শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল

আল্লাহর রহমতে আমাদের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা হয়ে গেছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভারতে হঠাৎ করোনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা এই ভ্যাকসিন রপ্তানি করা বন্ধ করে দিলে আমরা সাময়িকভাবে কিছুটা সমস্যায় পড়ে গেছি। কিন্তু বর্তমানে আল্লাহর রহমতে আমাদের ব্যবস্থা হয়ে গেছে। এখন আর কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০২২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের সকল নাগরিককে বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের টিকা দিতে যত টাকাই লাগুক, সরকার তাতে কার্পণ্য করবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছি, সরকার দেশের সকল নাগরিককে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন প্রদান নিশ্চিত করবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য যত টাকাই লাগুক না কেন, আমরা সেই টাকা দেব।’

বিভিন্ন উৎস থেকে ইতোমধ্যে ১ কোটি ১৪ লাখ ৬ হাজার ডোজ টিকা পাওয়ার তথ্য তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, প্রয়োজনীয় টিকা কেনার জন্য আগামী অর্থবছরের বাজেটে ১৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ‘যখন ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চলছিল, তখন থেকেই সরকার ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য পৃথিবীর সমস্ত জায়গায় চেষ্টা শুরু করে। তখন হয়ত ডব্লিউএইচও অনুমোদনও দেয়নি, কিন্তু তার আগেই আমরা…।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা দিয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে গণটিকাদান শুরু হয়েছিল। কিন্তু ভারত রপ্তানি বন্ধ রাখায় টিকার সঙ্কটে পড়ে বাংলাদেশ।

পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় দেশে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে যারা প্রথম ডোজ পেয়েছেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার মত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাও সরকারের হাতে নেই।

এ অবস্থায় সরকারকে অন্য উৎস থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহের চেষ্টা করতে হচ্ছে। টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি ১ লাখ ৬২০ ডোজ এবং চীনের উপহার হিসেবে দুই দফায় সিনোফার্মের তৈরি ১১ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসেছে।

সিনোফার্মের কাছ থেকে সরকারি পর্যায়ে দেড় কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কেনার একটি প্রস্তাব সরকার ইতোমধ্যে অনুমোদন করেছে। প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে জুন, জুলাই ও অগাস্ট মাসে ওই টিকা বাংলাদেশ পাবে বলে সরকার আশা করছে।

চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সব দেশ ও কোম্পানির সঙ্গে সরকার যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেন, “আমরা আশা করছি জুলাই মাস থেকে আরো ভ্যাকসিন আসবে এবং ব্যাপকভাবে আমরা ভ্যাকসিন প্রদান শুরু করব।’

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার বিদেশগামী কর্মীদের আগে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে, যাতে বিদেশে গিয়ে তাদের কোয়ারেন্টিন করতে না হয়, কর্মস্থলে যেতে কোনো বাধা না আসে।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ