্পী মাহফুজ এখন অনেক বড় হয়েছেন। দেশের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে হয়তো আবারো কোনো স্টেজে তিনি গাইতেন মহান প্রভূ ও তার রাসুলের শানে অনিন্দ্য নাশিদ। মাঝখান থেকে দর্শকরা এখন আর ‘দেখি না’ বলে চিৎকারও করবে না; কেননা মাহফুজ এখন অনেক বড়। তাকে এখন চেয়ার ছাড়াই দেখা যায়। কিন্তু তা আর হবে না। সে আর মায়ের গান গেয়ে মা পাগলদের চোখে জল আনবে না। আর গেয়ে উঠবে না ‘ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মাদ’ কিংবা ‘নবী মোর পরশমণি’।

তরুণ শিল্পী মাহফুজুল আলমের সব অপরাধ ক্ষমা করে মহান প্রভূ তার রহমতের চাদরে ঢেকে দিক। আমিন।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ