মোজাম্মেল হক।। হারদুঈ হযরত আল্লামা আবরারুল হক হক্কী রাহিমাহুল্লাহু তাআলা বলেন, আমাদের নেককাজগুলো হিসাব তো নিজেদের জানা আছে৷ কিন্তু অন্যদের নেককাজগুলোর হিসেব আমাদের জানা নেই৷ তাহলে কোন অধিকার বলয়ে আমরা অন্যকে ছোট ভাবতে পারি৷ হতে পারে, অন্যদের নেককাজ আমাদের চেয়ে বেশি৷ আর অভিজ্ঞতাতে এমন হয়েছে সেটিও প্রমাণিত৷
হযরত বলেন, আমাদের এখানে একজন হেফজ বিভাগের উস্তাদ ছিলেন৷ তিনি ইন্তেকাল করেছেন৷ মহান রাব্বে কারীম তাঁকে মাফ করে দিন৷ এখান থেকে অল্প দূরে একটি এলাকা ছিলো বাউন৷ ঐ এলাকার নাম বাউন এজন্য রাখা হয়েছিলো যে, সেখানের পানি বায়ান্ন হাত নিচে ছিলো৷ আর এলাকাটি উঁচুতে ছিলো৷ সেখানের কিছু লোক পড়ার সুবাধে তাঁর সাথে সম্পর্ক ছিলো৷ বৃহস্পতিবার কখনো কখনো তিনি সেখানে যেতেন৷ সেখানে যাওয়ার পথে কাজ কী ছিলো তার?
হাফেজ সাহেব বলেন, যখন আমি হারদুঈ থেকে রওয়ানা হই, তখন পবিত্র কুরআনুল কারীম পড়া শুরু করি৷ সেখানে পৌঁছতে দেড় বা দুই ঘন্টা সময় লাগতো৷ তো, আমি এই চলার পথে পনেরো পারা পবিত্র কুরআনুল কারীম পড়ে ফেলতাম৷ আর যখন সেখান থেকে হারদুঈতে আসার জন্যে রওয়ানা হতাম, তখন হারদুঈ পর্যন্ত আসতে আসতে বাকী পনেরো পারা পবিত্র কুরআনুল কারীম পড়ে ফেলতাম৷
হযরত বলেন, অনেক আল্লাহ তাআলার বান্দা এমন আছেন যারা আমলের জন্যে এমন নিভৃত নিজস্ব অভ্যাস বানিয়ে নিছেন৷ যাদের খোঁজখবর আমাদের অজানা৷ সুতরাং অন্যকে ছোট ভাবার আর নিজেকে বড় ভাবার কোন সুযোগ নেই৷
হযরত বলেন, শায়খুল হাদীস আল্লামা যাকারিয়া রাহিমাহুল্লাহু তাআলা৷ আল্লাহ তাআলা তাঁর কবরকে নূর দ্বারা ভরপুর করে দিন৷ আমীন৷ তাঁর আমল ছিলো, রমযান মাসে প্রতিদিন দিনে একবার কুরআনুল কারীম খতম করতেন৷ রাতে একবার কুরআনুল কারীম খতম করতেন৷
হযরত বলেন, একজন তারাবী পড়ানেওয়ালার যদি এমন আমল হয়, তাহলে নিজেকে কেউ বড় ভাবার সুযোগ কীভাবে হয়? নিজেকে বড় ভাববে কিভাবে? মূলবিষয় হলো, বিনয়৷ অর্থাৎ নিজেকে ছোট মনে করা৷ বিনয় হলো নিজেকে ছোট ভাবার মাপকাঠির৷
-এটি