মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫ ।। ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১১ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
তারাবি নিয়ে ১০ হাফেজর অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা ফয়যে বর্ণভী সাবাহী মক্তব বোর্ডের ফলাফল প্রকাশ; পাসের হার ৯৯.৪৯% জাতীয় ঐক্য ছাড়া ফ্যাসিবাদকে বিলোপ করা সম্ভব নয়: নাহিদ ইসলাম ফেসবুকে উপদেষ্টা মাহফুজের ‘মব’ নিয়ে পোস্ট, যা বলল ঢাবি ছাত্রশিবির ইফতা, আদবসহ বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি নিচ্ছে উত্তরার মাদরাসাতুল আযহার লালমাটিয়ায় দুই তরুণীকে সিগারেট খেতে না করা সেই রিংকুকে গ্রেফতার ‘অপরাধের সাম্প্রতিক ব্যাপকতার পেছনে পরাজিত শক্তির রাজনীতি ক্রিয়াশীল' একদিনে ২৯ হাজার কুরআনের কপি বিতরণ সৌদি আরবের ‘দ্রুত বিচার আইনের মাধ্যমে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে’ নির্মাণাধীন ভবনের কাঠ পড়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু 

মার্কিন সৈন্যদের সহযোগিতাকারি ৭০ হাজার আফগানকে গ্রিন কার্ড দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানে মার্কিন সৈন্যদের সহযোগিতাকারিদের যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। এ সংখ্যা ৭০ হাজারের বেশি বলে হোয়াইট হাউজের সূত্রে বলা হয়েছে। ২০ বছরের যুদ্ধ শেষে মার্কিন সৈন্যরা ফিরবে শিগগিরই। তারপর আমেরিকান সৈন্যদের সহায়তাকারি আফগানরা তালেবানের শিকার হবে-এমন আশংকায় তাদেরকে বিশেষ অভিবাসন-ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আনা হবে।

২৫ জুন শুক্রবার আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি আসছেন হোয়াইট হাউজে। সে সময়েই বিষয়টির আলোকপাত করবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

উল্লেখ্য, তালেবান-বিরোধী ঐ যুদ্ধে অংশ নেয়া মার্কিন সৈন্যদের অনুবাদক, গাড়ির ড্রাইভার, ইঞ্জিনিয়ার, নিরাপত্তা প্রহরী, রণাঙ্গনের বিশ্বস্ত সহযোগী এবং কাবুলে মার্কিন দূতাবাসের কর্মচারি হিসেবে মোট ১৮ হাজার আফগানের একটি তালিকা করা হয়েছে। এদের পরিবারের সদস্য ৫৩ হাজার। এদের বিশেষ অভিবাসন ভিসা দেয়া হবে। এই ভিসার আবেদন প্রসেসিংয়ের আগেই মার্কিন সৈন্যরা আফগান ত্যাগ করছে বলে সকলকেই নিকটবর্তী একটি দেশে স্থানান্তরের কথা ভাবছে মার্কিন প্রশাসন।

কর্তৃপক্ষ মনে করছে, তালেবানরা এদেরকে বাঁচতে দেবে না। তবে ভিসা ইস্যুর আগ পর্যন্ত তারা কোন দেশে অবস্থান করবেন সেটি এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত ঐ আফগানদেরকে পরিবারের সদস্য-সহ তৈরী থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। মার্কিন সৈন্যদের শেষ বহর কাবুল ত্যাগের আগেই তাদেরকেও নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হবে। হোয়াইট হাউজের সিনিয়র কর্মকর্তারা অবশ্য উল্লেখ করেছেন যে, কেউ যদি ভিসার জন্যে বিবেচনার বাইরে থাকেন, তাহলে তাকে ঐ তৃতীয় দেশেই বাকিটা জীবন কাটাতে হতে পারে। অর্থাৎ আবেদন করলেই যে, বিশেষ অভিবাসনের ভিসা সকলেই পাবেন তার নিশ্চয়তা দেয়া হচ্ছে না। তবে হোয়াইট হাউজ থেকে আইন প্রণেতাগণের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়েছে ঐ যুদ্ধে সহযোগিতাকারিদের যুক্তরাষ্ট্রের অকৃত্রিম বন্ধু ভাবতে হবে এবং সেভাবেই সবকিছু করতে হবে। অন্যথায় ভবিষ্যতে অন্য কেউ আন্তরিকতা নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের পাশে দাঁড়াতে স্বাচ্ছন্দবোধ করবে না।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ