শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা ইসলামি লেখক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত, আসছে নতুন কর্মসূচি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে উত্তপ্ত খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

মাহমুদ আব্বাসের পদত্যাগ দাবিতে রাজপথে ফিলিস্তিনিরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এবার মাহমুদ আব্বাস সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছে ফিলিস্তিনিরা।  গত প্রায় ছয় দিন ধরে রাজপথে বিক্ষোভ-মিছিল করছে তারা। তবে এবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে নয়। নিজ দেশের সরকারের পদত্যাগের দাবিতে।

বিক্ষোভকারী ফিলিস্তিনিদের দাবি, ফিলিস্তিনে ইসরাইলের সহায়ক শক্তি হয়ে উঠেছে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সরকার। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (প্যালেস্টিনিয়ান অথোরিটি বা পিএ) নামে একদিকে ইসরাইলি সেটেলারদের দখলদারিতে সহযোগিতা করছে।

অপরদিকে নিজ নাগরিকদের ওপরই চালাচ্ছে ধরপাকড় ও দমন-পীড়ন। শুধু তাই নয়, বিরোধী নেতাদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে হত্যা করছে। নিজ দেশের প্রশাসনের এ অত্যাচার-নির্যাতনে ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরা। সেই ক্ষোভের প্রকাশ ঘটছে রাজপথে। উত্তাল হয়ে উঠেছে অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে শুরু করে রামাল্লা, পূর্ব জেরুজালেম ও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা পর্যন্ত। লাখো কণ্ঠে স্লোগান উঠছে ‘স্টেপ ডাউন, আব্বাস' তথা ‘মাহমুদ আব্বাস সরকার, এই মুহূর্তে গদি ছাড়'।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করে গড়ে ওঠে ইসরাইল। দেশটির এই দখলদারি আজও অব্যাহত রয়েছে। বাধা দিলেই চলে নির্মম নির্যাতন-নিপীড়ন। ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে এই ইসরাইলি নীতিই বাস্তবায়ন করে চলেছে মাহমুদ আব্বাসের সরকার ফিলিস্তিনি কতর্ৃপক্ষ। শাসন-শোষণ, ধরপাকড় থেকে শুরু করে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সবই করছে। আব্বাস সরকারের এই স্বেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে এবার রুখে দঁাড়িয়েছে সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। সর্বশেষ সরকারের নিরাপত্তা হেফাজতে নিজার বানাত নামে এক বিরোধী নেতারমৃত্যুর পরই নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়।

বানাতকে হত্যার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনের শ্রমমন্ত্রী নাসরি আবু জাইশ রোববার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জোট সরকারের শরিক দল বামপন্থি পিপলস পার্টির নেতা। খবর আরব নিউজের। আলজাজিরা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ হেফাজতে মাহমুদ আব্বাস সরকারের কট্টর সমালোচক হিসাবে পরিচিত নিজারেরমৃত্যু হয়। মাহমুদ আব্বাসের সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি মারা যান। নিহত নিজার বানাতের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, আটকের পর ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর দুই ডজন সদস্য বানাতকে লাঠি ও ধাতব রড দিয়ে মাথায় আঘাত করাসহ নির্যাতন করেন। পরে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বানাতেরমৃত্যুর কথা জানতে পারেন তারা।

মৃত্যুর পর থেকে টানা পাঁচ দিন ধরে এ অধিকারকর্মীরমৃত্যুর প্রতিবাদে রামাল্লায় বিক্ষোভ হচ্ছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার ফিলিস্তিনের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ফিলিস্তিনি পতাকা এবং নিহত বানাতের ছবি সংবলিত পোস্টার দেখা যায়। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ৮৫ বছর বয়সি মাহমুদ আব্বাসের পদত্যাগেরও দাবি জানান ফিলিস্তিনিরা। একই সঙ্গে ‘আমরা এই সরকারকে ছুড়ে ফেলতে চাই' এবং ‘পদত্যাগ করুন, আব্বাস!' স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ইসমাত মানসুর নামে এক ফিলিস্তিনি বলেন, ‘আমরা সামগ্রিকভাবে একটি রাজনৈতিক সংস্কার চাই। যার মাধ্যমে সত্যিকার অর্থেই মানুষের স্বার্থ প্রতিফলিত হবে।'

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ