শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা

পাকিস্তান বেফাকের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার ১৩ দিন পরই আল্লাহর ডাকে সাড়া দিলেন তিনি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম।। দ্বিতীয়বারের মত ৫ বছরের জন্য বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার পাকিস্তানের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার ১৩ দিন পরই তিনি আল্লাহর ডাকে সাড়া দিলেন জামিয়া উলুুমিল ইসলামিয়ার মুহতামিম মাওলানা ডা. আবদুল রাজ্জাক ইস্কান্দার।

গত ১৭ জুন ২০২১ বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের ইসলামাবাদের দারুল উলুম জাকারিয়ায় এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পাকিস্তানের সাবেক বিচারপতি আল্লামা মুফতি তাকি উসমানির সভপতিত্বে এ বৈঠকটিতে মাওলানা ডা. আবদুল রাজ্জাক ইস্কান্দারকে পাকিস্তান বেফাকের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছিলো। কিন্তু আল্লাহর ডাকা সাড়া দিলেন মাত্র ১৩ দিন পরই।

১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তান। বিশ্বের বৃহত্তম ইসলামী শিক্ষা বোর্ডসমূহের অন্যতম। পাকিস্তানের ১০ হাজারেরও বেশি মাদরাসা এবং প্রায় ৮ হাজার ইকরা স্কুল এই বোর্ডের অধিনে আছে। দেওবন্দের চিন্তাধারায় পরিচালিত এ বোর্ড সকল মাদরাসাগুলিকে দীর্ঘ দিনব্যাপী নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। হানাফি মাজহাবের অন্যতম আলেম ও স্কলার মাওলানা ড. আব্দুর রাজ্জাক ইস্কান্দের বোর্ডটির সভাপতি ছিলেন দীর্ঘ ৬ বছর।

ডা. আবদুর রাজ্জাক ইস্কান্দার (১৯৩৫-৩০ জুন ২০২১) বেফাকুল মাদারিস পাকিস্তানের সভাপতি, জামিয়াতুল উলুমিল আলইসলামিয়া বিন্নুরী টাউনের মুহতামিম আজ দুপুরে ইন্তিকাল করেন, ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

তিনি একজন পাকিস্তানী ইসলামী আলেম, গবেষক ও লেখক ছিলেন। তিনি আন্তর্জাতিক তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত পাকিস্তানের আমির ছিলেন।

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা
মাওলানা আবদুর রাজ্জাক ইস্কান্দার, ১৯৩৩ সালে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের একটি জেলা অ্যাবটাবাদের কোকালের একটি ধর্মপ্রাণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মাদরাসা দারুল উলূম ছোহর শরীফ, হরিপুর ও সিকান্দারপুরের মাদরাসায় পড়াশোনা করেন।

তিনি দারুল উলূম করাচি অধ্যয়ন করেন। ১৯৫৬ সালে জামিয়া উলূম-উল-ইসলামিয়া থেকে দরস-ই-নিজামিতে স্নাতক লাভ করেন। তিনি জামিয়া উলূম-উল-ইসলামিয়া- এর প্রথম ছাত্র ছিলেন। পরে তিনি ১৯৬২ সালে মদিনার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। চার বছর ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন করেন। তিনি ১৯৭২ সালে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরাল পড়াশোনা শেষ করেন। তিনি মুহাম্মদ ইউসুফ লুধিয়ানভির অন্যতম ছাত্র ছিলেন।

কর্মজীবন
মাওলানা আবদুর রাজ্জাক ১৯৫৫ সালে তার শিক্ষার কর্মজীবন শুরু করেন। জামিয়া উলুম-উল-ইসলামিয়াতে শাইখুল হাদিস ও মুহতামিমের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৭ সালে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তানের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য নিযুক্ত হন। ২০০১ সালে সহকারি মহাপরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হন। পরে তিনি আল্লামা সলিমুল্লাহ খানের মৃত্যুর পরে নয় মাসের কার্যনির্বাহী সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ৫ অক্টোবর ২০১৭-এ সভাপতি নিযুক্ত হন।

সাহিত্যকর্ম
তিনি বহু গ্রন্থ রচনা করেন। এর মধ্যে তাবলীগী জামায়াত ও এর দাওয়াতের নীতি ও পদ্ধতি আত তারিকাতুল আসরিয়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাকিস্তান, উইকিপিডিয়া

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ